এই সেলফোন, ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের যুগে আমি যদি জানাই আমরা তিনভাই শৈশব পাড়ি দিয়েছি কিসব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, আজকের জেনারেশন হেসে গড়াগড়ি যাবে।
আমাদের দাদাবাড়িতে পাঁচটা আম গাছ ছিলো...আম গাছগুলোরও নাম ছিলো, মানে আমাদের দেয়া নাম আর কি। কুয়োতলায় ছিলো “কুয়োতলার আম”, ছোট ফুফুর ঘরের উপরেরটা “ত্যাততেরি আম”, বাড়ির পেছনে ছিলো “মিষ্টি আম” ও “ শ্যান্দরাই আম”, আর বাড়ির সামনে হাতপা ছড়িয়ে রাজপুত্রের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিলো ফজলি আমের গাছ, এর আলাদা কোন নাম ছিলোনা...
স্তব্ধ চারিদিক,ঘন কুয়াশা
পীচ ঢালা রাজপথ ধরে আমি হেঁটে চলেছি একা একা ।
খোলা চুলগুলো উড়ছে, হিম শীতল ঠাণ্ডা হাওয়া
অদ্ভুত সুন্দর কিছু মুহূর্ত,অস্পষ্ট কিছু ভাল লাগা ।
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশা আধো আলো আধো ছায়া ;
গন্তব্যহীন পথ ধরে আমার এ হেঁটে চলা ।
ঐ শিশির ভেজা নরম ঘাসের চাদরে ,
আমার কত স্মৃতি পরে রয়েছে অনাদরে ।
মনের পর্দায় উঠল ভেসে, আমার শৈশব ;
কিশোরী মনের লাজুক স্বপ্নে ঘেরা আমার কৈশোর ।
ব্রিটিশ জাদুঘরের প্রাচীন সংগ্রহশালার বিশেষ কক্ষে দাড়িয়ে আছি, সেখানে বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘরটির সর্বাপেক্ষা প্রাচীন বস্ত তাঞ্জানিয়ার আদিমানুষের ব্যবহার করা ১৮ লক্ষ বছরের প্রাচীন প্রস্তরকুঠার আছে, ইউরোপের প্রাচীন ফরাসীদের তৈরি ম্যামথের দাঁতের তৈরি ১৩,৫০০ বছর আগের অপূর্ব শিল্পকর্ম আছে, এমন অনেক কিছুরই মাঝে ছিল এগার হাজার বছর আগে তৈরি আইন শাখ্রির যুগল (Ain Sakhri lovers ) ভাস্কর্য, এখন পর্যন্ত আমাদে
[জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমার এই ছেলেমানুষি লেখা দেবার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার নিজের মন ভাল করার জন্যেই আমি বেশির ভাগ সময় লিখি এই শৈশব কথন। অনেকদিন কিছু লিখি না। আজকে একটু লিখতে ইচ্ছে হলো অনেকদিন পর। তাই শৈশব লেখা দিয়েই শুরু করলাম আবার। সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি।]
ট্রেন ভ্রমণ
আম্মুর হারিয়ে যাওয়া
আমি আর আমার বোন খুব বেশী ছোট বড় না। আমি হাঁটতে পারতাম না আর আপু হাঁটতে শিখে গেছে তখন এই ছিলো আমাদের মধ্যেকার পার্থক্য! আমার বোন আমি হবার পর আমাকে মেনে নিতে অনেক টাল বাহানা করেছে। ছোট বাচ্চারা আরেকটা ছোট বাচ্চাকে দেখলে ভাবে যে আরেকজন মায়ের সব আদর নিয়ে নিলো মনে হয়। আমার বোনের ভাবনাটা অনেকটা এমনই ছিলো। আমি হবার পর ওর মনে হয়েছিলো আমি ইঁদুর!
আমি একটি কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম
__________________________________
রঙিন শিকলে আমার শৈশব বাঁধা পড়ে আছে
দামাল উড়ন্ত ঘুড়িতে বাঁধা পড়ে আছে স্নিগ্ধ সুসময়
একদিন আমি খুব আয়োজন করে প্রেমে পড়েছিলাম
একটি কাঁচপোকার;
স্বচ্ছ জলছাপের মতো অথবা চিবুকে জমা আর্দ্র
ঘামের মতো; এই কবিতার প্রতিটি বিচ্ছিন্ন শব্দের মতো
একটি কাঁচপোকা ঢুকে গিয়েছিল আমার ভালোবাসার ঘরে -
তখনো জানতামনা নারী বা নারী-দেহ ভালোবাসায়
আরো সুখ। আমাকে নির্দ্বিধায় বোকা বলতে পারো
সত্যিই আমি ব্যপক ফলনের মতো
ভালোবেসেছিলাম একটি ছোট্ট কাঁচপোকা।