এককালে এসএসসি, এইচএসসি দিয়েছিলাম। গোল্ডেন কোনটাতেই পাইনি, দুক্ষেত্রেই দুটো করে মিস গিয়েছিলো। ইন্টারে আবার ইংরেজিতে এ-প্লাস তো অনেকদূর, এ মাইনাস পেয়েছিলাম। এখনকার কথা ভাবলে গা শিউরে ওঠে! পরে কিন্তু জিআরই ভার্বাল আর আইএলটিএসে খারাপ করিনি (আর আমার এ-প্লাস পাওয়া বন্ধুগণ কি করেছে, সে নাহয় নাই বললাম)
কোনমতে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পেরেছিলাম, ১৮ দরকার ছিল, পরীক্ষা দিতে বসতে, আমার ছিলো সাড়ে আঠারো। আজকাল ভাবলেই মনে হয়, বিরাট বাঁচা বেচে গেছি! এখন যে পরিমাণ এ-প্লাসের ছড়াছড়ি, তাও আবার গোল্ডেন!
আমার সময়ের গোল্ডেন-ওয়ালারা কোথায়? আমি বলতে পারি, ৫০% বুয়েট-মেডিকেলে পড়ে, খেয়ে-পরে ভালই আছে। আর বাকি ৫০%? আমার কোন ধারণা নেই, তারা কই গেছে কে জানে। সেই ১০-১২ বছর আগের সেই নাক-উঁচু গোল্ডেন এ-প্লাসরাই যদি হারিয়ে যেতে পারে, তাহলে আজকের কাঁচকি মাছের ঝাঁকে ঝাঁকে মত এ-প্লাসেরা কই যাবে?
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর এ ধরনের প্রশ্ন উঠছে। গত কয়েক বছরে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে-- সত্যিই কি সর্বোচ্চ গ্রেড পাওয়ার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মেধা কিংবা লেখাপড়ার মান বৃদ্ধির ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে? থাকলে সেটা অবশ্যই ভালো; কিন্তু খোদ রাজধানীর অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ যখ...