বিরিঞ্চি বনের পাশে তোমার ছায়া
আর দু'চারটা বিকেলের কোপ
আজকের বিরিঞ্চি ঝোপ
তোমার ছায়া হয়ে পড়ে রয় বিকেলের পাশে।
সমুদ্রের আশে, যবে বিরক্ত মাঝি গান
গেয়েছিল। আর এদিকে যারা যারা
সমুদ্রে ফেরেনি তারা তারা
করেনি আকণ্ঠ পান
নিকষ বিকেলের ঘ্রাণ রৌদ্রের প্রথম পরশে।
কুষ্ঠরোগের ব্যাথা ম্লান হয়ে গেছে,
ম্লান হয়ে গেছে তারা, বেতের ফলের মত
দ্যাখ! দ্যাখ! ম্লান হয়ে গ্যাছে উহারা!
উত্তরের বিরান প ...
শীতের রাতে হিম প্রহরে
তোমায় পড়ে মনে,
দেখে তুমি চাদর দিতে
জড়িয়ে সযতনে।
জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকে
মাগো যখন ডাকি,
তোমার হাতের মাথা ধোয়া
কেউ পারবে নাকি?
কত জনেই ধুলো মাথা
কেউ পারেনা কেন,
পানি তোমার হাতের ছোয়ায়
জ্বর কেড়ে নেয় যেন।
তুমি যখন মারতে মাগো
ব্যথা সাথে সাথে,
এত বছর পরে বুঝি
আদর ছিলো তাতে।
আমার পেটে লাগলে ক্ষুধা
দুঃখ তোমার বেশী,
তুই কি খাবি? তুই কি খাবি ?
রাধঁি চুলা...
সবুজের হয়েছে ভীষন অসুখ
ধীরে ধীরে হলুদের বদলে ধারন করে ধূসর ছোপ ।
যে বাতাসে উড়তো চুলের ঝাউ,
যে আলোতে শুকাতো শালিক ডানা,
সে গত হয়েছে সে অনেক কাল আগেই-
কেটেছে নিনাদ; হেসেছে শিমুলের লাল দানা
ধীরে ধীরে বুঝেছে অবুঝ মন, এ সকলি হেয়ালি আর অন্ধের আয়না বেচার খেলা ।
তবুও মরে না চাওয়া, স্বপ্নের বালিশে যতই গোঁজামিল তুলোর বিচি ।
আকাঙ্খার আগুনে পুরে ঘুমিয়ে পড়া কৈশর থেকে যৌবনের লুকোচুরি ।
কোথাও ...
এত এত বড় দিন গুলো যায় চলে
বাইরে বরফ পড়ে
আমাদের প্রেমেও তার ছিটাফোটা লাগে
বরফের স্তুপে প্রেম হিমায়িত হবার সম্ভবনা জাগে
তবে থাকুক তা প্রাগৈতিহাসিক কালের ডায়নোসারের মতন মাটির গহিনে চাপা পড়ে
নতুবা,
আর কত অভিনয় চলবে
আর ওই মাপা হাসি তোমার
দেহে কাটা দিয়ে উঠে-
অসহ্য যন্ত্রনা বোধ করি।
পেট থেকে ভালোবাসা উগরে দিতে ইচ্ছা করে।
আমার নীতি-চিন্তাধারা আমারই থাক
থাক-আর না কষ্ট পাও এসব জোর কর...
বৃষ্টি আমার চোখের কোনে একটুকু কাল অধর ছুঁয়ো-
জোনাক জ্বলা নির্ঘুম রাত স্বপ্ন বীজ বুকে রূইয়ো ।
তুমি বললেই মরুভমি
খরার নামে ঝড়
লু হাওয়াতে ভাসিয়ে নিলে
ঢেউ তুলে নড়বড়
বৃষ্টি আমায় পরশ দিতে কোজাগরী আলো মেখো-
জলরঙে তে আঙ্গুল মেখে আকাশ জুড়ে চিঠি লিখো ।
ভাসবো বলে হাত বাড়ালে
গভীর কুয়ার জল
ডাকলে হারায় প্রতিদ্বন্দ্বী
কণ্ঠ নিলোত্পল
বৃষ্টি তোমার পায়ে নূপুর নিকোনো তান সুর-
ভাসিয়ে নিয়ে সব ...
