[justify]আমাদের পাড়ায় একদিন সকালে সব বিড়াল মরতে শুরু করে। অনেকে বলে, শুরুটা হয়েছিল আকবর হোসেন সাহেবের বিড়ালের মৃত্যু দিয়ে। আকবর সাহেবের বয়স প্রায় পঁয়ষট্টি। স্ত্রী রেহানা মারা গেছেন মাস আটেক আগে। স্ত্রী মারা যাবার পরে একদিন তিনি বিকেলে বেরিয়ে কোথা থেকে কালো কুচকুচে একটা বেড়ালের বাচ্চা জোগাড় করে আনেন। ফর্সা সুন্দর নিজের বউয়ের নামটা দিয়ে দেন বিড়ালটিকে আর অত্যন্ত যত্ন-আত্তি শুরু করেন। বাসার বুয়া সাহেব
যে ব্যাটা চিরতরুণ সে যদি নিজেকে চির তরুণ ভেবে বসে তাহলেই যত বিপদ। কারো কাজকর্ম দেখে অন্যরা সবাই যদি তাকে চিরতরুণ খেতাব দেয়, তাহলে ব্যাপারটা ভুল হলেও ঠিক আছে। তবে আসল কথা হলো, বয়স বাড়লে আমরা বুড়ো হই। সে শরীরে বলেন, বা মনে। ব্যাপারটা মেনে নেওয়া স্বাস্থ্যকর। আমার আবার বুড়ো হতে ভালো লাগে না। তাই যখনই বয়স বাড়ার ব্যাপারটা মনে আসে অমনি নিদারুণ একটা মর্মবেদনায় পীড়িত হই। কিন্তু সারা বছর এসব দুঃখ-বেদনা অবজ্
[justify]
-তুই অমন কইরা আমার দিকে চাইয়া আছোস ক্যান?
[justify]রাখাল অন্যান্য দিনের মতোই অশ্বত্থ গাছ থেকে কিছুটা দূরে একটু ছায়া একটু আলো জায়গাটাতে তার দোকানদারি শুরু করে। ছালা থেকে কাছিমগুলোকে বের করে উলটো করে রেখে দেয় কালো পলিথিন শিটটার ওপর। দা, ছুরিগুলোকে ধোয়ার জন্য বাজারের কোনায় আকবরের চায়ের দোকানের সামনের টিউব ওয়েলের দিকে রওনা দিলে কাছিমগুলোর ফুরসৎ মেলে। গলা বাড়িয়ে উলটো পৃথিবী দেখতে গিয়ে ঘাসের ডগায় দৃষ্টি আটকে গিয়ে তাদের পৃথিবী কিছুটা অস্পষ্ট হয়
[justify]বিষ্যুৎবারে সন্ধ্যা ঠিকই নামে। রাত আটটার আগেই বাবা আমার ব্যাগ রেডি করে রাখে। বোবা দরজার কাছে চুপ করে বসে থাকে। অনুপদের বাসায় শান্ত হয়ে থাকার কথা একবার মাত্র বলে বোবার হাতে আমাকে দিয়ে আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দেয়। আমার সামনে তখন ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, গাছমণ্ডলী আর পুকুর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বোবা হাঁটতে থাকলে আমিও তার সাথে চলতে শুরু করি। কুকুর ভোলা কিছুক্ষণ কুঁইকুঁই করে আমার সাথে এসে পরে আবার বাবার
[justify]ও অফিসে রওনা হলে আমি নিজের মতো একা হয়ে পড়ি। চুলায় পানি ফোটাতে দেই। ডাইনিং টেবিলে পড়ে থাকা এঁটো থালা আর অর্ধেক চা-সহ চায়ের কাপ সিঙ্কে রেখে পানি ছাড়ি। চায়ের বাকিটা আস্তে আস্তে রঙ পালটে পানির রঙ নিতে থাকে। পানি ফুটে গেলে কাপে ঢেলে চায়ের একটা ব্যাগ ছাড়ি। পানি তার বর্ণ বদলায়। দেয়ালে একটা টিকটিকি টিক-টিক আওয়াজ করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আমাদের ছবির পেছনে অদৃশ্য হয়।
[justify]আমরা তিন বন্ধু একসাথে হলেই একযোগে দস্তয়েভ্স্কিকে দেখি। ব্যাটা গোগলের রঙওঠা একটা ওভারকোট পরে থাকে সবসময়। এটা নিয়ে আমরা প্রায় হাসাহাসি করি। ঢাকায় গরম শীত সবকালেই তার গায়ে এই একই ওভারকোট দেখে আমরা তার নাম দেই শীতল রক্তবিশিষ্ট দস্তয়েভ্স্কি। আমাদের মধ্যে আজম দস্তয়েভ্স্কির প্রায় সব লেখাই পড়েছে, খালি ব্রাদার্স কারমাজভ ছাড়া। রবি বড় ও জটিল উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে। দস্তয়েভ্স্কির ছোটোখাট লেখাগ
[justify]এক একটা দিন কিভাবে কিভাবে যেন পেরিয়ে যায়। টুকটাক বসে থাকি, শুয়ে থাকি কিংবা লেবু চা বানিয়ে নিয়ে এসে রেলিং এর কাছে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই বারান্দার রোদ বদলে যায়। রাত হয়ে আসে। লাইব্রেরি থেকে মাঝে মধ্যে বই নিয়ে আসি। বই পড়তে খুব একটা ভালো লাগে না, বই এড়িয়ে চুপচাপ সময় কাটিয়ে দেয়া বরং বেশি পছন্দের। বারান্দা থেকে এসে বিছানায় গা এলাই। মাথার কাছে বইটা নাড়াচাড়া করি। দা গার্ল ইন দা পিকচার। দক্ষিণ ভিয়েত
[justify]
।১।
আমি পানি পান করি না। আশেপাশের সবাই বলে, আমি একটা সত্য কথাও বলি না। আমি প্রায় লোকজনকে বোঝাতে যাই, আমি একেবারেই মিথ্যা কথা বলি না।
।২।
পানি জল হয়ে গেলে কিংবা জল পানি হয়ে গেলে জলপানি শব্দটি বৃত্তি হয়ে বসে। এভাবেই জল ও পানির সংগমে সৃষ্ট শব্দের অর্থ অর্থময় হয়।
।৩।