আমার বয়স তখন কত! বারো কি তের! কুমিল্লা জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলাম, তখন সম্ভবত ক্লাস সেভেনে। একদিন স্কুল থেকে ফিরছি। সাইকেল তখনো পাইনি বলে, সকালে বাবা রিকশায় করে নামিয়ে দিয়ে যেত স্কুলের গেটে। বই কেনার নেশা হয়ে গিয়েছিল তাই ফেরার পথের রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে ঠাকুরপাড়া’র বাসা পর্যন্ত আমি হেঁটেই ফিরতাম। ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়ে একদিন বাড়ি ফিরছিলাম খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটেঁ।
উদ্দেশ্য, ...
ছোটবেলা থেকেই অভিভাবকেরা ছাত্র রাজনীতিতে নিরুতসাহিত করলেন।এর কারণ আজো বোধগম্য হয়নি আমার কাছে।অথচ এই ছাত্র রাজনীতি না থাকলে আজ উর্দুতে ব্লগিং করতে হত,ইপিসিএস পাশ করে সিএসপির ধমকে বারান্দার রোদে দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবী হাফরেড কলোনিয়াল বড়ে মিয়ার কাছে পোস্টিং-এর তদবির করতে হতো,নিজের ভাঙ্গা গাড়ীটা নিয়ে সিএসপির জন্য গোমাংস কিনতে ছাগলনাইয়া যেতে হতো।অথবা পাকিস্তান টাইমসে লেটার সেকশন ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
কেউ কেউ ধরাটাকে
করেন যে সরা জ্ঞান
আমি ও রিটন ভাই
করি তারে ছড়া জ্ঞান!
সাগরে পাহাড়ে থাকে
আরো পাবে নদীতে
ছড়া থাকে ক্ষমতার
তুলতুলে গদিতে।
ছড়া থাকে পথে ঘাটে
ছড়া ওড়ে আকাশে
কারো হয় সোনামণি
কারো লাগে কাকা সে।
কিছু ছড়া গোবেচারা
কিছু ছড়া পাকনা
সে সব জটিল কথা
আজ তোলা থাক না!
ছড়া আসে হেঁটে হেঁটে
আসে ট্রেনে - লঞ্চে
শিশুতোষ বই ছেড়ে
রাজনীতি মঞ্চে।
গুলশানে আলিশা ...
সেই লোকটাকে পর্যবেক্ষণ করছি অনেকদিন ধরে।লোকটা মিস্টিক ঘরানার, একবার হোটেল শেরাটনের পুলসাইডে তাকে তরুণ-তরুণীদের রাষ্ট্রজ্ঞান দিতে দেখেছি।লোকটাকে নিয়ে একস্লিপ দেখি পত্রিকায় সুত্রে প্রকাশ ধরনের হলুদ রিপোর্টে।লোকটা কী ডার্ক কম্যুনিকেশনের সেই প্রায় নিষিদ্ধ চ্যাপ্টারটা কোন কারণে ঢাকা ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী রেফারেন্স শাখায় ঢুকে পড়েছিলেন বাহাত্তরে, যে বছর নকল করে পাশের হিড় ...
০৮ সালের শীতকালীন নির্বাচনী উতসবের এভারেস্ট বিজয়ের পর মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা এত পরিমিত এবং পরিণত রাজনীতিকের মত কথাবার্তা বলছিলেন যে আমরা প্রায় ভাবতে শুরু করেছিলাম উনি আসলেই পরিবর্তনে আগ্রহী।
পরিবর্তন মানে একটু সভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যা জনগণকে তাদের প্রতিদিনের জীবনে অযথা হয়রানি করবে না।আব্দুল মাল মুহিত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মতিয়া চৌধুরীকে দেখে আশা জাগছিলো, হাসিনার সঙ্গে ...
