কিছুদিন আগে মুন্সিগঞ্জে মেঘনায় কার্গো জাহাজের আঘাতে লঞ্চডুবি হয়ে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বার্ষিক ভিত্তিতে ঘটে, এবং যা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো, তা গ্রহণে জাহাজ মালিক, জাহাজ চালক, যাত্রী ও তদারককারী সরকারি প্রতিষ্ঠান, এই চার পক্ষেরই এক আশ্চর্য নিস্পৃহ মনোভাব দেখা যায়। দুর্ঘটনার পর স্মার্ট লোকেরা অনেক স্মার্ট স্মার্ট কথা বলে, কিন্তু ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যে যেসব স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মানুষের এই নির্মম প্রাণহানি এড়ানো যাবে, তা গ্রহণে কারোই মাথাব্যথা দেখা যায় না।
সহব্লগার দ্রোহী একদিন বলেছিলেন, বাঙালির দৃষ্টিসীমা অতীতে পাঁচ বছর আর ভবিষ্যতে সাত দিন। কথাটি যে সত্য, তা এ ধরনের দুর্ঘটনার সময় আরো ভালোভাবে অনুভব করি।
[অনলাইনে কিছু দেখে বা পড়ে অতীতে যদি আপনার নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হবার কোন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে দয়া করে এই লেখাটি আর পড়বেন না। কারন লেখাটি পড়ে যদি আপনি ‘নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হন’ তাহলে তার দ্বায়িত্ব লেখকের নয়- এমন কথা আইনত: বলতে পারছি না।]
ঘটনার শুরু কিন্তু অতি সামান্য ঘটনা থেকে। কীভাবে যে তিল থেকে তাল হয়ে গেল! এখন এই বয়সে এই কলঙ্কের ভার তিনি কোথায় রাখে...