কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ আজ রূপ বদল করেছে মাদী কুকুরের সাথে
রুবেল
ঈশ্বর গণিত খুব পটু।
চাঁদের হিসেবে ভুল করে
মরুর বণিক।
মরুর বালুর ঝিলিক ধরা
শরীরে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার।
কৃষ্ণ কৃতদাস উল্লাসে ফেটে পড়ে
ব্যথাহীন হয়ে পড়ে বেড়ি পড়া পায়ের
ক্ষত গুলো।
সশস্ত্র সৌন্দর্যে কৃষ্ণ মরুভুমি নিস্তব্ধ
মরুভুমিতে কুমারীত্ব।
বণিক উন্নত যৌবনবতীর খোঁজে মশাল হাতে
বলা বাহুল্য সেই রাতে কো...
না, আমাকে সাপে খায়নি।
আমি মইয়ের আগা থেকে পা
পিছলে পড়েছি।
আমার বুকে ব্যাঙের লাফঝাঁপ আর
হাত কাঁপছে হিরুঞ্চিদের মত।
মইগুলো লকলকে আমার হাতের নিচে,
আমার মত,
বস্তুত বাস্তব,
মূলত ঘূণে ধরা।
দৃশ্যত টালমাটাল।
সাবিহ ওমর
omarsabih এট জিমেইল ডট কম
ওমরের ব্লগ
আমার সাম্রাজ্যে আমিই রাজা,
এটাই কি স্বাভাবিক নয়?
এটাই কি স্বাভাবিক নয় যে
আমিই কথা বলবো,
হাজারো প্রণত শ্রোতার সামনে
আর হাত নাড়বো উঁচু ব্যালকনি থেকে?
এটাই স্বাভাবিক যে আমি মুণ্ডু নেব,
আবার আমিই জোড়া লাগাবো,
কথাও বলাবো দু'চারটা যখন প্রয়োজন।
আনকোরা যত যীশুকে শূলে চরাবো
আর ঝুলিয়ে রাখবো গীর্জায় গীর্জায়।
লেলিয়ে দেবো নেকড়ের পাল
যদি দুয়ারে শোর তুলে আঠারো অশ্বারোহী।
এটাই স্বাভাবি...
৫৩.
অমিতাভ স্বয়ম্বরসমাবেশ ব্রতচারী হালনসিহতনামার পৃষ্টাজুড়ে ট্র্যাক্টর চালিয়ে আপদকালীন মুসিবতপুরাণাবৃত্তির পাদদেশে বরাহসঙ্গম প্রত্যক্ষক্রমে অপ্রত্যক্ষ প্রতিবেশে কায়ক্লেশে অবিরাম নির্নিমেষ টিকে থাকে শোলটাকির উপাদেয় ভূনাভাজা ভালোবেসে অথবা কাটাছোলাতাজা মেষপোহানো আঁচে ভষ্মরূপ হেসে
৫৪.
সরাসরি হিজিবিজির থেকে চ্যাগানো মতিভ্রম উপাদেয় বলে যাবতীয় মাপজোখলাঠিকাঠি আঁটি...
আমি হয়তো আর কখনো লিখতামই না। না কলমে না কী-বোর্ডে। পুরনো জমে থাকা লেখাগুলি ২০০৬ এর ফেব্রুয়ারীতে আপলোড করেছিলাম কাফ্রী হিমুর প্ররোচনায়। গাত্রবর্ণের তীব্রতাই হয়তো এই রকম থিংক অ্যালাইকের যোগসূত্র। এর পরে চলছিল নানান রসিকতা খোঁচাখুঁচি তর্কাতর্কি এসবেই। নতুন কবিতা একেবারেই লিখিনি। এই সময় যা যা আপলোড করেছি সবই ১৯৯৭ থেকে ২০০২ এর মধ্যে লেখা। এই পর্যায়ে পরিচয় রাসেল আর তাঁর অসাধারণ ...আমি হয়তো আর কখনো লিখতা
(মেলানকলি থেকে পালিয়ে বেড়ানোর একটা প্রবণতা গড়ে উঠেছে আশৈশব...মেলানকলি শব্দটা জানবার আগে..বুঝবার তো বটেই। অথচ একটা বয়সের পরে অথবা একটা বয়সে পৌঁছে ভাবনার খাটিয়া ভেঙে কবিতা তাড়া করে বসলো। দৌড়ে অনভ্যস্ত আমি ছুটেছি কবিতার নাগালসাধ্য ব্যবধানে। নিজেকে বাঁচাতে চাইলে হয়তো খড়িকঞ্চির ভরসায় সের্গেই বুবকা হতাম। তার বদলে হিটে আউট স্প্রিন্টার হয়ে আছি। অথচ মেলানকলির সম্ভাবনা দেখামাত্র শা...
ভেবেছি মোহনা থেকে ফিরে আসা দ্বিধাগ্রস্থ মেঘ ঠেলে নিয়ে যাবো অন্য কোনো মোহনার দিকে
ছেঁড়া চিঠির মতো সেইসব এলোমেলো মেঘ--শিমুল তুলোর মতো সেইসব সাদাকালো মেঘ স্কুলফেরত বালিকাদের সোনালী চুল ছুঁয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে দূরগামী জাহাজের মতো নতুন মোহনার দিকে
শুধু পথ ভুল করা কিছু বোকা আলু-থালু মেঘ মাথা হেট করে ফিরে আসে বারবার
লিখতে বসে অনুভব করি জানলাপথে বাতাস বয়ে আনছে পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণের বিচ্ছিন্ন পাতা, সাথে হেমশব্দানুশাসন, বোপদেবের মুগ্ধবোধ, চান্দ্র ব্যাকরণ... এমন ব্যাকরণপ্রবাহে ভেসে যেতে যেতেও আজকাল মূকতাই শ্রেয়জ্ঞান করি, শুদ্ধ শব্দ-বাক্য আশা করলে একদল লেখক কেবল মারতে আসা বাকি রাখে, বলে যে পশ্চাৎপদ, এই ভয়ে আজকাল একটুও না-পড়ে ছিন্ন পাতা, ধরে ধরে ভাঁজ করে ১৮ খণ্ড ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী’র পাশে ...
বৃষ্টিসংক্রান্ত যাবতীয় স্বপ্নগুলো আমি ঘুমের ঘোরেই দেখি এবং জেগে ওঠার পর তার আর কিছুই মনে আসে না। তাই কোনো-কোনো রাত্রে ঘুম ভাঙার পর বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে থাকি, আর ভাবি--
দেখি এই বৃষ্টিভারাক্রান্ত রাত--রাতের দ্রোহ ভোরের সমীপবর্তী হতে গিয়ে অকারণে খোলে ফেলছে পোশাক--
আর তার নগ্ন পরিহাসে ভেসে যাচ্ছে আমার বিছানা বালিশ
পাহাড় ভালো সমুদ্রও ভালো তবে সবচে' ভালো জঙ্গল। জঙ্গল দুই প্রকারের হয়, গাছের আর মানুষের। আমার দুটোই সমান ভালো লাগে। বেতলার শুকনো গাছপালা আর লক্ষ্ণৌয়ের পুরোনো গলি, এতো একরকম দেখতে যে মাঝে মাঝে রাস্তা গুলিয়ে যায়। গাছের জঙ্গলে গেছি কম, জনঅরণ্যেই জীবন কাটে বেশিরভাগটা, এবং এটা কোনো খেদ নয় স্টেটমেন্টমাত্র। মাঝে মাঝে চিন্তারণ্যে হারানোও খারাপ কথা নয়। অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ খেয়াল হ...