সুদূর দূরে হারিয়ে যাওয়া নীল দিগন্তের আলোতে হেঁটে চলে গেছি
কতো পথ-কোন এক অজানা পৃথিবীর রূপকল্পে আর সীমাহীন মাদকতায়
অবাধ-অসীম স্বপ্ন গুলোকে বুকে করে কেটে গেছে
কতো না প্রহর, হারিয়ে গেছে কতো বেলা-অবেলা।
আজও সেই সুর বাজে - যার কলতানে এক হয়ে
সময়ের আগে - সময়ের স্বপ্ন গুলোকে গিয়েছি বুনে।
আজও কি ফিরে আসে তারা? আজও কি সেই রোদ
খেলা করে মাঠে - ঘাসে - ফড়িংযের ঘরে?
সেই দুরন্ত সময়ের শিশির ভ...
ইহা একটি ছোটবেলা প্রযোজনা: পর্ব এক: গান
গত লেখাতে উল্ল্যেখ করেছিলাম যে আমি ছোটবেলা থেকেই কিছুটা ভাবুক গোছের ছিলাম। আমার এহেন ভাবনার কারণে প্রায়শই দেখা যেতো গাছের মুচি এবং আমড়া পেকে বড় হবার আগেই গাছ থেকে নাই হয়ে যাচ্ছে! ওগুলো যে আমারই পেটে যাচ্ছে তা কি আর আমার নানা বুঝতেন? উনি লাঠি নিয়ে প্রায়ই চক্কর দিয়ে যেতেন বাগানে, যদি পাড়ার বাঁদর ছেলেপিলেগুলোকে হাতে নাতে ধরা যায়! যা হোক, প্রকৃতি এবং বিজ্ঞান নিয়ে আমার ব্যাপক চিন্তা ভ...
আমার শৈশববেলা
সেদিন লিখেছিলাম একটি গল্প, আমার ডায়রীর পাতা থেকে। তবে আজকে পেছনে ফেলে আসা নিজের শৈশবের কিছু ঘটনা মনে পড়ছে, তারই খানিকটুকু এখানে লিখে ফেললাম………
লেখক হুমায়ুন আহমেদের মতো আমিও বলবো, “জন্ম মুহুর্তের কথা কিছু মনে নেই আমার”। তবে ছোটবেলার খন্ড খন্ড অনেক ঘটনাই স্বর্ণালী স্মৃতি হয়ে আছে এখনও, থাকবে। সেই সব স্মৃতি মনে পড়লে নিজেই হাসি অথবা কখনও কখনও দু’ফোটা চোখের জল ফেলি…...
।।এক
প্রথম পর্বটি পাবেন এখানেঃ
জীবনে প্রথম প্রেমের স্মৃতি ভোলা খুব কষ্টকর, আর সে যদি হয় একদম ন্যাংটাকালের প্রেম তাহলেতো কথাই নেই। আমার জীবনের প্রথম ক্রাশ-প্রথম ভাললাগা ছিল মেরিলিন মনরো...তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি! চিত্রালি অথবা তারকালোক ঈদ সংখ্যায় তার পুরো পাতা অর্ধনগ্ন একটি ছবি ছাপা হয়েছিল, এখনো মনে আছে লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে গায়ে লাল কাপড়ের অংশ জাতীয় কি...
(এই লেখাটি অন্য নামে আরেকটি ব্লগসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় একবছর আগে। জানিনা এই লেখাটি সচলায়তনের নীতিমালাকে লংঘন করলো কিনা।
লেখাটি একটু বড় বলে প্রথমে অর্ধেকটা দিয়েছিলাম। এখন শেষের অংশটুকুও একসাথে জুড়ে দিলাম। সবার ধৈর্য্যের পরীক্ষা হবে তাতে।)
আমাদের শৈশব বা কৈশোরের সময়টি ছিল বড় অদ্ভুত। আজকের সময়ের সাথে তুলনা করলে মনে হয় কত কিছু জিনিস ছিলনা তখন। এখন যেমন একটি স্কুল বা কলেজ ...
ছোটকাকুর সাথে বাইরে বেরহলে অদ্ভুত সব জিনিস দেখি- ইউক্যালিপ্টাস বন, ব্রডগেস লাইন, জোড়া দিঘি আর জটাধারী বট। হয়তো কোনো একদিন বিকালে এসে বলবে, ‘চল তেপান্তরের মাঠ দেখে আসি’। আমি খুশিতে লাফিয়ে উঠলে, তুলে সাইকেলের পিছনে বসিয়ে বলবে, ‘শোন, শক্ত করে ধরবি, আর সাবধান, পা যেন যায় না চাকার মধ্যে! সব চেয়ে ভালো হয় যদি পা দুটো অ্যারোপ্লেনের পাখার মত ছড়িয়ে রাখিস।’ ছোটো কাকুর সাইকেল আমাকে ছোটো রাস্তা...
ঠা-ঠা রোদে পিয়ারীমোহন রোডটা কেমন যেন দুলতে থাকে। আমরা যারা টেপির বাড়ির দেয়ালে বসে থাকি তারা ভাবি, ব্যাপার কী, রাস্তা নাচে কেন! কেউ একজন একটু নিরিখ করে বলে, মনে হয় রোদে পাশের ড্রেন দিয়ে ভাপ উঠছে। আরেকজন বলে, ড্রেন দিয়ে ভাপ উঠলে রাস্তা নাচবে কেন?
প্রথম পর্বে বলেছিলাম দুটো দুর্ঘটনার কথা। এবারো রয়েছে দুটো। তবে প্রথম দুটোর মত এ দুটো অত মারাত্মক কিছু ছিল না। তবে একটু এদিক ওদিক হলে কি হতো বলা যায় না। য...
বুড়ো হয়ে যাইনি এখনো, তা ঠিক। কিন্তু বয়স একেবারে কমও হয় নি। এখন মাঝে মাঝে পেছন ফিরে তাকানো যায়। মাঝে মাঝে শৈশব কৈশোরের স্মৃতি রোমন্থন করে সুখ-দুঃখের ঝিনু...