ভালেবাসা বড় বোঝা
জান্তব প্রাণ ধরেছি মুঠিতে
পারি কি ইচ্ছে হলেই মুঠি খুলে দিতে।
কে কবে চিবুক ধরে সিঁথি কেটে দিয়েছিল চুলে
তাড়াতাড়ি হাঁট্ বাবা,ঘন্টা বেজে যাবে স্কুলে ।
কিচ্ছু ভুলি নি -মা
অমাবস্যা -প্রতিপদ থেকে লক্ষ্মী পূর্ণিমা।
যে ছেলে মেলায় যেত ,বাবার তর্জনী চেপে ধরে
তর্জনী-মধ্যমার ফাঁকে
সিগারেট তার গলগল ধোঁয়া ছাড়ে।
কিচ্ছু ভুলি নি বাবু,ক্রিকেটের ব্যাট
ফ্লাওয়ার কর্ক , প্...
বয়সের দোষে
বাঘে আর মোষে
খেলে জলকেলি
ছলাৎছল
শরীর আগুনে
পোড়ে দুইজনে
শিরায় শিরায়
রসের ঢল॥
দেখিয়া অবাক
তব্দা বেবাক
এও কী ঘটে
ঘোর কলিকালে
শরীর-সাধনে
মন বুঝে নেবে
বেহায়া বেলাজ
শরীর লেনদেনে॥
বাঘে কী মোষে
জানে সব লোকে
কীই বা মেলে
দিন অবশেষে
চামড়ায় ঢিল
পড়ে গেলে প'রে
দরজায় খিল
জীবনের তরে॥
মহাপ্রভু ছক্কা চালেন খেলার ছলে,
তাঁর খুশিতে ছক্কা ঘোরে ওলটপালট
ঘূর্ণনে তার রঙ বদলায় দুনিয়াদারি-
একই খেলায় কাটান তিনি অনন্তকাল।
চার উঠলে আস্তাকুঁড়ে গলিত শব,
দুই উঠেছে? হত্যা করো অবোধ শিশু।
তিন ফোঁটাতে লাঞ্ছিতা মেয়ের জারজ প্রসব।
লাখে একবার ছয় পড়লে
ভিখিরিকে আমীর করে
প্রভু মোদের আত্মশ্লাঘায় সুড়সুড়ি খান।
মহাপ্রভু ছক্কা ছোঁড়েন ইতস্তত-
আঘাতে তার চূর্ণ হৃদয়
লাগছে মড়ক আসছে প্রলয়...
জীবন অনেকরকম।
মৃতের নখ বা ঘাসের ফুল।
কখনও তোমার ঠোঁটের খুব কাছে ঠোঁট এনে,
দেবে গুঁইসাপ।
কখনও ঘুম ভাঙাবে চুমি আঁখি।
প্রচণ্ড পলাশ দেবে খোঁপায়,
আর রাতের ডিনারে মৃত বেড়াল।
তাই বলি, বাঁচো।
ধুঁকে হোক, খুঁটে হোক, প্রেমে বা অপ্রেমে,
বাঁচো।
একদিন খুলে যাবে রাজপথ।
একদিন খুলে যাবে কৃষাণী।
যে তোমার চোখে আঙুল ঢোকায়,
দেবে তাকে গন্ধরাজ?
এ বিচার আমি জানিনা।
এ বিচার তোমার।
পথিক যদি জল চায়,
...
অমানব
অপার নৈঃশব্দ আর বিপুল কলরবের মাঝে
কোন অনামীয় ভূখন্ডে পাবে তাকে,
সব বৈপরত্যের বিষুবরেখায়,
প্রস্তরীভূত অবিচল
খুঁজে পাবে তাকে।
আলো আর আঁধার, বর্ণ আর নির্বর্ণ জগতের মায়াচল ছিড়ে
সহসাই মাথা তোলে সে, যেন জীবন্ত জিজ্ঞাসা;
আর দেখে-
এ অমানুষী ভূখন্ডের নির্মম বিস্তার;
অপ্রতিরোধ্য কোন সূর্যের নিচে
ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে উড়ে যেতে যেতে,
হাসে বিজিতের হাসি!
