সা লি শ ।। সা গ র র হ মা ন
আতামিয়ার গাঢ়ের রগ ত্যাড়া। সে রগ ত্যাড়া গাঢ় আরেকটু ত্যাড়া করে বললো, আপনেগো সালিশ আমি মানি না।
মনা হিস্ হিস্ করে বললো, তুই এইসব কি কস্? তোর মরণের সাধ হইছে, নাহ্?
আদুভাই নামের আমাদের পাড়ায় এক বড়ভাই ছিলো। মানুষ ভালো কিন্তু জগতের কোন কাজই ভালো মত পারতো না সে। সোজা কথায় আমড়া কাঠের ঢেকি আর কী। আমাকে সাথে নিয়ে সারাদিন গোপালের মিষ্টির দোকানে বসে থাকতো আর একটু পর পর জোর করে আমাকে মিষ্টি খাওয়াতো। আমার কপ্ কপ্ করে মিষ্টি খাওয়া দেখলে নাকি উনার মন ভালো হয়ে যেত। তখনও আমার হাফ্-প্যান্ট পড়ার বয়স। আদুভাই বিরাট অকর্মণ্য মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই পরিবার থেকে শুরু করে বন্ধুস
নীরার চোখের পাতা কেঁপে ওঠে, সত্যি তো কিভাবেই বা বলবে সে, এ কি অদ্ভুত পরিস্থিতি ! সময়ের ধাঁধা! নীরার ইতিহাস কি নীরার কাছে একদম শক্ত কঠিন দৃঢ়? সে যা জানে ইতিহাস বলে, তা কি ধোঁয়াচ্ছন্ন ও কাঁপা কাঁপা নয়?
স্নান সেরে হাল্কা গোলাপী নরম ড্রেসিং গাউন পরে বেরিয়ে আসে অদীনা, মাথায় ভেজা চুল শুকনো তোয়ালেতে জড়িয়ে। ব্রেকফাস্ট টেবিলে তখন টোস্ট এগপোচ চা কফি এইসব সাজাচ্ছে হিন্দোল। সেদিকে চেয়ে একটু হেসে নিজের ঘরে চলে যায় অদীনা। হেয়ার-ড্রায়ার চালিয়ে দিয়ে চুল শুকনো করতে করতে সে গুণগুণ করে কী একটা গানের কলি। অদীনা কোনোদিন গান শেখেনি বটে, কিন্তু তবু কেন জানি প্রতি সকালেই একটা না একটা গানের সুর তাকে অধিকার করে।
হঠাৎ দেখা হলো মধুরিমার সঙ্গে। মধুরিমার সঙ্গে ওর ফুটফুটে মেয়েটাকে দেখে আমার ভাইঝি রুন্তুলির কথা খুব মনে পড়লো। যখন দেশ ছেড়ে চলে আসি তখন রুন্তুলি প্রায় এই বয়সীই ছিল।
"কী নাম রেখেছিস মেয়ের?"
"ওকেই জিজ্ঞেস কর না। এমনিতে খুব টরটরি। আজকে তোকে নতুন দেখে চুপ করে গেছে। মামণি, বলে দাও তো তোমার নামটা।"
টরটরি চুপ করে দেখছে, তারপরে আরেকটু সাধ্যসাধনার পরে বললো "তোমাকে বলবো কেন?"
ঋক ছিল একটা আধা আচ্ছন্নতার ভিতরে। কড়া সিডেটিভ দেওয়া হয়েছিল ওকে। তাই এখনও চোখ মেললে চারিদিক কুয়াশাকুয়াশা। একবার মাত্র চোখ মেলে আবার বুজে ফেলেছিল ঋক। এলিয়ে পড়ে থাকতেই ভালো লাগছে ওর।
১।
ট্রেনটা আস্তে আস্তে গতি কমিয়ে আনছে, দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলো নীলা। কাঁধের ব্যাগটা কাঁধেই ঝোলানো আর পাশেই চাকা লাগানো ট্রাভেল ব্যাগ। এখানে ট্রেন বেশীক্ষণ থামে না, নীলা জেনেছে আসার আগেই। এখন ট্রেনটা থামতেই লাফ দিয়ে নেমে ককিয়ে উঠলো নীলা। পেটের সেই ব্যথাটা। ধুত্তেরি ছাই, মনেও থাকে না।
আমি গল্পকার নই। তবুও গল্প ঘোরে মাথার ভিতরে। কোনোটিই পরিণতি পায় না। অর্ধেক মূর্ত হয়ে বাকিটুকুর প্রার্থিতায় মাথাকুটে মরে। তাকে সঙ্গত দিতে আমিও সঙ্গি হই তার। তাই এ লেখাকে গল্প না বলে গল্প ভাবনার পরিণতি প্রত্যাশা বলাটাই ভালো। এটা একটা প্রচেষ্টা । দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে এটা বেসুরো ঠেকবে হয়তো। মন্তব্য জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
রোদ ধরা খেলা
সম্প্রতি মানবাধিকার রক্ষার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (আমার উপলব্ধি ঃ আলমগীর যে দলেরই হোক তার কাজ হল বিনোদন দেয়া ! )
যেভাবে বাংলালিঙ্ক দামে পুরস্কার পাওয়া যাচ্ছে তাতে জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান সময়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়াও বিচিত্র নয় ! বরং সম্ভাবনা আছে ( যে যাই বলুক পুরস্কার তো আম্রিকার হাতেই থাকে ! )
ঢাকা থেকে ছাড়া সকাল দশটার একতা এক্সপ্রেস পথে পাক্কা আড়াই ঘণ্টা দেরি করায় পার্বতীপুর স্টেশনে পৌঁছাতে আকাশের রাত প্রায় ন’টা বাজলো। স্টেশনের উল্টোদিকের বাড়িগুলোর উপরে তখন রাতের তারাভরা স্বচ্ছ আকাশে চাঁদটা কেবল উঁকি মারছে। কুয়াশা না থাকলেও হিম হাওয়া বরফের ব্লেডের মতোন গাল চিরে যাচ্ছিলো।
“আচ্ছা, কাছেপিঠে কোন সুলভ হোটেল হবে কিনা জানেন নাকি ভাই?”, কুলিকে জিজ্ঞেস করে আকাশ।
“নিদ্রাকুসুম ইন-এ দেখতে পারেন।” রাস্তার মাথার দিকে ইঙিত করে লোকটা, “এই এক কিলোমিটার সামনে গিয়ে ডাইনে।“
ধন্যবাদ দিয়ে নিজের ট্রাভেল ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা দেয় আকাশ। আগে এদিকে আসেনি কখনো, এখানে কাওকে চেনেও না। হেড অফিসের মজিবর সাহেব বলেছিলেন শহরটা দারুণ। “নিজের থাকার ব্যবস্থা নিজে করে নিবা বুঝলা? তারপর সোজা গিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সাথে দেখা করবা।“