২০১০ সাল। ’০৯ ব্যাচের ক্লাস শুরুর এক কি দুই সপ্তাহ আগের কথা। বিকালে জনাকয়েক বন্ধু ক্যাম্পাসের হাফওয়ালে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হটাৎ দেখি একটা কালো, রোগাপটকা, লম্বাচুলো ছেলে মাজা থেকে প্যান্ট খসে পড়ে পড়ে অবস্থায় ড্যাংড্যাং করে হেঁটে যাচ্ছে। তখন ছিল র্যাগের মৌসুম। বন্ধুদের কেউ একজন চিনত যে ও নতুন ব্যাচের। আর যায় কই, প্রথমে ক্যাম্পাসে এবং পরে হলে এনে ডাইনিংয়ের আগে পর্যন্ত টানা ৩-৪ ঘণ্টা র্যাগ দেয়া হল ওকে। দীপের সাথে সেই প্রথম পরিচয়।
ফেব্রুয়ারির পাঁচ থেকে উত্তাল স্বদেশ আমার।
খুব অন্যরকম সময় এটা।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
এক.
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাটি নিয়মিত পড়ি। এ পত্রিকায় কারেকশন নামে একটা টুল আছে। ১৬ এপ্রিলে দেখি সেখানে কয়েকটি সংশোধনী দেওয়া আছে।
১। প্রথম পৃষ্ঠায়—রুজভেল্ট আইল্যান্ড গার্ডেন ক্লাবের একটি ছবি ছাপার ক্যাপশন ভুল হয়েছিল।
শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের একাংশের প্রতিক্রিয়া ও আচরণ বুঝতে গেলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে আমাদের। একাধিক বিবেচনায় দেশ পেছন দিকে হাঁটছে, সে যাত্রায় ক্ষণিকের জন্যে সঙ্গী হলাম নাহয় আমরাও।
শেলফের একটা বড় অংশ জুড়ে আধিপত্য বিরাজ করে আছে ধর্ম শিক্ষা, ইসলামের ঐতিহ্য, ইসলামি মুল্যবোধ, দীনের আলো মার্কা বিভিন্ন বই । টিউবলাইটের এই মৃদু আলোতেও তাদের সোনালী / রুপালী রং এর জলে খোদাই করা আরবী অক্ষরগুলো যেন দম্ভ সহকারে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। । এদের উপরেই ভাতৃত্ব্যসুলভ সৌহার্দে অবস্থান করছে হুমায়ুন আহমেদ, ইমদাদুল আর আনিসুলেরা । শেলফের একেবারে নিচের তাকে, টিভি স্ট্যান্ডের আড়ালে প্রায় ঢাকা পড়ে যাওয়া অংশ থেকে ধুলো বালি আর অযত্নের অত্যাচার সয়ে লাজুক ভাবে উকি দিচ্ছে হুমায়ুন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস আর গোটাকতক কবিতার বই । এই রাম রাজত্বে এরা যেন অনাকাংক্ষিত অসুর । লুকিয়ে থাকতে হয় অন্ধকারে ।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ গোটাতে হবে- সরকার তথা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এমন মনোভাবেরই খবর পাওয়া গেছে। মঞ্চ যেন তাদের বাপ দাদার তালুক- ব্যাপারটা এমনই। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কি আওয়ামী লীগের কথায় হয়েছে? নাকী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই “ ক তে কাদের মোল্লা তুই রাজাকার” বলে মঞ্চের খুটিখানা গেড়ে দিয়েছিলো? আওয়ামী লীগ-বিএনপির ডাকে আজকাল কেউ কি আসে?
শাহবাগ আন্দোলনের একেবারের শুরুর দিকের কথা। কুখ্যাত রাজাকার কসাই কাদের ওরফে কাদের মোল্লার প্রত্যাশিত ফাঁসির রায় না পাওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ তখন জ্বলে উঠেছে। সেই আগুনের সবচেয়ে বড় শিখাটি জ্বলজ্বল করে জ্বলছে শাহবাগে। শিখার আগুন শুধু শাহবাগে স্থির থাকে না, আমরা জানি সেই আগুন বাংলার প্রতিটি মানুষের বুকে, সেই আগুন বাংলার প্রতিটি অলিতে গলিতে। আমরা যেইসব দুর্ভাগা স্বার্থপর, যারা সবকিছু ছেড়েছুড়ে দেশের ব
[justify]
।।১।।
প্রবাসী হওয়ার অনেক হ্যাপা। সবচেয়ে বড় ঝামেলা হচ্ছে হাতে কোন সময় থাকে না। সর্বদাই ব্যস্ত থাকতে হয়। এইদেশে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বসে দুদন্ড গল্প করার জো নেই – সব সময়েই তাড়াহুড়া। মার্কিন দেশ এক বিশাল বাজার বিশেষ, এইখানে আমরা সব সময়েই অদৃশ্য বাজারের থলি হাতে ঘোরাঘুরি করি।
এক.