... গল্প শোনার পালা এখন, নিঝুম নিশিরাতে...
সুর’বালিকা আবদার করেছে, তাকে সত্যি ভূতের গল্প শোনাতে হবে। আমি কোন অসাবধানে বলে ফেলেছিলাম, আমার দিদা খুব ভালো ভূতের গল্প বলতেন, পরিচিতজনদের জীবনের নানা ঘটনা থেকে নিয়ে... আর নিঝুম রাতে চাঁদের আলোয় তাঁর একটা গল্প ছিল নিজের জীবনের। কিন্তু ঘুরঘুট্টি রাত্রিবেলা দিদাকে পাশে নিয়ে শুয়ে দারুণ কন্ঠভঙ্গিতে যেসব গা-ছমছমে গল্প শুনতাম, সেই পরিবেশ না পেলে কি আর গল্প জমাতে পারব? এমনিতেই গল্প লেখা আমার তেমন জমে না, অনেকদিন আগে একটা অমন গল্প লিখতে গিয়ে শেষমেষ পাঠককে সন্তুষ্ট করতে পারিও নি। তাও, একটা চেষ্টা নিলাম। পাঠকেরা নিজ দায়িত্বে অর্থাৎ ঘরের আলো নিভিয়ে পেছনে যথাযথ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যেমন দরজার ধীরে ধীরে ক্যাঁচ ক্যাঁচ আওয়াজ দিয়ে পড়বেন।
অনেক কাল আগের কথা। ওগিয়ারা শিন্নোজো নামের এক বিপত্নীক সামুরাই একদিন গোধূলী লগ্নে বাড়ির রোয়াকে বসেছিলেন। তাঁর বিস্মিত চোখের সামনে, একটি সুন্দরী তরুণী এবং তার একজন সহচরী একটি ফুলেল নকশা-করা লণ্ঠন হাতে কাছে এগিয়ে এল। যুগলটি ওগিয়ারার সাথে কথা বলার জন্য থামল, এবং প্রকাশ পেল তরুণীটির নাম ওতসুয়ু। তাঁদের দুজনের মধ্যে একটা তাৎক্ষণিক যোগসূত্র তৈরি হলো, এবং ওতসুয়ু পরের রাতে একই সময়ে আব ...