[justify]নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক স্লেভতানা আলেক্সিভিচ রচিত “চেরনোবিলের কণ্ঠস্বর” বইটি পড়ে শেষ করলাম এই গত মাসে। চেরনোবিল দুর্ঘটনার কার্য-কারণ নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা আগে ছিল, কিন্তু এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ইতিবৃত্ত ছিল আমার জানার জানালার বাইরে। এই বইটি পড়ে আমার সেই অভাবটি ঘুচল। আর সেই সাথে এক নিদারুণ বিষাদময়টা আমাকে ছেয়ে ধরল। পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা কিভাবে একটি দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে দশকের পর
সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন, নতুন নতুন বই পড়ার প্রবল নেশা সারাক্ষন আচ্ছন্ন করে রাখে, নতুন কিছুকে জানার, নতুন কিছুকে চেনার জন্য কচি মন সর্বদাই আঁকুপাঁকু করে। বাড়ীতে রাখা হত দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক, তার শুক্রবারের সংখ্যাটি ছিল বড়ই আকর্ষণীয়, নানা রঙ্গিন ছবির সাথে দেশ-বিদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানের চিত্র-বিচিত্র নানা খবরের ভাণ্ড।
ঢাকায় বেড়াতে এলে গ্রামের আত্মীয়-স্বজনেরা যেসব জায়গায় বেড়াবার বায়না করেন, তার মধ্যে অন্যতম চিড়িয়াখানা, জাদুঘর -এগুলো। এটা সর্বজনীন চিত্র। আমার এক বন্ধু তো জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে 'সরষের তেলের গন্ধ' পায়, কারণ সেখানে নাকি এইমাত্র গ্রাম থেকে আসা বাঙ্গালরাও চলে যায়। ঢাকার মানুষের কাছে অবহেলিত এই সরষের তেলের গন্ধসমৃদ্ধ স্থানটাতে কী পায় গ্রামের মানুষ? নাকি এটা শুধু গেঁয়োদেরই স্থান?
যদি ...