আজ ১০ অক্টোবর, আমার ছেলের জন্মদিন। এই লেখা তার জন্মদিন নিয়ে নয়। ঐ দিনে একই হাসপাতালে জন্ম নেয় আর একটি শিশু। যার পিতা সাদরে গ্রহণ করতে পারেনি নবজাতককে, কারণ সেটি ছিল কন্যাশিশু।
১১ অক্টোবর মাঝরাতে আমার স্ত্রী তীব্র ব্যাথা অনুভব করলে বিষয়টি নার্সদের জানাই কিন্তু আধা ঘন্টার মধ্যেও তাদের খবর না পেয়ে আবার গেলাম নার্স কেবিনে। আমাকে দেখেই তারা মুখ চাওয়া চাওয়ি শুরু করল। বুঝলাম কিছু এ...
১.
যদিও তুমি কথা রাখোনি;
তবু, যখন আয়নায় আমার মুখে দেখি মৃত্যুর ছায়া;
অথবা গভীর ঘুম থেকে যখন চমকে জেগে উঠি,
অথবা যখন সুরামত্ত হয়ে ক্ষ্যাপাটে হয়ে উঠি,
তখনই বার বার কেবল তোমার মুখখানিই মনে পড়ে।
২.
স্কুলে তার প্রিয় বন্ধুরা ভাবত
নিশ্চয়ই সে হবে একজন বিখ্যাত মানুষ;
নিজেও সে ভাবতে ভালোবাসতো, তাই
তার তারুণ্য আর প্রথম যৌবনের দিনগুলো গেছে
অসম্ভব পরিশ্রমে-পাঠে-কঠোর অনুশাসনে ;
“কিন্তু তা...
তোর
ভালোবাসার শুদ্ধতাতেই
হয় প্রতিটা ভোর।
আর
ফুটফুটে এক কন্যা দিয়ে
সাজানো সংসার।
সেই সংসার জুড়ে এখন
কন্যা হলো দুই...
ওদের নিয়ে এমন করেই
ভালো থাকিস তুই!
সঠিক বানান কোনটি? ধুসর নাকি ধূসর, কিংবা গোধুলী নাকি গোধূলী?
আবার বলা হয় – নামের বানানে ভুল নেই।
ভুল থাকুক আর না থাকুক, এটাও বলা হয় – নাম দিয়ে যায় চেনা, নামেই পরিচয়।
বাংলা ব্লগ জগতে তেমনি একটি নাম ধুসর গোধুলী।
বিরামহীন কমেন্ট, হাসি মজায় ভরপুর, ক্লাসিক শালী শিকারী এই ধুসর গোধুলীকে নিয়েই বোধ হয় বাংলা ব্লগে সবচে’ বেশী ফ্যান্টাসী লেখা হয়েছে।
নিকের পেছনের মানুষটির বিরুদ্ধে আমার অভিযো...
২৫এ জুলাই অর্ধঘুমে অর্ধ-জাগরনে ৭টায় উঠে এক হাতে দাঁত মাজতে মাজতে আর অন্যহাতে স্ক্রাব পরতে পরতে শুরু হয় শনিবারের সকালটা। ঘোড়ার ডিমের সকাল ৮টায় কাজ আছে, মেজাজটাই খিচড়ে গেল দিনের শুরুতেই। রওনা হলাম অফিসের পথে, ঘুমের মাঝেই গাড়ী চালাতে চালাতে, কিন্তু অফিসের কাছে গিয়ে খুব মজার একটা জিনিষ দেখলাম। একটা কাঠ-বিড়ালীকে চড়ুই এর মত সাইজের একটা পাখি তাড়া করেছে, আর সেই কাঠ-বিড়ালী “চাচা আপন প্রাণ বাঁচা”
এক
সচলের বেশীরভাগ মানুষের সাথে যোগাযোগ অন্তর্জালেই। তাই, সাতসকালে যখন ফোনটা পোঁ পোঁ করে বাজছে, তখন ঘুনাক্ষরেও ভাবিনি এটা অনিকেতদার ফোন। আমি সাধারনত দুপুর বারোটার আগে কোন কল রিসিভ করিনা (ঘুম ভেঙ্গে যাবে বলে) এই ফোনটাও হয়তো রিসিভ করতাম না...কি মনে করে যেন রিসিভ করে ফেললাম।
প্রাথমিক কেমন আছো ভালো আছির পর অনিকেতদা আসল কথা পাড়লেন। বললেন, "রেনেট, এখন তো সামারের ছুটি চলছে। চলে আস না আ...
আমি ব্লগে সবসময়ই একজন মানুষের লেখা পড়ে লেখার পেছনের মানুষটাকে রিকনস্ট্রাক্ট করার একটা প্রচেষ্টায় থাকি। মাঝে-মাঝে খুব চমৎকারভাবে মিলে যায়। তবে আনিস ভাইয়ের মতো মানুষের ক্ষেত্রে সেটা উল্টা-পাল্টা হয়ে যায়।
আনিস ভাইয়ের লেখা পড়ে প্রথমে ভেবেছিলাম মারাত্মক রাশভারি, কোনো একজন লোক। রাশভারি লোকজনদের সাথে মিশতে আমার আড়ষ্ট লাগে। মূলত সে কারণেই তাঁর সাথে তখন পর্যন্ত তেমন খাতির হয়...
বিপ্রতীপ-এর সাথে প্রথম পরিচয় হয় প্রজন্ম ফোরামে, ২০০৭ সালে। তখন সে ফোরামের মডারেটর ছিল মনে হয়। তো ফোরামে অনেকেই আসে, যায়, নানা ধরনের মন্তব্য করে। অনেকেই অনেক কবিতা পোস্ট করতো। একদিন ওর একটা কবিতা আমার এত ভালো লেগে যায় যে সাথে সাথেই নামটা মাথার মধ্যে ঢুকে যায়। সেই কবিতা দিয়ে আমার স্বাক্ষর বানিয়েছিলাম তা বেশ মনে পড়ে।
তারপর বিপ্রতীপ সহ আরো কয়েকজন মিলে আমাদের প্রযু...
একজন নারী গর্ভধারণ করতে পারেন। একজন পুরুষ তা পারেন না, সেটি তাদের সীমাবদ্ধতা। দুটি আধখানা কোষ থেকে একটা কোষ সৃষ্টি হওয়া থেকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষকে পৃথিবীর আলো দেখানোর প্রতিটি ধাপ একজন নারী পলে পলে অনুভব করেন তার শরীরে, মনে, মগজে। নারীর এই দীর্ঘ, বিচিত্র ও বহুমূখী অনুভূতির কথা টুকরো টুকরো ভাবে হলেও আমরা পাই নারীর জবানীতে অথবা পরের মুখে ঝাল খাওয়া পুরুষের জবানীতে।
স্বাভাবিক প...
এক
মাশীদ আপু আমার অত্যধিক প্রিয় একজন মানুষ। কারণটা খুব সহজ - উনার সাথে আমার মানসিকতা একদম মিলে যায়। এই মানসিকতা মেলানোর ব্যাপারটা কিন্তু খুব সহজ নয়, বিশেষ করে যখন সেটা আমাদের মতো হয়। আর তাই অবিরত এর-তার সাথে মিলিয়ে-মানিয়ে চলে হঠাৎ নিজের মতো আরেকজন বাঙালি খুঁজে পাওয়ার মধ্যে একটা ক্রিস্টোফার কলোম্বাসীয় আনন্দ আছে। মাশীদ আপুর সাথে পরিচিত হয়ে ...