[justify]সাধারণভাবে দেখলে আমাদের শরীরকে মনে হবে খুব সূক্ষ্ণ আর বিস্তারিত পরিকল্পনা করে তৈরি করা। কিন্তু এরকম সূক্ষ্ণ পরিকল্পনা আর এত আধুনিক ডিজাইনের এর পরেও আমাদের শরীরে হাজারো রোগ জীবাণু এত সহজেই বাসা বাঁধতে পারে কীভাবে? যে বিবর্তন প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে চোখ বা হৃৎপিণ্ডের মত জটিল অঙ্গ সৃষ্টি করতে পারল, সেই বিবর্তন কেন হার্ট অ্যাটাক বা আলঝেইমারের মত রোগগুলোকে সরাতে পারল না কেন?
রিচার্ড ডকিন্স এর একটি সাক্ষাৎকার
ফ্রাঙ্ক মিয়েল
অনুবাদঃ কোয়েল দাশ এবং খান তানজীদ ওসমান
প্রথম পর্ব
অনুবাদের ভূমিকাঃ
বিবর্তন বেশ মজার একটা বিষয়। আমি বিবর্তন নিয়ে পড়তে ভালো পাই, নানা বই, তথ্য কিংবা তথ্যচিত্র যখনই হাতের কাছে পাই সংগ্রহে রাখি। তাই সচলের প্রথম দিকে সাহস করে লিখেই ফেলেছিলাম "বিবর্তন সম্পর্কে ১০টি প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা এবং তার উত্তর" লেখাটি। এরপরে কিছু হাউকাউ এর পরে ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা ধারাবাহিক লেখা নামানো যাক। কিন্ত মানুষ যা ভাবে তা কি আর হয়!
[justify]এই প্রশ্নটা মুখ ফুটে অনেকে করেন না। কিন্তু বিবর্তন আর ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের (আইডি) তর্কটা যারা বোঝেন, এআই নিয়ে ভাবতে গেলে তাদের একবার হলেও প্রশ্নটা হয়তো মাথায় আসে। বিবর্তন তত্ত্বানুসারে সকল প্রাণী তাদের বুদ্ধিমত্তা সমেত প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে তৈরি হয়েছে। কোনো বুদ্ধিমান কর্তার হস্তক্ষেপ বা ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন ছা
কয়দিন আগে আমার এক বন্ধু facebook এ কমেন্ট করেছিল যে, বিবর্তন বুঝতে পারা তার জীবনের অন্যতম একটি অর্জন। এ মতামতের সাথে একমত পোষন না করা যোক্তিকভাবেই অসম্ভব। কেননা বিবর্তন কেবলমাত্র একজন সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন ও সুশিক্ষিত মানুষের পক্ষেই বোঝা সম্ভব। এ কথাটা আমার নয়, এটা রিচার্ড ডকিন্স এর উক্তি। চার্লস ডারউইনই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি বিবর্তনবাদের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত এবং যুক্তি উপস্থাপন করেন। কিন্তু ডারউইনের বিবর
[ বিবর্তন তত্বটি সম্পর্কে বিভিন্ন পর্বে ধাপে ধাপে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো, এটি সময়সাধ্য ও পরিশ্রমের কাজ| প্রচুর তথ্য প্রয়োজন এবং সাধারণ বাংলায় প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য| লেখাতে বিজ্ঞানীদের নাম ও কিছু অংশ অবিকৃত রাখার জন্য ইংরেজীতেই দেওয়া হলো, এটি সূচনা মাত্র| বিভিন্ন পর্বে আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে সাধারণ আলোকপাত করার ক্ষুদ্র চেষ্টা করবো| সকল ধরনের আলোচনা-সমালোচনা আন্তরিক ভাবে আহব্বান করছি| নত
সতর্ক বাণীঃ লেখাটিতে ধর্মানুভুতিতেও আঘাত লাগার মতো বক্তব্য রয়েছে। আপনি যদি ধর্ম বিষয়ে সংবেদনশীল হোন তবে লেখাটি এড়িয়ে যাওয়াই আপনার জন্যে সুখকর হবে।
একটি মানুষের গড় আয়ু মানব সভ্যতার তুলনায় কতটুকু? কিছুই তো নয়। প্রায় সাড়ে চারশত কোটি বছর আগে সৃষ্ট পৃথিবীর বয়স কিংবা প্রায় চারশত কোটি বছর আগে উদ্ভব প্রথম প্রাণের কথা যদি চিন্তা করেন [১,২], দেখুন আমার বা আপনার জীবন এই মহাকালের তুলনায় কত ক্ষুদ্র। বাদ দিন কোটি বছরের হিসেব। ভেবে দেখুন আমাদের প্রথম পূর্বপুরুষদের কথা যাদের উদ্ভব আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ বছর আগে অথবা আজকের আধুনিক মানুষদের কথা যাদের উদ্ভব প্রায় দেড়/দুই লক্ষ বছর আগে [১,২]।- কোটি কোটি বৎসর থেকে লক্ষ বছরে নেমে আসলাম - তারপরেও কি আমাদের জীবন সেই তুলনায় এতটুকু বৃদ্ধি পাচ্ছে?
[justify]বিবর্তনবাদ খুবই সংবেদনশীল একটি বৈজ্ঞানিক মতবাদ। আমি খুব সাধারন দৃষ্টিকোন থেকে বিবর্তনবাদ সর্ম্পকে আমার দৃষ্টিভঙ্গি এখানে উপস্থাপন করতে চাচ্ছি। বিবর্তনবাদ আমার কাছে অর্থবহ তার কারন –
১। বিবর্তনবাদ বিজ্ঞান স্বীকৃত (অবশ্য বেশীরভাগ বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মত এ তত্ত্বও কিছুলোক এর সন্দেহের উর্ধ্বে নয়।)
নিকষ কালো আদিম গুহা, পরতে পরতে রহস্য, ইতিহাসের সুলুক সন্ধান, কোন পাথরের স্তরের নিচে কি আছে জানার কোন উপায় নেই, সাঁঝের আঁধারে ডানা মেলে গুহার আশ্রয় থেকে বাহির হয় বাদুড়ের ঝাক, প্রবেশের বিশালাকার মূল প্রবেশ পথটি দেখলে মনে হয় ডাইনোসরদের আস্তানা। হয়ত হবেও বা ! গুহাটি যে ২০ মিলিয়ন বছরের পুরনো!
জীবনের উদ্দেশ্য কি? - এই প্রশ্ন মানুষের মনে প্রথম কবে আসে বলা মুশকিল। মানুষ যখন মূলত শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো তখন, নাকি যখন প্রথম কৃষিজীবি হয়ে উঠে তখন থেকেই এই প্রশ্নের উৎপত্তি। প্রশ্নের শুরু যখন থেকেই হোক সেই প্রশ্ন যে বংশপরম্পরায় আজো আমরাও বহন করে চলছি তার প্রমান পাই আজো সবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজা দেখে। এই প্রশ্নের পেছনে কোন একক নির্দিষ্ট জাতি শুধু সময় ব্যয় করেনি- বলা যা ...