[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]
[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]
তৈরি হয়েই ছিল মিঁয়াও- পেছনের দুপায়ে দাঁড়িয়ে, সামনের দু’পা দিয়ে উপরের ঢাকনাটা একটু পর পর আঁচড়ে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি উপরের দিকে তাকিয়ে প্রথমে একটু নরম করে “মিঁ-ই-ই-ইয়াঁও!” এরপর অস্থিরতা একটু বাড়িয়ে “মিঁ-ই-ই-য়া-য়া-য়া-ও!” আর সবশেষে “ম্যাঁও! ম্যাঁও!” করে মেজাজটা জানান দেয়া আর থেকে থেকে পা নামিয়ে ওইটুক জায়গাতেই একটা চক্কর দিয়ে অপরিচিত বাইরেটা আরেকটু দেখার চেষ্টা করা- আবার দু’পা তুলে হাঁকডাক-
ঠিক দুপুর বেলাটায়, একদম ঠা ঠা রোদ যখন বাইরে, ঘরের ভেতর বনবন করে ঘুরতে থাকা পাখার হাওয়ায়ও হাঁসফাঁস লাগতে থাকে, ঘাড় এদিক ওদিক করে, শরীর এপাশ ওপাশ করেও যখন শান্তি আসে না মোটে- মিঁয়াও তখন আর গরম হজম করতে পারে না মোটে- “জান বেরিয়ে যাচ্ছে রে বাবা! ওফ কী গরম! ওফফফ!!- ছোট্ট লাফে বিছানার কোনে সাজানো বালিশ-টিলা থেকে নেমে আসে ও- “বাইরে যদি শান্তি থাকে কিছু!”
[ডিসক্লেইমারঃ
মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
আর হ্যাঁ, ঈদ মোবারক!!! ]
[মিঁয়াও সিরিজের গল্পগুলো পর্ব পর্ব করে লেখা হলেও একটার সাথে আরেকটার তেমন যোগ নেই, এ কথা মনে হয় জানিয়ে রাখা দরকার!
নতুন নতুন নাম দেয়ার ঝক্কি থেকে বাঁচার একটা বড় উপায় এমন সিরিজ করে ফেলা- এটা মোটামোটি পরীক্ষিত সত্য।
তবে মিঁয়াও-কে ভালো করে চিনে নিতে চাইলে এখানে দেখা যেতে পারে, আগ্রহী পাঠকেরা বাকি গল্পগুলোর লেজ ওখানেই খুঁজে পাবেন।
[মিঁয়াও-এর সাথে হয়ত কারো কারো পরিচয় আছে। তবে অনেকেই হয়ত ওকে চেনেন না, ভেবে বসেন পাশের বাসার আলসে বেড়ালটি! তবে কিনা, কথায় খানিকটা সত্যতা থাকলেও মিঁয়াও ঠিক আর সব বেড়ালের মত নয়- একটু বুঝি আলাদা। আলাদা এই 'মিঁয়াও'-এর সাথে একটু মোলাকাত করিয়ে দিতেই এই 'মিঁয়াওচরিত'।]
বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যে হই হই করছে তখন বাদামি দেয়ালঘেরা ছোট্ট দোতলা বাসাটার ছাদের রেলিংয়ে গা এলিয়ে দেওয়া সাদার মাঝে কমলা ছো...
আকাশ কালো হয়ে আছে মেঘে, একটু আগেও বেশ হাওয়া দিচ্ছিলো, এখন পুরোপুরি বন্ধ। সবকিছু কেমন থম মেরে আছে। বাতাসে উড়তে থাকা ধুলোর গন্ধ। কে বলবে কিছু আগেও চারদিক আলো করে সূয্যিমশাই বেশ আড়ম্বরেই আকাশে ঝুলছিলো!
দেখতে দেখতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। বড় বড় ফোঁটা সরাসরি মাটিতে পড়ে ছিটকে পড়ছে, আবার কোনাকুনি উড়ে আসছে ছোট ছোট পানির কনা। বারান্দা ভিজে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। লোমশ শরীরটায় হাওয়ার ঝাপটা এতোক...
[পর্ব ১, ২, ৩ আর ৪ ও সাথেই রইলো। আলাদা আলাদা পর্ব- কাজেই পড়লেও চলবে,না পড়লেও।]
ডাইনিং রুমের টেবিলটার আশেপাশে মিঁয়াও পায়চারি করছে বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলো। টেবিল নিয়ে ওর এতো মাথাব্যথা নেই, কিন্তু টেবিলের ওপরে যে প্যাকেটটা রাখা হয়েছে কিছুক্ষণ আগে সেটা তাকে চিন্তায় ফেলেছে- সমস্যা হলো দুশ্চিন্তা সুরাহা করার উ...
[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]