মাঝে মাঝে কিছু সেলসম্যান আসে।
ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ব্যাংকের ডেপোজিট, কক্সবাজার বান্দরবন ট্যুর প্যাকেজ এসব।
প্রায়ই আসে বই বিক্রেতা। সমস্যা হলো, বইয়ের বৈচিত্র্য নেই। এ পর্যন্ত যতজন বই বিক্রি করতে এসেছে - তার বেশিরভাগ বিক্রি করতে আসে ডিকশনারী, হ্যারি পটার, রিপ্লি'স বিলিভ ইট অর নট, অ্যানিমেল ডিকশনারী; এগুলো। দুয়েকজন আসে - 'স্কিলস ফর ম্যানেজার, মোটিভেশন, লিডারশীপ' বিষয়ে টোটকা বই নিয়ে।
কথা ছিলো বৈশাখের চিড়বিড়ে গরমে সচলেরা তাদের ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া, বিলুপ্তপ্রায় জ্বীন-ভূতেদের পুনরুজ্জীবিত করবেন বৈশাখ ১৪১৯-এর সচলায়তন ই-বুকের জন্যে। তা সে কথা, কথাই রয়ে যাচ্ছিলো প্রায়, বাস্তবে আর রূপ মিলছিল না। বৈশাখের ১ তারিখ পেরুল, ৭ পেরুল, ১৪ পেরুল... বই তো দূরে থাক, লেখা কই?!!
ই-বই বাহিনীর কর্মীবৃন্দ প্রতিদিন ই-বই মেইল-বক্স চেক করেন, আর ইন-বক্সে জমা হওয়া গুটিকয় লেখা নিয়ে চক্ষু-চড়কগাছ করে বসে থাকেন। শুনলাম আধি-ভৌতিক ব্যস্ততায় সচল-হাচল-ইবই বাহিনী সব্বাই জর্জরিত!
মাঝে রাগ করে মনে হলো লেখা পাঠাবার ইমেইল অ্যাড্রেসটা ‘লেখকের মৃত্যু এট জিমেইল' টাইপ কিছু দিলে ভালো হতো!
তারিখ: রবি, ০৪/০২/২০১২ - ০৯:১৫ অপরাহ্ন (হালনাগাদকৃত)
বৈশাখ ১৪১৯ এর ই-বই এর জন্যে লেখা আহ্বানঃ
বিষয়ঃ জ্বীনওভূততত্ত্ব (মানে ভূত-পেত্নী, ভয়খাওয়া, ভয়দেখানো নিয়ে আপনার মাথায় যা কিছু গল্প-ছড়া-ফটো-আঁকাআঁকি আসে আরকি!)
লেখা পাঠাবার শেষ তারিখঃ ৩১ মার্চ, ২০১২ ৭ এপ্রিল, ২০১২
প্রস্তাবনাটা এসেছিল এই মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই সচল অমিত আহমেদের কাছ থেকে, যে এবারের পহেলা বৈশাখ ১৪১৮ তে অন্যান্য বারের মতোই সচলায়তন থেকে কোন ই-বই বের হবে কিনা। আসলেই, পহেলা বৈশাখের ই-বই বের করার প্রতিবারের ঐতিহ্য না ভেঙে বরং দ্রুত সিদ্ধান্ত হয় এবারের ই-বইয়ের বিষয়, লেখা জমা দেবার তারিখ এগুলো। এবারের বিষয় নির্ধারণ করা হয় ‘ভ্রমণ’। সম্পাদনা পরিষদ থেকে নজরুল ভাই পোস্ট দেন লেখা চেয়ে। সকলের কাছ থেকে চমৎকার সাড়া মেলায় শুরু হয় ই-বুকের কাজ।
খেলাপির খাতায় নাম প্রায় উঠেই যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো। ভাগ্য বলে আসলে কিছু রয়েছে সেটা আবারো বুঝতে পারলাম। কলেজের স্মৃতি নিয়ে ই-বই প্রকাশের উৎসাহ নিয়ে যখন কাজ শুরু করি তখনও বুঝতে পারিনি বিষয়টা এত কঠিন হয়ে উঠতে পারে। বই প্রকাশের মতো আপাতঃ সহজ কাজটি যে কতটা কঠিন তা বেশ বুঝতে পেরেছি। যাই হোক, সচল/হাচল-দের কলেজের স্মৃ...
