সেদিন আনন্দ দিদির পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হলো, ঠিক আছে, সচলায়তনে পোস্ট দিয়েই রাখি, কেউ পড়লে পড়বে, না পড়লেও ক্ষতি নাই।
আপাতত আমি ধুমায়ে মার্ডার-মিস্ট্রি-খুন-জখম পড়ছি। নেরুদার মতো বিখ্যাত কারও, প্রেমের মতো জটিল বিষয়ের কবিতা আনাড়ি হাতে অনুবাদ করার ফলে সচলেরা আমাকে প্যাদানি দেয়ার আগেই আশাকরি কয়েকদিনের মাঝেই ফর্মে চলে আসবো একটা খুন-জখম অনুবাদ নিয়ে!
এককালে বড়ো বেশি ভূতের বেগার দিয়েছি জ্ঞানী হবার জন্য। তবে বেগার খাটনিটা জ্ঞানী হবার জন্য ছিল নাকি নিজেরে জ্ঞানী প্রমাণ করার জন্য ছিল তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে আমার। কারণ একপিস জ্ঞান সংগ্রহের জন্য যতটা খাটনি দিতাম তার থেকে বেশি খাটনি দিতাম সেই একপিস জ্ঞানকে এক বালতি ঘোলা জলে মিশিয়ে পাব্লিকের মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। সেই যুগে নিজেরে বিদ্বান প্রমাণ করার জন্য একবার পড়া শুরু করলাম [url=http://en.wikipedi
তাজউদ্দীন স্যারের ক্লাস মানেই হই হই দৌড়া দড়ি করে ক্লাসে ঢোকা। তাই আগের ক্লাস টা শেষ করেই একমিনিট দেরি না দোতলা থেকে নিচতলায় নেমে যাই। আজ কাল ক্যাম্পাসটায় ও মানুষ গিজ গিজ করে। লিফটের সামনে গিয়ে দেখবো ইয়া বড় লাইন। তার চেয়ে ভালো আগে যাওয়া।
রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সচলায়তনের ব্যানার করতে গিয়ে স্মৃতি, বই, ইন্টারনেট ঘেঁটেও কুল পাচ্ছিলামনা কি লেখা যায়! স্লোগান, কবিতা, গান খুঁজে খুঁজে হয়রান - এদিকে সময় নেই - হুট করে লেখা হয়ে গেল 'ধর্মান্ধতা নিপাত যাক' - সেই তিন শব্দ লিখতে গিয়ে চোখে পড়ল, মনে পড়ল অনেক কিছু, আর ভাবনায় এল জামাত-শিবির-রাজাকার-স্বৈরাচার-মৌলবাদ- সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী স্লোগান ও কবিতাগুলো সঙ্কলিত করতে পারলে কেমন হয়?!
অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আফসারুল আমিনের। আসলে তিনি ঘুমানইনি। ঘুমের ভান করে পড়েছিলেন। মাঝখানে একটু তন্দ্রামত এসেছিল। তারপর যাকে তাই। না ঘুমিয়ে মড়ার মত ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করাটা খুব কষ্টের, অস্বস্তিকরও বটে। তবুও তিনি সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ফিরোজার কারণে। ফিরোজা তার স্ত্রী। তিনি বারবার এপাশ ওপাশ করায় সে কছিুতেই ঘুমাতে পারছিল না। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে সে বলেই ফেলেছিল, “দিন শেষে শান্তিমত একটু ঘুমু
পৌনপুনিক
--------------------- প্রখর-রোদ্দুর
যোগী হলে হয়তো অবিরাম শব্দটি যথার্থ হতো
তবু প্রায়; বিলক্ষণ,
রাতের নির্জনতায় বিশুদ্ধ কর্পূর জ্বলে
তপ্ত পাপের অনলে।
ঝিম ধরা কোন দুপুরে টুকরো মেঘ এলো মেলো ভাসে যেমন
একাকী চিলের দিকে তাকিয়ে -
বিলাসী অনুভব ভর করে চুলচেরা নাগরিক জীবনে।
কাকচক্ষু জলে ক্ষুদ্র পোকাদের চলাফেরায়
নিস্তরঙ্গ স্থিরতায় যৎ সামান্য ঢেউয়ের আলিঙ্গন হলেও
কবিতা বেশি দিন টেকে বলেই কি কবিতায় পুরোনো কথা বেশি বলা হয়? নাকি অনেক কবিই বর্তমানকে মেনে নিতে পারেন না বলে অতীতের সোনালি দিনকেই করে তোলেন স্বাপ্নিক বর্তমান?
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই গানটি সুরে বাঁধতে মঞ্চায়। আছেন কি কোনো গুণিজন?
হাওয়ায় উড়ছে দেখো মাছের বহর
পাখিরা করছে খেলা জলের ভেতর
খেয়ে আস্ত চাঁদ এক দামড়া বাছুর
রসনা সুখেতে আজ তুলছে ঢেকুর।।
বানরের গলেতে পরিয়ে মালা
অন্ধ সে হৃদয়টা করো উজালা
যদিবা চাড়ালে বাঁধে গানে মিঠে সুর
আমি কেন লড়বো সে সুরেতে অসুর।।
অমাবশ্যাতে যদি চন্দ্রগ্রহণ
পূর্ণিমা তারে কি করবে বারণ
(১)
সূর্যের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বালিকা
ঠোঁটের আঁচড়ের দাগ মুছে ফেলে লিপস্টিকের ছোঁয়ায়,
এমন ই সে -
চুম্বনের আনুপাতিকতায় দ্রবীভূত হয় না হৃদয়;
চন্দ্রের গর্ভে শরীর লুকিয়ে
তাকিয়ে থাকে জলের শরীরে,
বিচ্ছিন্ন দেহের ক্লান্তি জড়িয়ে...
(২)
আমাদের নৈমিত্তিক ব্যাবহার্য জিনিসের আড়ালে
লুকিয়ে থাকে পাপ।
সবুজ অন্ধকারের গা বেয়ে নেমে আসে সাপ
লিকলিকে শরীর আলিঙ্গনে জড়ায়