কখনো লেখা হয় নি। লিখে কি লাভ? লেখা হলে প্রকাশের তাড়া থাকে। মাথার মধ্যে একটা যন্ত্রণা কাজ করে। আমার লেখক বন্ধুদের দেখেছি লেখা প্রকাশের জন্য কী দৌড়ঝাপ। লেখা মেইল করছে। সম্পাদকের কাছে ঘোরাঘুরি করছে। প্রেসে ছুটোছুটি করছে। বাপের পকেট মারছে। দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিজ্ঞাপনের জন্য। ভয়ংকর দশা।
আমি একবার এক উঠতি সাহিত্য সম্পাদকের কাছে গেলাম। তিনি হাসি হাসি মুখে কথা বললেন। বলল...
আমার বাবা যেদিন মারা গেল সেদিনই আগুনের বিভূতি টের পেলাম। আমাদের চোখের সামনে বাবা একটু একটু আগুনে ভস্মিভূত হচ্ছে। আর আমাদের চোখ থেকে জল ঝরছে। তবু ধরে আছি অগ্নি শলাকা। ঘুরে ঘুরে বাবার মুখে ছুঁইয়ে দিচ্ছি। বলছি-- হে অগ্নি, আমার বাবাকে গ্রহণ কর। একটা জীবনের পাপ নাও। পূণ্য নাও। ভাল নাও। মন্দ নাও। পঞ্চভূতে মিলিয়ে দাও আমার বাবাকে। এই অগ্নিস্নানের মধ্য দিয়ে আমরাও পূনর্জাত হই।
এই তো আগু...
চৈত্র মাসের “কাট ফাটা গরম” কথাটা ব্যবহার করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা করা যাচ্ছে না। এই দেশে চৈত্র মাস আসে না। এখানে আসে “সামার”। শীতের শেষে যখন গরম ওভারকোট থেকে শরীরকে বের করে আনতে শুরু করে সবাই, যখন সূর্যের তাপ জানিয়ে দেয় সে মধ্য গগনে রাজত্ব করতে মাস কয়েকের জন্যে হাজির হতে যাচ্ছে, যখন বিকিনি পরিহিতা সুতন্বীরা সমুদ্র সৈকতে তাদের শরীরের বক্ররেখাগুলো উন্মুক্ত করে লাস্যময়ী হাসি দিয়ে ছেলে বন্ধুক
লোকটা একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে বাইরের দিকে তাকালো।
সামনে দিগন্তজোড়া সমুদ্র, ঢেউ তেমন একটা নেই। যেন একটা বিশাল চকচকে ইস্পাতের পাত কেউ বিছিয়ে রেখেছে। দুপুরের সূর্যের তীব্র আলো সেখানে প্রতিফলিত হয়ে ওর চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। হেলমেটের শেডটা টেনে নামাতে গিয়ে থেমে গেলো সে।
চোখদুটো জ্বালা করছে ওর, মনে হয় এক্ষুনি ভিজে যাবে। এত সুন্দর, ঝকঝকে একটা দিন, কিন্তু আকাশে যদি একটু মেঘ করতো, যদ...
আমি আমার নাকটা সোজা রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু বদমাশটা তো তা করতে দেবেনা।সে একবার এদিক দিয়ে গুঁতোয়, একবার ওদিক দিয়ে গুঁতোয়, না জানি আর কোন কোন দিক দিয়ে গুঁতোবে। কিন্তু এটাই তো খেলাটার আসল উদ্দেশ্য। এমনভাবে তোমার প্রতিপক্ষকে জ্বালাতন করতে হবে যে তার নাক কোনদিকে যাচ্ছে তার কোন দিশাই সে পাবেনা। নাক হারালে তো সব হারালে।
আমার ধারণা এই লোক আজকে নাকের তোয়াক্কা না করেই চলে...
ঠিক ছয়টায় টেলিফোনটা বেজে উঠলো।
আমি তখন শাহেদের বিছানার উপর জবুথবু হয়ে বসে আছি। জ্বরগ্রস্ত রোগীর মতো। ডানহাতে একটা গ্লাস ধরা, তার তলানিতে অল্প একটু ভদকা পড়ে আছে। টেলিফোনটা যখন বেজে উঠল তখন আমি শাহেদের বিছানার পাশের টেবিলটায় রাখা চারকোনা ছোট্ট ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ৫:৫৯ থেকে কেবল ৬:০০ হয়ে গেল ঘড়িটায় আর আমাকে চমকে দিয়ে টেলিফোন বাজতে শুরু করল।
এইরকম অদ্ভুত উদ্ব...
(যারা ১ম পর্ব পরেননি, তাদের সুবিধার্থে দুটো পর্ব একসাথে দিয়ে দিলাম)
রন্জু ঘুমের মাঝেই এপাশ ওপাশ করলো। ঘুমের মাঝে এপাশ ওপাশ করার মানে হচ্ছে স্বপ্ন পরিবর্তন করা, স্বপ্নের ঘটনায় কোন নতুন মোড় বা নতুন কোন চরিত্র, পছন্দ অপছন্দ। রন্জু স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবু আজ যখন চারদিক গুমোট একটা ভ্যপসা গরম, বহুদিন না বৃষ্টিতে ভিজে উত্তপ্ত সূর্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে বাতাস যখন ক্লান্ত, ...
রন্জু ঘুমের মাঝেই এপাশ ওপাশ করলো। ঘুমের মাঝে এপাশ ওপাশ করার মানে হচ্ছে স্বপ্ন পরিবর্তন করা, স্বপ্নের ঘটনায় কোন নতুন মোড় বা নতুন কোন চরিত্র, পছন্দ অপছন্দ। রন্জু স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তবু আজ যখন চারদিক গুমোট একটা ভ্যপসা গরম, বহুদিন না বৃষ্টিতে ভিজে উত্তপ্ত সূর্যের সাথে যুদ্ধ করতে করতে বাতাস যখন ক্লান্ত, সে সময়ের স্বপ্নগুলোও কেমন যেন হয়। রন্জু তাল মেলাতে পারেনা। মাঝে মাঝ...
সবিতা, বাড়িতে একলা দরজাটা আছে।
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খর...
রাত ২টা কিন্তু ঘুম কেন পাচ্ছে না?এত অস্বস্তি কেন লাগছে? কেন এমন হচ্ছে? সন্ধ্যার সেই সুন্দর সময় টা কেন বার বার মনে পরছে?শীতের এই রাতে ঘুম টা তো বেশ আসার কথা।পানি খাওয়া দরকার, হ্যাঁ এখন বেশ ভালো লাগছে নিশ্বাস টা গাড় হয়ে আসছে।
ওই তো দূরে কি সুন্দর আলোর খেলা, আস্তে আস্তে নিভে আসছে আলো,আমি হারিয়ে যাচ্ছি কোনো দূর সময় এ। সামনে কিছু হইত আসবে, কিছু সুন্দর স্বপ্ন,আমাকে দেখতে হবে। অনুভূতি টা ...