ডান হাতে বিকটাকার একটা বই, সাথে চক-ডাস্টার। বাম হাতে একটিমাত্র জিনিস- তিন ফিট লম্বা, লিকলিকে, চকচকে একটা বেত। স্মিতহাস্যে সদা উজ্জল দু'খানা ঠোঁট আর পুরু লেন্সের কারণে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ছোট মনে হওয়া একজোড়া পিটপিটে চোখ- তাঁর শুধু এই দুইটি জিনিস যিনি দেখবেন, তিনি তাঁকে নিতান্ত-ই কোমল মনের রসিক একজন মানুষ বলে ধরে নিবেন। যিনি শুধু তাঁর ডান হাতের দিকে তাকাবেন, তাঁকে প্রচন্ড বিদ্যানুরাগী, জ্ঞান-তাপস একজন মানুষ বলে নির্দ্বিধায় স্বীকৃতি দিবেন। কিন্তু এই দুইয়ের সাথে, বাম হাতের অদ্ভূত ভয়ংকর ভঙ্গিমায়, তীব্রভাবে দোদুল্যমান বেতখানি যিনি দেখবেন, অভিন্ন একজন মানুষের বিভিন্ন অংশের চরমতম বৈপরীত্য দৃষ্টিগোচর হবার প্রচণ্ড প্বার্শ-প্রতিক্রিয়ায়, হৃদযন্ত্রের যাবতীয় কার্যকলাপ সাঙ্গ করে তৎক্ষনাত তার ইহধাম ত্যাগ করার সমূহ সম্ভাবনা আছে বৈকি!
ছোটবেলা থেকেই অভিভাবকেরা ছাত্র রাজনীতিতে নিরুতসাহিত করলেন।এর কারণ আজো বোধগম্য হয়নি আমার কাছে।অথচ এই ছাত্র রাজনীতি না থাকলে আজ উর্দুতে ব্লগিং করতে হত,ইপিসিএস পাশ করে সিএসপির ধমকে বারান্দার রোদে দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবী হাফরেড কলোনিয়াল বড়ে মিয়ার কাছে পোস্টিং-এর তদবির করতে হতো,নিজের ভাঙ্গা গাড়ীটা নিয়ে সিএসপির জন্য গোমাংস কিনতে ছাগলনাইয়া যেতে হতো।অথবা পাকিস্তান টাইমসে লেটার সেকশন ...
বাংলাদেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থেকে লেখাপড়ার করতে চাইলে বেশ কিছু ঝামেলা নিয়মিত হারে সহ্য করতে হয় । তার মধ্যে একটা হল হুজুরদের অত্যাচার । একদল ছাত্র কে জানে কিসের প্রভাবে ছাত্রজীবনের মাঝামাঝি এসে হুজুরে পরিনত হয় । নিজে...
আমি সচলায়তনে নতুন। এখনো রেজিষ্টার্ড হইনি। তবুও সবার লেখা পড়ে নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে অতিথি লেখক হিসেবেই চালিয়ে যাচ্ছি। লেখক হিসেবে আমি তেমন উৎকৃষ্টমানের নই। তবুও জরুরী অবস্থা আর কারফিউ এর মধ্যে পড়ে আমার যে বেহাল দশা হয়েছিলো ...
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা, বিস্ময়কর বিশ্লেষণ এবং অতঃপর
অনিরুদ্ধ আহমেদ
[অনিরুদ্ধ আহমেদ পেশায় সাংবাদিক ও নিয়মিত কলামিস্ট। তার লেখার আমিও একজন ভক্ত। তার সাথে আমার যোগাযোগ ই-মেইল মারফত। তার অনুমতিক্রমে এই লেখাটি এখানে প্রকাশিত হলো...