গতকাল বিকেলে বেশ কদিন পরে হাঁটাহাঁটির জন্য তুষারস্নাত বনে হারিয়ে গিয়েছিলাম খানিকের জন্য, এখন অবশ্য বসন্তের আগমন ধ্বনি সোৎসাহে ঘোষণা করছে ক্ষুদে পাখির দল তাদের মনমাতানো কলরবে, কিন্তু শীতের বিদায়বার্তা আসলেও তার নীরব শ্বেত জমাট অস্তিত্ব এখনো চারিধারেই বিপুল বিক্রমে প্রকাশিত, যে কারণে বন-প্রান্তর আসলে তুষার নয় শক্ত বরফাচ্ছাদিত। পাখি ছাড়াও অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে বুনো খরগোশের দল, চঞ্চল কাঠবেড়া
যে শিউলিফুলগুলোকে হয়তো আর কোনোদিন দেখা হবে না, তাদের স্মৃতির মাঠ থেকে খুঁজে খুঁজে শিশিরে ধুয়ে সাজিয়ে রাখি। আকাশে বাতাসে শরতের ছোঁয়া, রোদ্দুরে যাদু, এর ভিতরে কান পাতি, অনেক দূরের আমার শৈশবের প্রান্ত থেকে ভেসে আসে ঢাকের শব্দ, ডিং ডিডিং ডিডিং ডং। ঢাকীরা নানা রঙের পালক আর শুভ্র কাশফুল দিয়ে সাজ পরাতো ঢাকের। এখনও হয়তো পরায়।
প্রতি রাতে একটি করে কবিতা আত্মহত্যা করে আমার বারান্দায় ।
আমার ভাবনা গুলোকে যখন আমি
কবিতার খাতায় বন্দী করতে পারিনা,
তখন ভাবনাগুলো আমার অজান্তে
সুসজ্জিত হয়ে কবিতায় রুপ নেয় ।
তারপর আমার বারান্দায় ফুলগাছটির ডালে ঝুলে আত্মহত্যা করে ।
আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি,
কবিতার মৃতদেহ পড়ে আছে আমার বারান্দায় ।
বিকৃত অবস্থায় ।
সে কবিতার চেহারা আমি মনে করতে পারিনা
মাঝে মাঝে শিলং পাহাড়ে এসে ঘর বাঁধে
চেরাপুঞ্জির অভিমানী মেঘ ... বিচ্ছিন্ন চোখের
পাতায় পরায় ভরা কাজলের রেখা, শুরু হয়
ঝলমলে নংক্রেম উৎসব।
এক.
আজ আমার মন ভালো নেই!
টুকরো কাগজ হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে
তারপর টুপটাপ, রিনিঝিনি, টুনটুন;
সকাল গড়িয়ে যায়
দুপুর গড়ায়
উচ্ছল বিকেলে এসেও
মনের দেয়াল জুড়ে বিষন্ন ছবি
আকে অজানা অচেনা সব হাত,
রঙতুলি কেবলই বেছে নেয় নীল রঙ,
আঁকে, আঁকতেই থাকে আর
দরোজা, জানালা সব একের পর এক
কে যেন বদ্ধ করে নিপূণ সামর্থ্যে;
আমি শুধু ঘোরলাগা ঘাসের ডগারমতন
একফালি সূর্যের দেখা পাবো বলে
আনমনে বসে থাকি, বসেই থাকি
বাতাস বদলে গেছে
এখন উড়ছি খুব
রঙিন পাতার মত শীতের শুষ্ক ত্বকে
মিশে যাবো, মাটি হবো বলে
কতটুকু আর
আদর রেখেছি রোমকূপে
জাগিয়েছি কত আর রাত
অনুশোচনায় পিঠ ফিরে
রোদে আর ঘামে একসাথে
কত আর
বানিয়েছি ভেজা বর্ষাকাল
জোয়ারে জেগেছে নদী
গৈরিক সম্পর্ক কাঁপে
তোমার গানে-
বুঝেছ বিস্মিত ঠোঁটে স্বাদ পুড়ে যায়।
হলুদ আসার আগে অর্ধেক রচিত দৃশ্যে
সহসা বানের জলে ভেসে যাবো, সাধ!
সোনার বেড়াল, তুমি
হঠাৎ কালিম্পং! তুষারিত নদীটির তীর,
সেখানে লাবণ্যপ্রভা বসে থাকে অবসাদে একা
শেষের কবিতা রূপে সে বিষাদ হয়েছিলো দেখা
করুণ স্বপ্ন নিয়ে বুনে যায় আজো তার নীড়।
ভরপুর ঝরে পড়া ধাঁধাশীল ভালোবাসা তুই,
চেরাপুঞ্জির পথে ধাবমান নদীর ওপর
সন্ধ্যারা বাড়ি এলে পাখি পরে পাতার টোপর
চারফোঁটা নোনাজল সোনাঝরা আবেগী চড়ুই।
কবিতা ও কবিতা বিষয়ক গদ্য নিয়ে একটি ই-বুক করার ইচ্ছা অনেক দিনের। ২০০৯ এর মে মাসে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পরে সেটা ড্রাফট করে ফেলি। এর পর থেকে করছি করবো করেও আর করা হলো না। মাঝখানে হাসান মোরশেদ ও সুমন চৌধুরী ই-বুক করতে চেয়েছিলেন, সেটাও হলো না। তাই নতুন করে আবার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে হলো।