ঝামেলাটামেলার কথা বইলা লাভ নাই। কারণ ঝামেলামুক্ত জীবন যার তিনি জীবিত না। মাস পার হইয়া গেলেও যদি আঙ্গুল না চলে তাইলে কার দোষ? আইজ সকাল থিকা চাইরপাঁচটা পোস্ট শুরু কইরা কোনটাতেই তৃতীয় প্যারায় পৌঁছাইতে পারলাম না। দিলাম ঘ্যাচাং কইরা। পরে মনে হইলো... না হইতেছিলো তো! পাঁচটাই কিছু না কিছু হইতেছিল। হ তা ঠিক। কী-বোর্ডে টিপাটিপির পরে একটা না একটা কিছু তো হবেই। কিন্তু সেইটা কি তা, যা হওয়াইতে ...
প্রখর-রোদ্দুর
==========
তোমার হাতে জল ছিলো
আর, আমার বুকে ক্ষয়
মাতাল হাওয়া আকাশ জুড়ে রঙ্গের ফানুষ বয় ।
আমার বুকে অরণ্য
আর, তোমার কাঁধে চর
দরজা খিলান খুঁজতে থাকে আকাঙ্খার-ই জ্বর ।
ঝড়ের মাঝে খড়কুটো
আর, নদীর গায়ে টান
বাতাস করে ফন্দি ফিকির জোয়ার জলে বান ।
চাঁদের গায়ে মখমল সাজ
আর, নেকড়ে গলায় ডাহুক
মাতাল করা জোছনা মেখে রাজকুমারী জাগুক ।
এ কবিতাগুলো হারিয়ে যাওয়া কবিতা। লেখা হয়েছিল বরিশালে। বরিশাল হল কবিতার গ্রাম। এখানে আকাশে বাতাসে কবিতা উড়ে বেড়ায়। অকবিকেও কবিতার পরীতে ধরে। তার প্রমাণ এই কবিতাগুলো। --কুলদা রায়
জলজ্যোৎস্না
আমি যক্ষ, জলচর পক্ষী নহি, আমি তোমার
মহাতেজাঃ ভ্রাতৃগণকে নিহত করিয়াছি।-বনপর্ব/মহাভারত
জলের ভিতর আমি কেন হাত রেখে পুনরায়
পুড়ে যাই পিপাসিত বুকে, কামনা ভাসছে জলে
শিলীভূত উল্টো দেহ ভাসতে ভা...
কবি তাকে ডেকেছিলো অতন্দ্রপ্রান্তরে
রতিদীর্ঘ রাতের রেশমী আবেশ ছিঁড়ে-
তাই সে বেরিয়ে এসেছিলো কৃষ্ণপক্ষ পথে।
ধারালো বাতাসের সাথে যুদ্ধ করতে করতে
সে এগিয়ে যাচ্ছিলো দেবদারু অরণ্যের দিকে।
কোথাও যুদ্ধ চলছিলো, শুভ ও অশুভের দ্বন্দ্ব-
আলো ও আঁধারের সংগ্রাম,
সমানে সমানে লড়াই, শেষহীন শক্তিপরীক্ষা।
সে ও লড়লো, ভুলে গেল কার পক্ষে লড়াই।
তারপরে সবকিছু ভুলে তার ভ্রমে চলে যাওয়া-
দূরে আরও ...
ঐ দিন তোমার সাথে হঠাৎ দেখা হবার পর;
ঈশ্বরকে জিজ্ঞেস করলাম,
এতদিন পরে দেখা করিয়ে কী লাভ হল তোমার?
আমার ভুলটা কি আঙ্গুল তুলে দেখালে?
নাকি তোমারও যে মাঝে মাঝে ভুল হয় -
সেটার জন্য ক্ষমা চাইলে?
যথাবিধি ঈশ্বর নিরব।
হে ঈশ্বর, অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে
তোমার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
আমি তাকে দেখেছি, আর
সেও দেখেছে আমায়।
আমরা আগের মতই আছি,
আগের মতই ভালো - এবং
আগের মতই ভালোবাসাবাসির সীমারে...