ফারাবী
যে আরো গভীরে নেমে যাচ্ছে
তার স্তুতি লেগে আছে বুকে
আমার বিছানা ভর্তি তার নিঃশ্বাসের শব্দ--
তাতে মৃত মানুষের ঘ্রাণ
প্রতিদিন ঘুমোতে যাওয়ার পর
তারা হাত পা মেলে উঠে আসে ঘরে
সারা ঘরময় তাদের পায়চারি
--ঝগড়া-বিবাদ
রাতশেষে তাদের পদচিহ্নগুলো
বাদুড়ের ডানার মতো কালো-- নিশ্চুপ
তবু
তাদের ডানায় এই কাঁচা হলুদের দাগ
কে লাগিয়ে দিয়ে গেল ভোরে
[কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে]
জন্ম: বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৩০৫; ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯।
মৃত্যু: তার রচনা অমর।
================================
প্রতিটি মানুষ অচিরে মানুষ হয়ে নয়
তবু কারো খোঁপায় নিয়ে রোদের ক্ষয়
বরুণফুলের কাছে দাঁড়ানোর ইচ্ছে হয়
কয়েকটি নষ্ট-পাখি ভুল মার্চে চলে এলেবেলে আকাশ
মেঘের কালি ঈশ্বর লিখে গেছে কবে সেসব নাঙ্গা কাশ
পরিনির্বাণ বিষয়ক যা জানি
জানে অবশ্যই চুরি যাওয়া রেবতী
সুরমা মধুডাঙা অই ...
তোমার ইচ্ছের কথা সঞ্চিত আছে গুহামুখে
তোমার জন্য অপেক্ষায় আছে রোদ
তোমাকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠছে
দিনের প্রথম কোলাহল
অথচ তোমাকে কাঁপাচ্ছে ঋতুমতী মেঘ
তোমাকে কাঁপাচ্ছে বর্ষাযাপনের কলা
কত আলোকবর্ষ দূর হতে
ধূপগন্ধ ছড়াচ্ছে সেইসব মৃত মুখ
--তাদের বায়বীয় ডানা
বিকাশরজন কুসুমে তা দিই
আকাশে পারদে বিশালতা নেই
ভুবনে ভুবনে ভেড়া গুণে গুণে
দিবসরজনী বহিয়া যায়।
আঁধারের পাশে বাঁধা নেই কালো
ওহে সাকি তুমি বাকিটাও ঢালো!
শরত-শশীতে পশিতে পশিতে
ননীর পেয়ালা উছলি যায়।
ফুলে ফুলে দেখ ঢলে পড়ে জুঁই
বাগানের পথে পুঁইশাক রুই
গাজরের সাথে কী কথা তাহার?
তাহাদের?
কবি জানিতে চায়।
আহা কতকাল দেখিনা তো বনে
মধুকর শাখে গুনগুণ মনে
শাখামৃগ শাখে বাঁকামৃগ কোলে
পর...
====================================
০
না হয় দেরী করে ফিরেছি বাড়ি
ঝাঁঝালো খোঁপার মাঝে অসমাপন রেখেছো
রূপকথার মতো রহস্যের বেণী!
কূলপ্লাবী ঠোঁটে সমুদয় ওয়ার্কার-ইউনিয়নের
আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার নন্দন;
না হয় আলসে করে হাঁটি।
ফুলটুসি বাহুতে জল বরাবরই ভসকা:
মূলত স্নানটবে পানি জমার কারণ ব্যতিক্রম নয়।
না হয় একটু দেরী করে বের হয়ে আসি।
অন্ধ পিঁপড়েরা টগবগ করে ডানা মেলতে জানে
সুদৃষ্ট কেউ শিখে রাখে উড্ডয়নের অঙ্...