[দুটো কারণে গল্পটা অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রথম কারণ: এ ধরণের একটা অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিল বহুবছর আগে, থাই এয়ারওয়েজের সিউল-ব্যাংকক রুটের একটা ফ্লাইটে। তাই মার্কেজের লেখা এই গল্পটা পড়ে বিশেষ ভালো লেগেছিল। শুধু ভালো লাগলেই অনুবাদটা করতাম না যদি দ্বিতীয় কারণটি যোগ হতো। গল্পটি পড়ার পর বাংলা ভাষায় কেউ অনুবাদ করেছে কিনা খোঁজ নিতে গিয়ে কালি ও কলম পত্রিকায় ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি অনুবাদ পেলাম। কিন্তু সেই অনুবাদটি এত কুৎসিত যে মার্কেজের জন্য আমার রীতিমত করুণা হলো। তাঁর এত সুন্দর গল্পটাকে বাংলা ভাষায় এনে রীতিমত খুন করা হয়েছে। এই গল্পটা মার্কেজের জীবনের একটি সত্য ঘটনা নিয়ে লিখিত। ঘটনাটি তিনি Sleeping Beauty on the Airplane শিরোনামে লিখেছিলেন মেক্সিকো থেকে প্রকাশিত Proceso নামের একটি পত্রিকার ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সংখ্যায় ]
মেয়েটা ছিল অতীব সুন্দরী। গায়ের রঙ বাদামী, সবুজ অ্যালমণ্ডের মতো দুটো চোখ আর কাঁধ পর্যন্ত নেমে যাওয়া ঘন কালো চুল। চেহারার মধ্যে এমন একটা প্রাচীন আভিজাত্যের ছাপ, বোঝার উপায় নেই ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্দেজের মধ্যে কোন অঞ্চলের বাসিন্দা। পোশাক আশাকে সূক্ষ্ণ এবং মার্জিত রুচির ছাপ। একটা লিংক্স জ্যাকেটের সাথে হালকা রঙের ফুলের ছাপা সিল্কের ব্লাউস পরেছে। ঢিলেঢালা লিনেনের পাজামার সাথে পরেছে বোগেনভিলিয়া রঙের ফ্ল্যাট জুতো।
মেয়েটাকে দেখামাত্র মনে হলো ‘এ আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে রূপবতী নারী।’ প্যারিসের শার্ল দ্য গল এয়ারপোর্টে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটের চেক-ইন কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। মেয়েটা তখন গর্বিত সিংহীর মতো দৃঢ় পদক্ষেপে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। যেন এক অলৌকিক ছায়ামূর্তি হয়ে ক্ষণকালের জন্য আবির্ভূত হয়ে আবার টার্মিনালের ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।
- গতরাতে এক লোক আমাকে চুমু দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
- ঠাডিয়ে একটা চটকনা মারনি?
- মেরেছি তো! তবে অপরাধ সঙ্ঘটিত হওয়ার আগেই কি শাস্তি দেয়া যায়?!
প্রাক কথন অথবা ভণিতা
[justify]সৌরভ ট্রেন থেকে যখন নামলো তখন সন্ধ্যা প্রায় শেষ হয়ে গেছে। স্টেশনের কাছেই একটা খাবার দোকানে হাত মুখ ধুয়ে সেখান থেকে পেট ভরে খেয়ে নিলো ও, বলা যায় না, থাকার জায়গা খুঁজে পেতে কতক্ষণ সময় লাগে আর তারপরে কোথায় বসে খাবার ফুরসত হবে কিনা। কাল সকাল থেকে আবার জয়েনিং।
ও আমার ময়নাপাখি,
বলি তুই গেলি কই! ঠাট্টা মশকরা না, আসলেই সত্যি করে বল তুই থাকিস কই। আমি আমার আত্মীয়-স্বজন সবাইকে জিজ্ঞেস করলাম তোর ব্যাপারে, সবাই একলগে বলল তারা তোকে দেখেনি। বন্ধু বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী, তাদেরকেও জিজ্ঞেস করলে তারা বলে যে তোর সাথে এতোদিন ধরে দেখা নাই যে, তুই এই দুনিয়াতে আছিস কিনা সেই নিয়েই তাদের মাঝে মধ্যে সন্দেহ হয়। আমি পিজা হাট, বাস্কিন র ...
চাকুরীসূত্রীয় এক জেষ্ঠা আপা কোন এক জন্মদিনের উপহার দিয়েছিলেন জন ডেনভারের এই গানটি। একটা ইমেইলে লেখা "শুভ জন্মদিন" আর একটা লিংক। আজো আমাকে ভাবায় গানটার অন্তর্নিহিত অর্থ। বোধহয় বুড়ো হচ্ছি।
মে ১৯৭১-এ প্রকাশিত জন ডেনভারের চতুর্থ আ্যলবামের শিরোনাম ছিল এই গানটি। একই আ্যলবামের "মেঠ পথ" (কান্ট্রি রোড) গান ত দুনিয়াশুদ্ধ সবাই চেনে।
আজকাল প্রায়ই ভাবি
জীবনের সময়গুলো
শেষ করা সব কাজ
কেম ...
হোয়াট ইজ আ নভেলিস্ট?
মিলান কুন্ডেরা
বুঝতে পারা মানেই তুলনা
হারম্যান ব্রচ কোনো চরিত্র নির্মাণ করতে গেলে প্রথমে সেই চরিত্রের আবশ্যিক দিকগুলো কল্পনা করে নিতেন, পরে আস্তে আস্তে সেখানে ব্যক্তিত্ব জুড়ে যেত। যেন বিমূর্ত থেকে মূর্তিমানের দিকে আগানো। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দা স্লিপ ওয়াকার্স’-এর প্রোটাগনিস্ট ইশ্চ্। নির্যাসে ব্রচ বলতে চেয়েছেন সে একজন বিপ্লবী। বিপ্লবী মানে কী? এই জ ...