[justify]
সেদিন গিয়েছিলাম এক বন্ধুর বাসায়। রাত ঘনাতেই বন্ধু মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আমিও হাজিরা দেয়ার মত করে মোবাইলের কাজটুকু সেরে ফেললাম। কিন্তু বন্ধু আমার নব্য প্রেমিক; তার শুধু হাজিরা দিলে চলে না, পুরো ক্লাস করতে হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাই একা হয়ে পড়লাম। বাসায় বিনোদনের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। অবশ্য একগাদা বইপুস্তক চোখে পড়লো। আমার বইপত্র বা ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান খুবই সীমি...
হঠাৎ কেন তোমার কাছে ছুটে চলে আসি?
দেখব নাতো তোমার মুখের হাসি রাশি রাশি,
সকালে নয়, দুপুরে নয়, আগুন ঝরা সাঁঝে,
আমার ছুটি শীতের রাতে তোমার বুকের মাঝে।
প্রিয়া আমার, শহর আমার, বাসবে আজও ভালো?
অন্ধকারে এখনওকি জ্বালবে আমার আলো?
--------------------
তাসনীম (tmhossain)
ঘাস লতা গাছ পাতা আর পেঁকের গন্ধ শুঁকে শিশুকাল
হারিয়ে, নতুন কিছুর গন্ধে পতিত।
উৎস খুঁজতে কয়েক প্রকার পেয়ে আরো
ভয়গুণে কাটিয়ে দিলাম চাওয়া সমেত কৈশোর।
বড় হতে থাকা আমি মাত্র যুবক
ঝাঁঝালো গন্ধের কতো প্রকার
আগত বহুল মিশ্রনের একটা গন্ধ
হয়তো বেহুঁশটানে হবে তা মেশকে আম্বর
খুঁজি নাম তার ঘাটাঘাটি অভিধান
হাতে ধরিয়ে দেওয়া হলো যুবা সংবিধান
প্রতিটি ধারার একই স্লোগান
ঘরের বড়ো ছেলে, চিত্ত ...
ক.
প্রতিটি ভ্রমণ শেষে অজ্ঞতা তীব্রতর হয়--দেখি, ভ্রমণস্পৃহা আরো তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে জানালার গ্রিল
আর এই ব্যকরণহীন ভোরে আমার হাত ও পা তীব্রতর হয়ে বারবার ছুটে যাচ্ছে জানালার গ্রিলের দিকে।
খ.
যখন ঝড়ের পর ঝড় এসে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভয়--আর আমরা স্বপ্নের ভেতর দিয়ে ডুবতে-ডুবতে পেরিয়ে যাচ্ছি মাঠের পর মাঠ--ঠিক তখন
এই বৃত্তাকার পরিক্রমায় এক-একটি ঝড় বারবার বদলে দিয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রিয়াবো...
সন্ধ্যের আকাশটা আজ বেশ শ্যাওলা ; ঘনীভূত হয়ে থাকা বায়বীয় ফ্রাইপ্যানে লাল টুকটুকে আগুন
আর
পোড়া পোড়া গন্ধে নিম নিম ডিম - দূরের আকাশ যতটা না কছে তার চেয়ে
বেশি নমনীয় হয়ে আছে উড়তে থাকা ছেড়া ব্যানার -
তবুও একজন রিক্সা আরোহী আর অন্যজন মধ্য বয়সী শাদা আঁচল
আজলে তুলে নেয়া নরম পানির মতো দুজনে বেশ ভাবাতুর হতে পারে অথচ আনমনে অস্বীকার করে গেল যে কোন একজন গতকাল যে ছিল ভিন্ন - ভিন্ন বাসরীয়,
আজকাল ...
