১.
ভবিষ্যত দেখার ইতিহাস
.................................
‘‘মানুষ সবসময় যা বলছে, তা নিজেরাই সব বলছে- তা কিন্তু নয়।
সময় তার কথাগুলো অনেক সময় আমাদেরকে দিয়ে বলিয়ে নেয়।
আমাদের অজান্তেই। “
ইতিহাসবীদ সালাহউদ্দীন আহমেদ বলে হাসলেন। কথা শেষ।
উঠে দাঁড়ালাম। তখনও জানা নেই, এই শেষ দেখা। আর দেখা হবে না।
তিনি বিদায় দিতে দরজা পর্যন্ত আসলেন।
অবশেষে ২৮ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর এক হামলার বিচারের রায় হল। স্বৈরাচার এরশাদ এবং এর পরবর্তী বিএনপির শাসনামলে এই ঘটনায় দায়ের করা মামলা হিমাগারে থাকার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলা মামলা পুনরুজ্জীবিত হয়। এর আগে ঘটনা পরপর গঠিত তদন্ত কমিটি ১৯৮৯এর ডিসেম্বরে অভিযোগের সত্যতা পায়নি বলে রিপোর্ট দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত
ব্যক্তি খালেদা জিয়া এবং ব্যক্তি শেখ হাসিনা নিয়ে আমার সবসময়ই একটি আগ্রহ ছিল। ১৯৯১ সাল থেকে ঘুরে ফিরে মোটামুটি এই দুইজন মানুষই আমাদের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছেন। কাজেই এই দুইজনের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী, সাহস, ভীতি, নমনীয়তা, কাঠিন্য, রুচি, দূরদর্শিতার মত বিষয়গুলোতে তুলনামূলক পার্থক্য নিশ্চিতভাবেই গত দুই দশকের বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সুনির্দিষ্ট কিছু বাঁক তৈরিতে সাহায্য করেছে। তার উপর আমাদের সংবিধানের ৫৫ এবং
সরকারের শেষ সময়ে এসে মন্ত্রিসভার কলেবর বাড়ান হল। মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাসও করা হল। সরকার বলছে এটি একটি রুটিন ওয়ার্ক। অন্যদিকে বিরোধী দল বলছে এটি ডুবন্ত নৌকা বাঁচানোর শেষ চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
দেশের বর্তমান সরকারের বয়স প্রায় আড়াই বছর হতে চললো। এর মধ্যেই মানুষ হতাশ। দিনবদলের যে স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো সে স্বপ্ন আস্তে আস্তে ফিকে হতে শুরু করেছে। বাস্তবতা হলো দেশ গত আড়াই বছর আগে যেখানে ছিলো সেখানেই স্থবির হয়ে আছে। দুর্নীতি, চাদাবাজি, সন্ত্রাস, সরকারি দলের পাতিনেতাদের অনায্য দাপট, মন্ত্রীদের আখের গোছানো, দখলবাজি, টেন্ডরবাজি, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি সহ নানা ধরন
আজকে যখন মাননীয় দেশনেত্রী বিজয় দিবস উপলক্ষে আর্মি-জনগণের স্যালুট আর ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে, পরিবার পরিজন নিয়ে আরাম করে মুরগীর মাখন-নরম হাড় চিবুবেন তখন হয়তো তাঁর বাড়ির আসেপাশেই কোথাও কোনো মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দু-মুঠো খাবারের আশায় ভিক্ষে করবে মানুষের দোরে দোরে!
তৌফিক-ইলাহীর মতো দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীরা যখন ঘুষ আর মেরে দেয়া জনগণের টাকা আরাম করে গুনবেন তখন হয়তো কোনো মুক্তিযো ...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পরশু জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের দেয়া ইফতার পার্টিতে বক্তব্য দিতে যেয়ে বলেছেন “অন্যায় হলে সমালোচনা করুন, অপপ্রচার গ্রহণযোগ্য নয়”। তার কথার সাথে আমরা একমত যে অপপ্রচার চালিয়ে গনতান্ত্রিক সরকারকে বিব্রত নাজেহাল করাটা একেবারেই অনুচিত। এতে দেশ শাসন করতে গিয়ে সরকারকে বেকায়দায় পড়তে হয় যা প্রকারন্তরে গনতন্ত্রকেই দূর্বল করে দেয়।
তাই অপপ্রচার নয়, স ...
বাংলাদেশে চলছে নাটকীয় বিচার। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি জনৈক আজম চৌধুরীর নিকট থেকে তিন কোটি চাঁদা নিয়েছেন বলে সামরিক সরকার তাঁর বির...
এশিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার অবৈধ আটকাদেশ ও বিচার নিয়ে একটি লিগ্যাল ব্রিফিং তৈরী করেছে ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের জন্য। দুর্নীতির দায়ে আটক শেখ হাসিনার মামলাগুলোর আইনগত দূর্বলতা ও অসম্প...