আসুন, শাহবাগ আন্দোলনে নিজেদের দেখা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা আর ছবিগুলো জড়ো করি এখানে। বিশ্ব দেখুক আরেক মুক্তিযুদ্ধ।
কত কত দুর্ভাগা সময় পার করেছি আমরা। আমাদের চোখের সামনে মতিউর রহমান নিজামী নামের শুকরশাবক গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। শহীদ জননীর নামে একটা ছাত্রী হলের নামকরণ করতে পারিনি আমরা। বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী জামায়াত নামের বর্বর দলটা মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা নামের প্রহসন করার সাহস দেখিয়েছে। সেখানে প্রতিবাদ করায় লাঞ্ছিত হয়েছেন আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এক এককে এক—
রাজাকারের বাচ্চাগুলার কাঁপছে হাঁটু,দ্যাখ!
দুই এককে দুই—
পার পাবিনা হারামজাদা কসাই কাদের তুই!
গতকাল শাহবাগ থেকে আসার পর সবগুলো পেপার পড়লাম। আর সাথে মিডিয়াতে খবরগুলো দেখলাম। শাহবাগের গণজাগরন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর টানা হেচরা ছিল চোখে পড়ার মতন।
মির্জা ফখরুল সাহেব জেল থেকে বের হয়ে বললেন এটা নাকি "তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন", বিএনপি পন্থি কিছু ব্যারিস্টার বললেন ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দিতে আর খালেদা জিয়া ম্যাডাম তো পুরাই চুপ।
দৈনিক প্রথম আলোর পোষা বাম ফারুক গুয়েবাড়াসহ আরো দুয়েকটি পল্টিবাজ গত কয়েক বছর ধরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাষায় ছাগুদের ধামা ধরে পেট ভরে দই খেয়ে এখন মুখে চুনের দাগ লাগিয়ে শাহবাগে হাজির হয়ে বিপ্লবী সাজার চেষ্টা করছেন। দৃশ্যগুলো কৌতুককর, কিন্তু সে কৌতুক হিমশৈলের চূড়া কেবল, সে কৌতুকের ভিত নেমে গেছে আশঙ্কাজনক কুমতলবের সাগরের গভীরে।
১.
আসেন এই পোষ্টারগুলি ছড়িয়ে দেই। আমরা শপথ নিয়েছি জামাতশিবিরের ব্যবসা বর্জনের, সেই শপথ সারা বাংলাদেশে, সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাক।
শাহবাগে আজ সচলায়তনের সদস্যরা অন্য দিনের মতোই জড়ো হয়েছিলেন, তবে এবার সচলের ব্যানার নিয়ে। শাহবাগে জড়ো হওয়া আনুমানিক তিন লক্ষ মানুষের ভিড় থেকে বেতারায়তনের বই-দেশিক আড্ডায় তিনজন সচল এসে উপস্থিত হয়েছিলেন গতকাল রাতে। আড্ডায় ছিলেন ওডিন, সুরঞ্জনা, স্যাম ও হিমু।
সাথে রাজাকার ফাসির দাবীতে সোচ্চার শাহবাগ সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গার চলমান আন্দোলনের খবর শুনছিলাম অপেক্ষা করছিলাম লন্ডনেও এমন কিছু হয় কিনা। অবশেষে গতকাল রাতে হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি ইভেন্ট থেকে জানতে পারি শাহবাগের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে শুক্রবার আলতাব আলী পার্কে থাকার ডাক দেয়া হয়েছে। সাথে সাথেই টেক্সট মেসেজে বন্ধু বান্ধবকে ব্যাপারটা জানিয়ে দেই। সবাই তখন চরম উৎসাহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত একজন আমার দাওয়াত কবুল করেছে সে যাইহোক একজনই বা কম কিসে?
দুপুর ২টা থেকে শুরুর হওয়ার কথা থাকলেও আমার সেখানে পৌছতে একটু দেরি হয়ে যায়। ততক্ষনে দাবী আদায়ের স্লোগান পুরো দমে শুরু হয়ে গেছে। এত মানুষ দেখে মন ভরে উঠল। বেশ কয়েক জায়গা থেকে স্লোগান দেয়া হচ্ছিল।
প্রবাসী বাংলাদেশী ও তাদের সহযোগীদের প্রতিবাদ সংকলন