খুব অযৌন দেখি তোমার চুলের সংসার,
ঘুমের শুদ্ধিপত্র।
বিছানায় অঙ্কিত ফুলগুলোর আলগা ছেড়ে
সহাস্যে মুদে আসে রাতের চোখ,
মশারীর ভিতর তোমার বুকের 'পরে সুতোর শিল্পায়ন
দেখি। পাশ ফিরে ঘুমাতে গেলে উচ্ছন্ন সৈনিকের
বুটের শব্দ নিয়ে ছিঁড়ে যায় বোতামের জমাট।
কাল আমাকে আবার সুঁই-সুতোর বিজন নিয়ে বসতে হবে-
অথচ বোতামফুলের রঙঘ্রাণ ভুলে গেছি!
শার্সিতে রোদের বিতরণ দেখে হয়তো
কাল সকালে
স্লেটে শিশু...
১)
তোমার ভালবাসার অতল গভীরে আমি খুঁজে পেতে চাই
নিমগ্ন কোন অপরুপ স্বর্ণালী প্রভাত।
যেন সমস্ত ক্লান্তি শেষে তুমুল করতালি মুখরিত
আলোকিত মঞ্চ এক। আমার অলস শিশির কনা-
তোমার অধরের টুকরো টুকরো হাসিতে থাক বর্ণীল।
---------------------------------------------------------------------
২)
শুধু তোমার কাছেই আমি স্থির,
তোমার চেখে চেয়েই সব স্বপ্ন, আজ আমার আর
কোথাও যাওয়ার নেই, শুধু তোমার কাঁকনের প্রগাঢ় রিণিঝিনি
আর আলোড়ি...
অন্য আলো
তোমাকে আলো ভেবে নিমগ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম -
মনন্তরের এক নির্জন ভোরে ।
ঘাসে ঘাসে শিশিরের দীর্ঘশ্বাস
পাখিদের কলরবে প্রগাঢ় মাতম ।
হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায়
শুধু মরিচিকার স্নিগ্ধ সর্বনাশ ।
তোমার চিবুকের মতো কোমল কোন আর্তনাদ যেন
তার দু'চোখে ছড়িয়েছে - বিষন্ন জীবনের অভিশাপ ।
এভাবেই তো তোমার সতত চলাচল
টুকরো চাঁদের মতো তুমি যেন অসম্পূর্ন হয়ে
ঘুমিয়ে আছো কোন ক্লান্ত হ্বদয়ের...
আমি তাকে দেখতে যাই পাতার সংকলনে,
সফেন মেঘের অন্নে;
খামার উজানে দিয়ে দিই রাতুল দোয়েল।
আশাবরী সুর নিয়ে অনেক শহরের নাল হাঁটে
হাঁটে অজস্র ঘৌড়ার পা; পাঞ্জাবীর খুঁটে ঝুলে
থাকে সূর্য!
রোদের শরাব পানে হয়ে গেছি শিমের রঙনেশা
আমার হাতে নৃত্য করে নিদাঘ দুপুর
কাঁধে সোডিয়াম-বাতির ঝুনঝুন।
তার পাতার সংকলনে জানিয়ে দিই শহরের শ্লোক।
দুটি পথ দু'দিকে গেছে চলে হলুদ ফুলে ছাওয়া বনে
দুঃখ বাসা বাঁধে মনে জানি যাবে না হাওয়া একসাথে দু'টি পথে
আর যেহেতু পথিক আমি একা, থাকলাম দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ নিশ্চুপ--
দু'চোখ মেলে দৃষ্টি যতদূরে যেতে পারে--
যেথায় পথ গেছে বেঁকে ঝোপঝাড়ের মাঝে;
তারপর বেছে নিলাম অপর পথটি, মনোরম অন্যটির মতো
বরং অন্যটির চেয়ে এটা আরো ভালো, কারণ
এ পথ ঘাসে সমৃদ্ধ যা ছাঁটা জরুরি
যদিও লোকেরা ঐ পথ ধরেই যায় চলে
পার্থক্...
