খুব ছোটবেলায় বাংলাদেশ প্রবাসী এক নরওয়েজিয়ান পরিবারের আমার বয়সী এক পিচ্চি মেয়ের ডল-হাউজ দেখে খুব শখ হয়েছিলো আমারও একটা ওরকম থাকা দরকার। পুতুলের জন্যে ঠিক তার নিজের বিছানার মতো কাঁথা-বালিশ-বেডকভার সহ রট-আয়রনের ডিজাইন করা খাটও ছিলো। দুই বালিকার ভাষা এক ছিলো না, কিন্তু খেলতে সমস্যা হয়নি। শুধু রাতে নিজের বিছানায় ঘুমাবার সময়ে বাবা-মাকে ঐরকমের পুতুলের ঘর দেয়া যাবে কিনা, খাট সহ, জানতে চেয়েছিলাম। খুব বেশি ক্লান্ত থাকায় সেরাতে বা পরবর্তীতে ব্যাপারটা নিয়ে আর ঘ্যান ঘ্যান করার সুযোগ হয়নি। আর একটু বড় হলে খেয়াল করতে পারতাম, যে আমার বাবা-মা নিজেদের মাঝে দৃষ্টি বিনিময় করছেন, ওরকম দামী খেলনা দেয়ার সাধ্য তাদের নাই ভেবে।
(বিনীত অনুরোধ ঃ এটি সেই অর্থে কোনও লেখা নয়, নিজের বিচ্ছিন্ন কিছু ভাবনাকে প্রকাশের চেষ্টা মাত্র। মোডারেটর এর কাঁচি ফাঁকি দিয়ে যদি পাঠকের মুখ দেখে (যদিও আশা কম) দয়া করে সবধরনের ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন )
আমাদের দেশে বোধহয় না মরলে খেতাব টেতাব পাওয়া যায় না !!!!
না না, আমার কোন খেতাব পাওয়ার শখ হয়নি, এতো আগে মরার তো নয়ই ; খুব খুব প্রিয় আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে বলছি।
বয়সন্ধির ছয়টা বছর ছিল কবর আজাবের মত বিভীষিকাময়। আর নির্মমভাবে উপুর্যপুরি গজব প্রদানকারী ব্যক্তিটি হলেন 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' আমার মা। টক-ঝাল-মিষ্টি আমার কিশোরীবেলা নিমতিতা হয়ে গিয়েছিল ওনার অত্যাচারে। নিয়মিতভাবেই আমাদের ভেতর অনুষ্ঠিত প্রচন্ড উত্তপ্ত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমি ওনাকে ঘায়েল করতে এ্যাটম বম্ব মারতাম,
"তুমি আমার সাথে এরকম ঘসেটি বেগমের মত আচরন কর কেন?!"
গোলাপ গোঁজা আম্মুজানের খোঁপায়
কন্যা দেখে বায়না ধরে, ফোঁপায়,
আমার কখন হচ্ছে অমন চুল?
গুঁজবো কবে রক্তজবার ফুল?
আব্বু যখন নেই থাকবেন বাড়ী,
পুত্র করে রেজর নাড়ানাড়ি,
আর ভাবে সে কখন হবে দাড়ি?
শেভটা করার বেজায় তাড়াতাড়ি!
মেইন গেট থেকে দৌড়ে এসে মূল বাড়ির সামনের বারান্দা থেকে ডানে টার্নিং নিয়েই পানির পাম্পের ঘর থেকে মূল বাড়িতে ঢুকবার অন্য দরজাটার সামনে থমকে যায় রানু। শুক্কুরবারের দিন, বেলা বারোটা ছুঁইছুঁই। বরফ-পানি খেলা চলছে পুরোদমে। অন্য সময়ে ব্যাপারটা বাড়ির সামনের উঠানেই সীমাবদ্ধ রাখতে হয়, নানু মোটেই এতগুলো বাঁদরের সারা বাড়ি হুড়াহুড়ি করে এটা সেটা ভেঙে, তছনছ করে তাঁর ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়া পছন্দ করেন না। তাতে যে ছোট মর্কটেরা খুব একটা থেমে থাকে তা নয়, তবে তাঁর বাজখাঁই ধমককে ভয় পায় বৈকি।
[justify]
"একদিন চুপিচুপি দুর্গা বলিল– চড়ুইভাতি করবি অপু?
