গল্প লেখার গল্প আজকাল বেশ জনপ্রিয় বিষয়। ফলের থেকে এখন গাছের দাম বেশি। বিহাইন্ড দ্য স্ক্রিন এর বিষয়েই সবাই জানতে বেশি আগ্রহী । তাই আশা করছি এ লেখার কাটতি ভালই হবে।
দিনে দুপুরে, সূর্য যখন ঠিক মাঝ আকাশে তখন কিংবা তার খানিক আগে আজরফ মিয়া খুন হয়ে যায় অথবা তার নিথর দেহ পড়ে থাকে ১নং শ্রীশ দাস লেনস্থ রাস্তার উপরে। যারা ইতিহাসের খবর রাখেন তারা জানেন মৃত্যু ১নং শ্রীশ দাস লেনের কাছে অপরিচিত কিছু নয়। ১৯৭১ সালের ২৮ শে মার্চ এই রাস্তার উপরেই ব্রাশ ফায়ার করে মারা হয় বিউটি বোর্ডিংয়ের মালিক প্রহ্লাদ সাহাসহ ১৭ জন বোর্ডারকে। অতএব মৃত্যু কিংবা অপমৃত্যু ১ নং শ্রীশ দাস লেন অ
সর্ষে ইলিশের ঝোলটা বাটিতে ঢালতে ঢালতে সোমা ভাবে এবার শুধু সালাদটা করে ফেললেই ডিনার রেডি হয়ে যায়। পিয়াসের ইলিশ মাছ খুব পছন্দ, ভাজা হোক আর দোপেয়াজা, অন্যদিন হলে ছেলেটা খেলার মাঠ থেকে ছুটতে ছুটতে ঢুকতো এ সময়ে ময়লা জামা ঘামে ভেজা মাথা-মুখ ধোবার আগেই মা’কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলতো খেতে দিতে...
গুলশান 'আড়ং'টা দেখেছেন তো আপনারা, তাই না? এই শুক্রবার সকালে টিপটিপানি বৃষ্টি শুরুর আগে দিয়ে সামনের উইন্ডোর মাঝখানের ম্যানিকিনটাকে আমরা একটু নজরে আনতে চাই। হুঁ, ঠিক ধরেছেন, গুলশান অ্যাভিনিউ থেকে তেজগাঁও ঢুকবার সময়ে আড়ং-এর এই আউটলেটের রাস্তার দিকে যে বড় বড় কাচের জানালা পড়ে, তার বাঁয়েরটায় রাখা চারটা ম্যানিকিনের দুই নম্বরটা... কী বলছেন, বাইরে থেকে ভালো দেখা যায় না পেছন ফেরানো ম্যানিকিনগুলো! আচ্ছা, সেভাবে বোঝা না গেলে আসুন আমরা একটু ভেতর থেকে চেষ্টা করি এবার। হুম, বৃষ্টিটাও শুরু হয়ে গেছে এতক্ষণে... দারুণ। ব্যাপারটা এমন, ভেতরে, শাড়ির সেকশন এটা। এখানে জানালার কাছের উঁচু জায়গাটায় চারটে ম্যানিকিন আছে, প্রতিটায় আড়ং-এর কালেকশনের সেরা চারটে শাড়ি পরানো থাকে। এখানে আয়নাটার দিক থেকে দুই নম্বর ম্যানিকিনটায় ফোকাস করবো আমরা... রাইট, এই তো বুঝেছেন এবার! এই ম্যানিকিনের সামনেই গভীর আগ্রহ ভরা চোখে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের আজকের শুক্রবারের এই বৃষ্টি ভেজা সকালের গল্পের নায়িকা... রওনক।
আসুন, আমরা এবার রওনকের দিকে দৃষ্টি ফেরাই...
বাল্যে আমাদের জুতা ছিল না। এ কারণে অবাল্যে কখনোই জুত করতে পারি নি। এ বিষয়ে আমাদের ঠাকুরদা সাফ কথা বলে গিয়েছিলেন—জুতো থাকলেই জুতোজুতি হয়। সুতরাং নো জুতো। নো টুতো। তাইলে জীবন উইদাউট খুঁতখুঁতো।
১.
