এখন দুঃসময়!
দেশ, দেশের বাইরে--সবখানেই।
যে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন 'শান্তির ললিত বাণী শুনাইবে ব্যর্থ পরিহাস'---সেই তিনিই আবার গেয়েছিলেন শান্তির প্রার্থনা সঙ্গীত --'বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি'।
রবীন্দ্রনাথের এই প্রার্থনা হয়ত ছিল ঈশ্বরের প্রতি অথবা হয়ত প্রতিটি মানুষের মনে যে সুকুমার বৃত্তিটুকু বেঁচে থাকে সকল হীনতা-দীনতার মুখে--তার প্রতি।
আমার খুব ভাবতে ইচ্ছে করে হয়ত শেষোক্তটিই সত্যি।
ড.ইউনূস অর্থনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট একজন মানুষ হলেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাবার পর শান্তির একজন দূত হিসেবেই দেশ বিদেশের মানুষের কাছে পরিচিত পান। কিন্তু নিজের গ্রামীন ব্যাংক এবং হালের সামাজিক ব্যবসা ছাড়া তাকে বিশ্ব শান্তির কোন বিষয় নিয়েই সরব দেখা যায় না। বিশ্ব শান্তির কথা না হয় বাদই দিলাম দেশের শান্তি যখন বিনষ্ট তখন কেন তাকে সক্রিয় দেখা যায় না - বর্তমানে এ প্রশ্ন সবার।
বাংলাদেশে একে একে নানা জায়গায়-অনেক জায়গায় হিন্দু মন্দির-বৌদ্ধ বিহার এবং হিন্দু-বৌদ্ধ্ব-আদিবাসী নামক সকল কাফেরদের শেষ করে দেয়া হচ্ছে- তাদের প্রার্থনার স্থান ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে- বিতাড়িত করা হচ্ছে এদেশের মাটি থেকে। অনেকে মায়াকান্না কাঁদছেন, অনেকে বলছেন ওরাও(!) মানুষ, অনেকে বলছেন তাদেরও(!) অধিকার আছে, অনেকে বলছেন এগুলা হিজবুতিদের কাজ-জামাতিদের কাজ!