মুকুন্দ ভদ্র এসেছিল এমন এক রাতে:
আশ্বিনের ঝঞ্জা-বজ্র বায়ু,
সরিসৃপের উত্কট শি-শি শব্দে।
কৃতদাসের পিঠের উদার জমিন
লাল থেকে নীল হয়ে যায় চাবুকে চাবুকে,
তেমনি বিজলী-মুখর করাল দন্তে
ক্ষনে ক্ষনে হেসে উঠা নিশী-রাতে,
আজ থেকে ঠিক একটি বছর আগে
এসেছিল মকুন্দ ভদ্র:
সম্ভাবনাময় এক প্রৌঢ় বিপ্লবী।
অন্ধকারে জ্বলে, জ্বলে সিংহ চক্ষু
দ্রোহ-হুংকারে, মূক্তির আশ্বাসে
তার অন্তরাত্তা বিশ্বাসে বিস্ফ...
[justify]‘ঘোড়সওয়ার।২৭’ কবিতাটি আমি লিখে ফেলেছিলাম হঠাৎ। একটানা কলম চালিয়ে।লাইনের পর লাইন মাথায় এসে ভর করে। শেষমেষ কিছু একটা দাঁড়ায়। লেখা শেষে আমি পড়ে চমকে উঠি। ব্যলীক (কামুক) ইন্দ্র, কবিকুল, ঘোড়সওয়ার, জনতা, প্রকৃতি – কবিতায় এই কয়টি চরিত্র এসে গেছে। আপনাআপনি। যতিচিহ্ন তুলে দিয়ে কবিতাকে একটু দুর্বোধ্য করি। কয়েকবার পড়ি। একটা গতি খেয়াল করি। ক্রিয়াপদে কিংবা ক্রিয়াপদের পরবর্তী শব্দ বা ...
যে ঝর্ণা আমার সুপ্ত সাগর তটে যৌবনের আনাগোনা
এঁকে দিল উচ্ছ্বল ফুটন্ত গোলাপ
রেনুর পাপড়িতে মাখামাখি হয় অজেয় নিষিক্ত
আমার গোপন বাগানে দখিনা পবন
ভূবন মোহনী বধু: সে-কি হিন্দুল, না যবন
যার মুখ দর্শনেই আমার সকল অবসাদ বিলুপ্ত
যার বাসর সাজাতেই আমার হৃদয় আকাশ উম্মুক্ত
যা দিয়ে ইন্দ্রধনু আঁকি...
আমার পাঁজরের হাড় দিয়েই তার অস্তিত্বরে সৃষ্টি
সে ধর্ম বর্ণ বিভাজিত নয়
সে আমার ভালোবাসা আমা...
নিঃশব্দ রাত্রি পতন, কারা ছিল সাক্ষী?
সীমাহীন আনন্দে ফেটে পড়া আমি এক পলাতক
যখন দেখি জোৎস্না মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে ঘুমায়
আমারও ঘুমোবার সাধ হয়
ভোরের শিশির পতনই জানান দেয় আরেকটি
সুন্দর দিনের শুরু--
ভোরের সুচারু ঘাস মাড়িয়ে গেলে
মধ্যাহ্নকাঙক্ষা আমারও আসে।
সেই শিশির ভেজা ঘাস তাও জানে
ঘাসে-ঘাসে হাঁটি বেদনায় নীল হয়ে যাই
যখন দেখি দিনের প্রান্তিক সীমায় এসে সূর্যটা ধূসর হয়ে
রাত্রি...
অনেক দিন ধরে যা মনে আসছে তাই লিখে যাচ্ছি । পাঠক শ্রেনীর নিন্দা-প্রশংসার কোনরকম তোয়াক্কা না করে, লিখছিতো লিখছি : অনেকটা ক্ষ্যাপার মতো । হঠাত্ করে নিজেকে প্রশ্ন করে বসলাম, কেন লিখছি এবং কেনইবা লিখবো ? উত্তরখানা পেলাম অনেকটা এরকম :
Eventually, I write to please myself,
With things come out from deep and dark:
Towards light and flashed flare.
Want to be happy little more,
with share and blinks:
Unconditioned, free and fair.
কেন আমরা লিখি অর্থাত্ লেখালেখির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সব লেখিয়েদের প্রায় ...