সে অনেক দিন আগের কথা। আমাদের ক্রিকেটাররা তখন খেলতো সম্মানজনক পরাজয়ের জন্য। সময় গড়িয়ে গড়িয়ে অনেক দূর এসেছে। ক্রিকেটাররা অনেক কিছু শিখেছে, উন্নতি করেছে। তাদের দক্ষতা হয়তো খানিকটা বেড়েছেও। এখন তারা খেলে জয়ের জন্য। সেজন্যই হয়তো এই বাড়তি আত্মবিশ্বাস।
তারা যখন পরাজয় বরণ করে, তখন বলা হয় এদের অভিজ্ঞতার অভাব। নতুন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে খেলার জন্য পোক্ত হতে না হতেই তাদের ন...
কলেজ নিয়ে গল্প লেখার কি কোন শেষ আছে? না, নেই। কলেজের স্মৃতি ভুলে গেছেন এমন কেউও সম্ভবত নেই। কলেজের জীবন আমাদের ছাত্র জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-অঙ্গন কাঁপানোর অভিপ্রায়ে কলেজ জীবন কারো কারো জন্য একটা প্রস্তুতিকাল। আবার অধিকাংশের জন্যই কলেজ হয়ে ওঠে জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছার প্রথম সিঁড়ি।
নটরডেমে যেদিন ওরিয়েন্টেশন হয় সেদিন ছিল ঢ...
ছোটবেলা থেকেই বইয়ের মধ্যে ভালো লাগতো বাংলা (গদ্য/পদ্যের) বই আর যেকোন বাংলা রচনার বই। কারো বাসায় বেড়াতে গেলে এমন কি গ্রামের বাড়িতে গেলেও যেকোন ক্লাশের বই হাতের কাছে পেলেই আমি উল্টিয়ে দেখতাম, হয়তো দুয়েকটা গল্প বা কবিতা পড়েও ফেলতাম। তেমনি ভালো লাগতো রচনা বই। বিশেষ করে 'আমার জীবনের লক্ষ্য' টাইপের রচনা আর ভ্রমণ জাতীয় রচনা। রচনার ক্ষেত্রে একাধিক লেখকের লেখা পড়ার উদ্দেশ্য ...
কাঠগড়ায় গল্প
সচলায়তন বিষয়ভিত্তিক সংকলন: না বলা কথা
ফাল্গুন ১৪১৫
প্রকাশায়তন, ঢাকা-১২১৩
প্রচ্ছদশিল্পী: অমিত আহমেদ
ISBN: 984-300-003082-7
৬৫ পৃষ্ঠা
শুরুর কথা
সচলায়তন অণুগল্প সংকলন "দিয়াশলাই" প্রকাশের পর থেকে যে প্রশ্নটি আমরা অবিরত পেয়েছি তা হলো, "নতুন ই-বই কবে হবে?" ই-বই করতে গিয়ে বুঝেছি ই-বই আর ছাপা-বইয়ে মধ্যে পার্থক্য কেবল ছাপা আর বাঁধাইয়ে। আমরা বই না ...
স্কুলে যাওয়ার পথে ছিল বড়সড় বাঁশ ঝাড়। তার পাশে বিশাল এক তালগাছ। ছোট্ট শরীরের উপর ভর করে মাথা তুলে উপরে তাকিয়ে নিমিষেই গুনে দেখেছি- একশ হাতের চেয়েও লম্বা ঐ তালগাছ। বাতাস বইলেই বাঁশঝাড়ে এক অদ্ভুত শোঁ শোঁ শব্দ হতো। মনে হতো বাতাস ভেদ ...