অপু মহা উৎসাহে শুকনা লতাকাটি কুড়াইয়া আনে। এই তাহাদের প্রথম বনভোজন। অপুর এখনো বিশ্বাস হইতেছিল না যে, এখানে সত্যিকারের ভাত তরকারি রান্না হইবে, না, খেলাঘরের বনভোজন– যা কতবার হইয়াছে– সেইরকম– ধুলার ভাত, খাপরার আলুভাজা, কাঁটালপাতার লুচি।"
#আম আঁটির ভেঁপু :বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ছোটোবেলায়, আমার বাড়ির সামনে শিউলিগাছ ছিলো একটা। গাছটার মাথা খারাপ। সারাবছর ফুল হতো তাই। আর সেই গাছের নিচ দিয়ে যারা হাঁটতো তাদেরও মাথা খারাপ করে দিতো। তারপর একবার বন্যায় ডুবে গাছটা মারা গেল।
এই গল্প অবশ্য তার মৃত্যুর আগের। শিউলিতলায় তখন সাদা সাদা ফুলগুলো ছড়িয়ে থাকতো। আর থাকতো তাদের জাফরানি ডাঁটি। তবে সেই ফুল আমাদের কোনো কাজে লাগতো না। নীলাদের অবশ্য কাজে লাগতো। খুব সকালে ও আসত ...
[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে]
কাল রাতে ঘুমাতে দেরি হইছিলো,স্বভাবতই উঠতে দেরি হবার কথা।তা না,ঘুম ভেঙে গেলো এক্কেবারে ভোরবেলায়!আজব ব্যাপার!
যাই হোক,আর ঘুমালাম না।সকালের নাস্তা করে একটু বের হতেই দেখি,একটা পিচ্চি তার মা'য়ের সাথে স্কুলে যাচ্ছে।মা টা পিচ্চিটার একটা আঙ্গুল ধরে রাখছেন,আর উনি মহানন্দে তিরিং বিরিং করে এগুচ্ছেন!বাউন্সিং বলের মত!অসাধারন লাগছিলো দেখতে।
সেই থেকে দৃশ্যট ...
১.
মাঝে মাঝে আমার দুপুরগুলো আটকে যেত। শুধু আমার না, আমাদের সবারই। হয়তো টেনিস বলটা হারিয়ে গেছে, টেপির বাড়ির পেয়ারাগুলোও শেষ। কিছুই করার পাচ্ছি না। রোদ-বৃষ্টি তো গায়ে মাখিনি কখনো। লাগতো না। তারপরও এইসব দামাল ছেলেরাই দুপুর জালে আটকা পড়তাম। আটকা পড়লে বুঝি কথা বলাও মানা। পাঁচিল ঘেঁষা সুপারি গাছে হেলান দিয়ে, নিয়ামুল ভাইদের ছাদ থেকে উঁকি দেওয়া, ডালিয়ার সারি দেখতাম। মাঝে মাঝে এক পশলা ব...
আব্বা ব্যক্তিগত বা অফিসের কাজে প্রায়ই ঢাকা যেতেন। সেসময় ঢাকা-ময়মনসিংহের বর্তমান রাস্তাটা ছিলোনা, বাস যেতো টাঙ্গাইল ঘুরে, ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইল ৬০ মাইল, এরপর টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা ৬০ মাইল, আর ট্রেনে গেলে ৯৪ মাইলের মতন, সময় লাগতো কম, তাই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যেতে ট্রেন ছিলো সবার প্রথম পছন্দ। ঢাকায় এলে অফিসের কাজ সেরে আব্বা ঘোরাঘুরি করতেন, টুকিটাকি জিনিষ কিনতেন। আর এসবের জন্য অবশ্যই “...