তিন প্রকার সন্তান ও তাদের বাস্তব অবস্থান
সন্তানউৎপাদনের তিন রকম পদ্ধতি আছে **
অনেক জানার পর আমি এটা বুঝেছি
এক জন বলল-
আমার যৌন উত্তেজনা প্রসমনের নিমিত্তে আমি এক নারীর নিকট গমন করলাম
আর সে কয়েকমাস এবং কিছু দিন পর এক সন্তান প্রসব করল
আবার অন্য জন বলল-
আমার বার্ধ্যক্যের দূর্দশার কথা চিন্তা করে আমি আমার স্ত্রীর উওপর আরোহন করলাম
সে কয়েকমাস এবং কিছু দিন পর এক সন্তান প্রসব করল
অন্য...
ফীঁজা মেঁ আগ লাগ গায়ি হে মেরে দোস্ত, কিসিকা ইন্তেজার না কারো
ফীঁজা মেঁ আগ লাগ গায়ি হে মেরে দোস্ত, কিসিকা ইন্তেজার না কারো
কারতে হে হাম বায়ান উসকা, তুম ফিকর না কারো
দিল তো জাখাম খা হি চুকা হে, জীনেকি আব কোয়ি দুয়া না কারো
রুসওয়াইয়া কি ওয়াক্ত যা চুকা হে, উস বেওয়াফা কা শিকায়েত না কারো
হালাত বিগড়ি হুয়ি হে, উসকো ঢুন্ডনেকি কোসিস না কারো
খুদা বেরেহেম হে মেরে আজিজোঁ, উসকা ভার...
হুইসেল বাজিয়ে নিলীকা চুষে নিচ্ছে সমস্ত বিকেল,
আমি পুড়ে যাচ্ছি, পুড়ে যাচ্ছে ফিঙেশিস্!
লাউ পাতার নরোম নরোম দেখিয়ে নিলীকা কেড়ে
নিচ্ছে জোনাকনদীসন্ধ্যে;
অভিমানে নারিকেল পাতায় আঁছড় কাটে একটি দোয়েল-
একটি দোয়েল।
খুব সন্তোপণে আমরা পিছনে ফিরে যাই
পিছনে উঠে আসে নিরুদ্দেশ মাঠ
আর আইলের অচিন।
জন্মান্ধ হয়ে খুঁড়ে গেছি পাতার জংশন,
মেঠো ছত্রাক কান্না।
পদ্মফুলের আস্তিনে সূর্যের পরশ সুবঁধ...
অন্য কোথাও আমার অস্তিত্ব ছিল, তাই তোমাদের যকৃতে কোন নিমের ক্ষেত বুনে দেই নি।
জলে স্বচ্ছন্দ হয়ে গেছি
পাতায় ভেসে ভেসে শুভালক্ষ্মী
জলে শরীর খুলে আছি
কাহার দৃষ্টিতে ডাকে মীনআঁখি
মুঠোমুঠো ছইয়ের কোমল
গেঁথে নিয়েছি জলভ্রমণে,
ক্ষেতের দোয়েল মখমল
বাতাসে ডুবি দেয় সন্তরণে;
আমি দোয়েলছায়ার মর্মর
জলে আঁকি তোমার শরীর
তুমি নক্ষত্র হও, আমি নিমের ক্ষেত বুনে দিব।
জগতে কিছু কিছু মানুষকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে পাঠানো হয়; স্রষ্টা নিজে পক্ষপাত করেন সে সমস্ত লোকদের হয়ে। কাজী নজরুল ইসলাম তেমনই একজন; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আর কোন কবি এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি । নজরুলই একমাত্র কবি যাকে নিয়ে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে খেটে খাওয়া মানুষের সাথেও আলাপ করা যায়, ক্ষেত্রবিশেষে অভিনব সব তথ্যও মেলে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে। নজরুলের জনপ্রিয়তার পথে শ...