অন্ধকার আকাশকে চমকে দিয়ে মুঠো মুঠো সোনালী ফুলের মতন তুবড়ি আর তুবড়ি। কতগুলো মস্ত মস্ত রঙীন ফানুস ভাসতে ভাসতে যাচ্ছে। বর্ষবরণ ২০১১। বছর আর দশক দুই ই শেষ হয়ে এলো। আজই শেষ রাত। কাল পহেলা জানুয়ারীর ভোর নতুন সালে।
নিজেকে পুরানো মনে হয়। কত স্মৃতি জমে গেছে মনে! এই না সেদিন ১৯৯৯ ছিলো? এই না সেই ওয়াইটুকে প্রবলেম নিয়ে লোকের কী কাঁপাকাঁপি? নাকি যেই না সালের ঘরে ০০ হয়ে যাবে অমনি দুনিয়ার তাব ...
ইন্টারনেট
ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে বসি অবসন্ন পুকুরটাতে
এক হাতে এক ধেড়ে ইঁদুর, প্রিয়ার শাড়ি অন্যহাতে।
জল ঘুলিয়ে নোংরা করি অন্ধকারে পৌষমাসে,
পুকুরজলে হাজার হাজার মরা ইঁদুর খেলতে আসে।
শাড়ির ছলে জাল ফেলি রোজ, ছিপের চেয়ে জালই ভালো,
নরম নরম মাছ পড়েছে, নরম নরম চাঁদের আলো।
মাছের পেটে মরা ইঁদুর,জলে আঁধার --- শ্যাওলা ভাসে,
জংলা বুনো লতাপাতা আড়চোখে চায় --- মুচকি হাসে।
অন্ধকার হাঁ করে আর গিলতে চায় ...
সে পাপই বটে, পাপ নয়?
অনুমতিহীন পদক্ষেপ আঁকো যদি তুমি
নিজস্ব জমিনে কারো, চুপচাপ নয়,
রণভঙ্গিতে, যেন দখল করবে ভূমি?
আমি তাকে পাপ বলি, যদি
ভয়ার্ত শিয়ালের মত তুমি রণেভঙ্গ
দাও-তথাস্তু তথাস্তু বলে, ভাবো, ফোঁস করা অধিপতি
সে ভূমের নিশ্চই বিষধর ভুজঙ্গ।
-শোনো হে সখা, মহাবীরেরা নিষ্পাপ,
তুমি হানো, ভাঙো, লোটো, করো হত্যা,
তুমি মৃত্যু আর ধ্বংসের তোলো বিষভাপ,
বিজয়ীর পাপ নেই, সে চিরকালই মহাত্বা।
- ...
আটলান্টিকের পাড়ে শীতের রাতগুলো
ঝুপ করে নেমে আসে; কালো কুয়াশার চাদরে
আপাদমস্তক ঢেকে যেন কোন ফেরারী আসামী।
তারপর একটু একটু করে গভীর থেকে গভীরতর হতে হতে
গ্রাস করে নিতে থাকে মহাকালের বুক থেকে
ঝরে যাওয়া একেকটি দিন।
ক্ষয়িষ্ণু সেই রাতগুলোয় উষ্ণ চিমনির পাশে
নীরবে, একাকী বসে এক দ্বীপান্তরী নাবিক ভাবে
ভীরু চোখে তাকিয়ে থাকা “সেই” বালিকার কথা।
হায় মহাকাল, এখানেই তোমার ব্যর্থতা;
তু ...
১.
একটা শীর্ণ গোলাপগাছের গোড়ায় হাঁটতে গিয়া
দুইটা কালো পিঁপড়া পরস্পর প্রেমে পড়তেছিল।
পরদিন ছেলে পিঁপড়াটি ডালে ডালে ঘুরে ঘুরে অন্য পিঁপড়াটিকে খুঁজে।
সে তখন গাছটার আধমরা পাতায় পাতায় শুয়ে ঘুমায়।
২.
একাকী মানুষদের ভাবনায় পিঁপড়েরা হাঁটে
নির্জন মানুষদের স্বপ্নে জমে ওঠে মৃত ম্যাপল পাতার স্তুপ,
ম্যাপল গাছের ডালে শুক আর সারি কিছুক্ষণ বসিয়া থাকিল নিশ্চুপ।
৩.