প্রায় চারটা বাজে। মাত্র ল্যাব থেকে বেরুলো কুহু।ক'দিন আগের তুষারপাতের শেষচিহ্ন হিসেবে বরফকাদা ইতিউতি পড়ে আছে গলে যাবার অপেক্ষায়।সাবধানে পা ফেলে হেঁটে বাড়ী ফিরছে তাই। হঠাৎ মেঘের চাদর সরিয়ে রোদ এসে আলো করে দিল চারিদিক। "বাহ্, রোদ, তোমার দেখা মিললো অবশেষে!" তার মানে হয়তো আর ক'দিন পর সত্যি সত্যি বসন্ত। ভাবতেই মনের ভেতর এক চিলতে খুশী ঝিলিক দিয়ে গেল ওর।
রুমে এসে ব্যাকপ্যাক না...
প্রাককথন
শব্দগুলো লাশ দেখে,চিৎকার ও চক্রান্ত দেখে
বেগুনী লজ্জায় লুকিয়েছিল মুখ আদিম গুহায়।
ভালোবাসা-বিশ্বাসের ডানায় ভর করে,
তাকে স্বতোৎসারিত ঝরনার মতো প্রবাহিত করবে,
ছিল না এমন ভালোবাসা ও বিশ্বাসের ডানা।
অশিক্ষিত,গ্রাম্য শিশুটির অকারন খুশি,আঞ্চলিক শব্দ,হলুদ দাঁত ;
কিশোরী মেয়েটির জেগে ওঠা মন,কোমল ভালোবাসা,সহজ কষ্ট;
ড্রেনের পানিতে কাদাপোকার উচ্ছ্বল দাপাদাপি;
শব্দগুলোকে -
...
[এখানে প্রথম কিস্তি ১(১)]
ভারাটে গুন্ডা হিসাবে পার্কিন্স সাহেবের ক্রিয়াকলাপের সাথে জেমস বন্ডের গল্পের মিল রয়েছে। এতে আছে ষড়যন্ত্র, সম্রাজ্যবাদি কুটবুদ্ধি, আর আছে নারীর সংশ্রব। জেমস বন্ডের প্রতিটি গল্পের মত এখানেও নারী চরিত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। তবে এখানে নারী চরিত্রের কাছে পার্কিন্স সাহেব অনেকটা ভেড়া বনে বসে আছেন। আগের পর্বে একটু আভাস দিয়েছিলাম এখানে আরো কিছু ...
মুকুন্দ ভদ্র এসেছিল এমন এক রাতে:
আশ্বিনের ঝঞ্জা-বজ্র বায়ু,
সরিসৃপের উত্কট শি-শি শব্দে।
কৃতদাসের পিঠের উদার জমিন
লাল থেকে নীল হয়ে যায় চাবুকে চাবুকে,
তেমনি বিজলী-মুখর করাল দন্তে
ক্ষনে ক্ষনে হেসে উঠা নিশী-রাতে,
আজ থেকে ঠিক একটি বছর আগে
এসেছিল মকুন্দ ভদ্র:
সম্ভাবনাময় এক প্রৌঢ় বিপ্লবী।
অন্ধকারে জ্বলে, জ্বলে সিংহ চক্ষু
দ্রোহ-হুংকারে, মূক্তির আশ্বাসে
তার অন্তরাত্তা বিশ্বাসে বিস্ফ...
না রে ভাই আমার লগে তর্কটর্ক কইরা লাভ নাই। আমি কাউরে ডিফেন্ড করতে আসি নাই। কারো কারো যেমন আইয়ুব বাচ্চুর গান ভালো লাগে গণবিপ্লবের ইতিহাসগুলা হয়তো আমার অনেকটা ঐরকমই। ভাল্লাগছে তাই শেয়ার করলাম। কারো ভালো না লাগতেই পারে। এইটাতো মুল্টিকুল্টির যূগ। তাছাড়া দিনকাল পাল্টাইয়া গেছেগা। আর দুইদিন পরে ভার্সিটিগুলাতে আইটি আর বিজনেস ছাড়া আর কিছু পড়ানো হইবো ন...