নারী যদি শুধুই নারী দেহ
তবে দিলাম তোমায় মাংসের দামে বেঁচে..........
পাশ ফিরে শুয়ে আছে পাশা খেলুড়েরা আশা নেই তারা আর
যাবে না তো ফিরে কিছু ঘোড়া ...
মধ্যদুপুরে একটি মধ্যমা
সমদ্বিবাহুর ছিল না তো কোন বোন
অভিলম্বের বিলম্ব হল দেখে
অতিভূজ তার ক্ষতি করে দিয়ে গেল
এখন পৃথিবী বিষমবাহুর চেয়ে
বি...
অপেক্ষা করেছি উপেক্ষা করেছো
"অ" আর "উ"তে আমাদের বিস্তর ফারাক
অপেক্ষা উপেক্ষা
অপেক্ষা উপেক্ষা
অপেক্ষা উপেক্ষা
অপেক্ষা উপেক্ষা...
নিরালোকে পৌঁছে গেছি কখন যে, চেতনায় অন্তহীন ভাসানের গানে
গাত্রদাহ বাড়ে শুধু। অচেনা আঁধারে সূর্যালোকের মানুষ কেন চতুষ্পদী?
রঙচটা নোংরামুখো শুয়োরের দল বিষ্ঠায় কাদায় মাখামাখি করে
সুনিপূণ ছলনায় কৃষকের নিকোনো উঠোনে যায় গড়াগড়ি
ল...
সূর্যাস্তটাকে ধাওয়া করে চলেছি
সূর্যোদয়ের দেখা পাবো বলে
নিয়তিটাকে হন্যে হয়ে খুঁজছি
আশাটাকে ধার করতে পারবো বলে।
কল্পনাগুলো অদৃশ্য হয়ে
জবাবগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠবে
স্বপ্নেরা সত্য হবার মতই
আবারো সূর্যাস্তটাকে ধাওয়া করে চলি
ন...
(কবিতা)
অমানুষ
ভেবো না কবিতা লিখি বলে ছিঁড়তে কখনো পারবো না আমি
প্রস্ফুটিত কোনো মনোলোভা ফুল! লেখনী আমার হাতে প্রতিনিয়তই
দুরন্ত হাওয়া যেন সচল রয়েছে বলে গর্জাবে না খেরো খাতার পাতায়
চেপে বসা অন্য হাতটি...
দুনিয়ার হালচাল বুঝে যাবার পর অনেকের ভালো না লাগলেও শতভাগ বাংগালীরই শিক্ষাজীবন কিন্তু শুরু হয় কবিতা(ছড়া) দিয়ে; অ তে অজগর ঐ আসছে তেড়ে, আ তে আমটি আমি খাব পেড়ে ধরনের অনর্থবোধক( nonsense) ছড়া না পড়েই বিদ্বান হয়ে গেছি এ কথা কোন বংগসন্তান বুকে হ...
কখনো শিখিনি আত্মসমর্পণ;
নোয়াতে শিখিনি মাথা রক্তচক্ষু আর
তেল চকচকে ব্যাটনের কাছে। কখনো ভুলেও
প্রভূর পা-চাটা গোলামের মত কিংবা সৌখিন
কোনো প্রভূভক্ত কুকুরের মত
প্রকাশ করতে শিখিনি বিনয়। যদি তুমি ভেবে থাক
দু মুঠো অন্নের প্রতিদান...
অনেকগুলো বছর পার হয়ে গ্যাছে
ছুটি না চাঁদেও সাথে। রাজা-ফড়িঙ আর
বর্ণিল প্রজাপতির পেছন পেছন দিগবিদিগশুন্য চলি না আর ছুটে
অবাধ মধ্যাহ্ণ রৌদ্র-রুদ্র খোলা মাঠে।
কাদা মেখে সারা গায়ে, দুটো কি একটি মুরলা বঁইচা
ডানকিনি আর কৈয়াবান্দি প...
সময়ের ঘড়ি এখন মাঝরাত ছুঁই ছুঁই
জীবনের ঘড়ি ছুঁয়ে আছে বিষন্নতা
আর মনটা ছুঁয়ে আছে তোমায়।
জোনাকীর জ্বলা-নেভা নেই এই শহুরে জঙ্গলে
নেই কোন অজানা পাখির প্রহর ঘোষণা
আছে কেবল কাঁকের কর্কশ স্বর
আর হিসেবের খাতা খুলে বসে থাকা কিছু কাঠের ...