হাতি মেরা সাথী
(সঙ-বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : এই ছুপান্যাসের সগোল চরিত্রই বাস্তব। অজীবিত বা মৃত কোনো মালের লগে ইহার কোনো মিল নাই। কোনো অমিল পাওয়া গেলে তা লেখকের ভাব বলে ধরে নিতে হবে।)
শেখ বাদশাকে নিয়ে একটি গল্প লেখা দরকার। কারণ শেখ বাদশার মুখে গোঁফ। মোটা মাথা। এককালে ঝাকড়া চুল ছিল। চোখ দুটি বড়ো। যখন হাসে তখন বোঝা যায় শেখ বাদশা চলছে। যখ ...
আমার ঠাকুরদারা তিন ভাই। তাদের সাত বউ। সারাক্ষণ বাড়িটা করত মউ মউ। বাড়িটিকে দেখিয়ে দেখিয়ে লোকজন বলত--অই দ্যাখ সাত বৌয়ের বাড়ি। সেখানে রান্না হত হাড়ি হাড়ি।
আমার ঠাকুরদার বাবার নাম সৃষ্টিধর রায়। তার বাবার নাম আমি জানি না। পাঁচ পুরুষের বেশি বংশলতা নেই। এ নিয়ে কেউ কখনো আমাদের পরিবারে কারো মাথাব্যথা নেই।
বাড়িতে একটি পুরনো ছবি ছিল। ছবিতে তিন পুরুষকে দেখা যেত। আর পরে দু পুরুষ-- আমি আর ...
তাঁর অনন্ত যাত্রা আছে। শুরুও নেই--শেষও নেই এই নিঃসঙ্গ যাত্রার--নির্বাসন কালের।
একটি গাড়ি বহর চলেছে। মাটি নিয়ে দুনিয়াদারি নেই। পদ্মাতীরের কাটালিয়া গ্রাম থেকে পোখরা। ক্যারাভন চলতে থাকে--বিলুটি গোবিন্দপুর, নবাবগঞ্জ, কুতুবগঞ্জ, খয়েরডাঙা, মৌলাহাট।
সাতখানা গাড়িতে এই ঠাই বদল। স্ত্রী সাঈদা, অশক্ত মা, দুটো ছেলে--মেঝটি প্রতিবন্দি মণি আর ছোটটি শফি। আরও আছে বাজা গরু মুন্নি, ধাড়ি ছাগল বাচ...
কুলদা রায়
বাঁশি কেনা হবে না। তবু মেলায় যাচ্ছি। ঈশ্বর বলছে, একটু দেখে শুনে কিনতে হবে। যেন সহজে বাজে।
মেলা তো নয়--লোক সমান লোক। কে একজন ঘোড়া কিনেছিল। হাত থেকে পড়ে ভেঙে গেছে। হাহাকার করতে করতে আবার ছুটেছে। কিন্তু দোকানী আর খুঁজে পাচ্ছে না। চন্দন জরির ফিতে দেখতে দেখতে আঁতকে উঠেছে। পায়ের নিচে কারো শোলার ফুল দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে। শেফালি ...
কল্লোল লাহিড়ী 'কাকমানুষের চকখড়ি' গল্পের বইটি নিয়ে একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছেন। বইটির লেখক কুলদা রায়। তিনি আট/ দশ মাস গল্প লিখছেন। সাহিত্যের লোকও না। নিতান্তই কৃষিকর্মী। মাঠেঘাটে বেড়ানো লোক। শুদ্রবংশজাত। এবং কোন সাহিত্য পত্রিকায় লেখেন নি--লেখার ইচ্ছেও করেন না। ইচ্ছে হলে লিখবেন--ইচ্ছে হলে প্রকাশ করবেন। কোনো তেলাতেলির মধ্যে নাই। অন্তর্জাল এই সুযোগটি অনেকাংশে করে দিয়েছে। সুত...