মা কইল, তারা শুধু ছেলের লেখাপড়া টা চায় আর কিছু না।
আমি কইলাম, পড়াশুনা বিক্রি করিনা।
মা কইল, পড়াশুনা কি নিজের জন্য?
আমি কইলাম, না। পরকে বিলাইয়া দেওয়ার জন্য, নিজের পড়শুনা জাহির কইরা বিক্রির জন্য না। অন্ধজনে দেহ আলো। Let there be light.
মা কইল, ওরাও তো পর।
আমি কইলাম, তাইলে আপন হইতে চায় কেন?
শোনো ছেলের কথা। তাই বলে কি বিয়ে করবি না?
একঃ
অতসীর হাতে একটা গল্পের বই। তথাকথিত এক বাজারী লেখকের বই। দিয়ে গেছে কাকলী। নতুন বই। বইমেলা থেকে কেনা। অতসী নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেয়। কি মিষ্টি গন্ধ। মনের পর্দায় কিছু ভাসা ভাসা দৃশ্য ভেসে ওঠে। গতবছর বইমেলায় এই লেখকের সাথে তার দেখা হয়েছিল। তিনি বইতে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। সাথে ছিল তার শিশুপুত্র, স্ত্রী। বাচ্চাটা শান্ত স্বভাবের ছিল। অতশী যখন একটা বই এগিয়ে দেয় তিনি তখন অতশীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “আমা
[justify] অতো চিন্তাভাবনা করে ব্যবসাটা শুরু করিনি। প্রথমে ছোটোই ছিল। গাড়ির পার্টসের ব্যবসা। তারপর নানা কিছু শিখে ফেলি। লোক ঠকানো একদমই নিতান্ত প্রত্যন্ত একটা সাদামাঠা ব্যাপার। তাই ঠকানো শুরু করি। আচ্ছা, কেবল যে আমি একাই ঠকাই সেটা না। আপনারাও ঠকান। এমনকি আপনিও। স্যরি। রাগ করবেন না। নিজের কথাই বলি বরং। আমার খুব শীঘ্রি আরেকটা পার্টসের দোকান হয়। তারপরে আরো একটা। পরে গাড়ির ডিলারশীপ। গাড়ি বলতে মোটর-সাইক
[justify] দুষ্টুর অনেক আফসোসের মাঝে একটা বড় আফসোস তার নানাভাই। নানু মারা গেছেন সেই ছোট্টবেলায়, আবছা একটা ফটোগ্রাফ ছাড়া নানুর আর কোনও স্মৃতি নেই দুষ্টুর। তার আছে শুধু নানাভাই। ওর অনেক বন্ধুর নানুকেও দেখেছে ও, কিন্তু কেউই ওর নিজের নানাভাই এর মতো না। পাড়ার বন্ধুদের কথাই ধরি, মারুফের নানা থাকেন দেশের বাড়ি, প্রতিবার মেয়ের বাড়ি আসার সময় শুধু মারুফ না, দুষ্টুদের সকলের জন্যেই কতশত মজার জিনিস নিয়ে আসেন! রুপার নানা মারা গেছেন, ওর আছে নানী, নানীমনি কী সুন্দর গল্প বলেন! দুষ্টুর মাথায় বিলি কেটে কেটে কতদিন ওদের সবাইকে ঘুমকুমারির গল্প শুনিয়েছেন। দিনার নানাভাই এর মাথাভরা টাক আর গালভরা দাড়ি, ইংরেজি ছবি সান্তা ক্লজের মতো, দুষ্টুকে দেখলেই ছড়া কেটে বলেন, ‘দুষ্টের শিরোমণি, নামটাও তাই/ সারাদিন হেসে খেলে তাই তাই তাই! রিফাতের নানু একটু রাগী রাগী চেহারার, দেখলেই বানান জিজ্ঞেস করবেন, আর উৎরে গেলেই লজেন্স বা বাবলগাম দুষ্টু পাবেই!