শৈশবে এক কাগজের নৌক ...
এই সময়; এই মুহূর্ত ছেড়ে আমি কোথাও যেতে চাই না—
এই ঘাসের চাঁদরে অথবা জানালার পাশে এই বিছানা
তোমাকে আমাকে আবার নতুন করে ভালবাসতে শেখায়;
এখানে; এই মুহুর্তে দু'জনে আমরা বৈশাখের ঝড়,
অথবা প্রিয় কোন চলচিত্রের রোমাঞ্চকর দৃশ্য।
এই সময়; এই মুহুর্তে তুমি গ্রীক পৌরাণিকীর দেবী অ্যাফরোডাইটি—
সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আঁছড়ে পড় আমার সৈকতে;
সৈন্দর্য, প্রেম, আকর্ষণ, কামনা সবই তোমায় ঘিরে।
এ ...
না, এখন আমি আর ভালোবাসি না!
আমি ভুলেছি প্রেম, অভিমান, আকর্ষণ
আমার কাছে এ সবই শুধু কিছু বর্ণের অর্থহীন সহবাস।
আমি চন্দ্রাহত নই—
তবুও এখন আর পূর্নিমা দেখি না।
শীতল নিরবতার ডাকে আমি হাটি সারা রাত,
আমি একবারের জন্যও তারাদের মিছিল দেখি না।
সূর্যের তপ্ত স্বর্নিল আলো আমায় অভিশাপ দেয়
আমি তাই এই অন্ধকুঠুরিকে বানিয়েছি অভেদ্য দুর্গ,
এখানে আলোদের আসতে মানা;
তবুও এখানে কিছু আলো আসে— অ ...
আমরা কেবলই ঘুরে ফিরে আসি এই একই বধ্যভূমিতে
যেখানে একদা আমাদের অগ্রজেরা করে গিয়েছেন প্রাণপাত;
যে মাটির ঘাসেরা আজো ভুলে আছে সবুজের ঘ্রাণ।
ঘুরে ফিরে প্রতিবার এখানে এসেই ভুলে যাই কেন
আমাদের বাকি আছে আরো কাজ। তবুও আমরা
ধানের জমিতে আগাছা তোলার বদলে রুয়ে আসি বল্লমের ফলা।
সেঁচের বদলে দেখি সদ্য বিধবার আহাজারি, পিতৃহীনের অশ্রুপাত।
তবু ঘুরে ফিরে কেন এখানে কেবল? লোকালয়ে বাড়ছে হিংস্র ...
তুমি নেই, তবু কিছু ছায়া জেগে আছে
তাতে বৃথা বৃষ্টিপাত--সমুদ্রঘুম
যে যাবার সে বহুদূর চলে গেছে--একা
এলোমেলো হাওয়ায় পায়ের কাছে উড়ে এলো কিছু ধুলো
এতোকাল ভুল বিশেষণে ইতি-উতি অপ্রস্তুত পড়ে থাকা
বলে গেল সুপ্রভাত; শিউলিভোর !
শুধু, মাঝে-মাঝে জলের সাথে ভাসতে-ভাসতে
কিংবা ছড়িয়ে যেতে-যেতে তার ছবি ভেসে আসে
মনে পড়ে
সেই কবে সে গানের সাথে ভেসে গেছে
কালস্রোতে !
জীবনে কোন না কোন সময় সব মানুষই নাকি একবার হলেও কবি হয়। আমিও হয়েছিলাম। কাঁচাহাতে লেখা কৈশরের দুর্বল কবিতা, কিন্তু তাতেই আমার জীবন ঝালাপালা। নব্বুই-একানব্বুইয়ের দিককার ঘটনা। আমি সবে মাত্র মাধ্যমিকের পাট চুকিয়েছি। মফস্বল শহরে বন্ধুত্বের বৃত্তে চলছে জীবন। বন্ধুদের কেউ নব্য বিপ্লবী --- বামপন্থায় দীক্ষা নিচ্ছে। কেউ বা নব্য কবি --- কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। এদের মাঝে বেমানান আমি ক্রীড়াম ...