... বানান ব্যক্তির সম্পত্তি নয়, তাই তা ব্যক্তির ইচ্ছাধীন ভৃত্যও নয়; বানান ভাষার সম্পত্তি, ব্যাকরণের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই অধিকারের সীমানা সম্পর্কে ঔচিত্যজ্ঞান থাকলে বানানের ক্ষেত্রে নিয়মনিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করা যাবে, নইলে নয়। –হায়াৎ মামুদ
অর্থভেদে অভিন্ন বানানকে কার-এর সাহায্যে ভিন্ন বানান করার প্রবণতা প্রথম শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। তিনিই প্রথম কি শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ...
আমরা যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে পারি না তা শুনতেও পাই না। যদি বা শুনি, ভুল শুনি। বাংলাদেশের বেশ কিছু আঞ্চলিক ভাষাতে ড় ধ্বনি নেই কিংবা প্রায় নেই। অনেকেই তাই এই ধ্বনি দুটিকে ভিন্নভাবে উচ্চারণ করেন না। এঁদের উচ্চারণে পড়া/পরা, কড়া/করা একই রকম শোনায় (জোড়ার দ্বিতীয় শব্দটির মতো)। এদিকে আড়জেরাই বা কম কিসে? তাঁদের উচ্চারণেও পড়া/পরা, কড়া/করা একই রকম শোনায়। তফাৎ শুধু এই যে, এঁরা উচ্চারণ করেন ...
আমাদের হাতে একটি প্রমিত বাংলা বানানরীতি আছে। অথচ এত কষ্টের মাতৃভাষায় যে সুখ করে কিছু লিখব বা পড়ব! বানানের দৌরাত্ম্যে সে সুযোগ খুবই কম। সারা বিশ্বেই বানান উচ্চারণ-নির্ভর নয়। ব্যাকরণের ছাপ তাতে থাকবেই থাকবে। কিন্তু বাংলা বানানের বিশৃঙ্খলা যেন কিছুতেই কমবার নয়।
যা হোক আশার কথা হলো একটি গ্রহণযোগ্য বানানরীতি আমাদের হাতে আছে। বাংলা একাডেমীর বানানরীতিটি ভাষাবৈজ্ঞানিক এবং প্রগত...