ঔপনিবেশিকতা নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে দেখলাম বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথের বই দ্য ওয়েলথ অব নেশনশে (১৭৭৬) ঔপনিবেশিকতা ও তার অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা আছে। অ্যাডাম স্মিথের লেখা বইটিকে আধুনিক অর্থনীতির জনক বলা যায়। বইতে কলো্নী সংক্রান্ত অর্থনীতি নিয়ে আলোচনার সময় মাথায় রাখা দরকার যে অ্যাডাম স্মিথ ঔপনিবেশিকতার তীব্র বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তার বিরোধিতা মানবিকতা বা অধিকারের প্রশ্নে নয়, নিতান্তই অর্থনীতির প্রশ্নে। যদিও তার বইতে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীকে বরাবর দায়ী করেছেন বাংলার দুরবস্থার জন্য, কিন্তু তার অর্থনীতির ফোকাস থেকে সরে যান নি। তিনি বইতে দেখানোর চেষ্টা করেছেন ঔপনিবেশিকের জন্যও কলোনী-ব্যবস্থা লাভজনক নয় ও দীর্ঘমেয়াদে যে দেশগুলো ঔপনিবেশিক হবে না, তারা অন্যেদের থেকে অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
::শ্রেণীচৈতন্য ও আত্মের সংযোগসূত্র::
একা মানুষ বিপ্লব ঘটায় না। যদিও সে বিপ্লব ‘করতে’ পারে। সকল ইতিহাস একান্তই শ্রেণীসংঘাতের। বাহুল্য, তবু বলা। একা মানুষ, দলে দলে, ঐ শ্রেণীভুক্তমাত্র। জনসাধারণের মধ্যে সেও থাকে। কখনো প্ল্যাকার্ড হাতে। কখনো নুড়িপাথর। পাউরুটিও থাকতে পারে। ‘যার যা কিছু আছে’ তাই নিয়ে সবার মধ্যে সংগ্রামী সে। তাই পুঁজিতন্ত্র তাকে বারংবার একা করে তুলতে চায়। ...