ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে কেউ-কেউ লিখে ফেলে সর্বনাম
ক্রিয়াবোধ লুপ্ত হলে এইসব কথাসর্বস্ব ভ্রমণকাহিনী
রহস্য করে ঢুকে যাচ্ছে অরণ্যরাত্রির দিকে--
এক-একটি ভ্রমণ তাই বার-বার গাঢ় কুয়াশা ভেদ করে
মোড় নিচ্ছে রহস্যকাহিনীর দিকে--
অফুরন্ত জ্বর আজ
দৃশ্যত কিছু মেঘখণ্ড ঝুকে আছে শিয়রের দিকে--
আড়ালে কাব্যজিজ্ঞাসা
তুলিরেখার কবিতা ও মন্তব্যের ফল এই লেখা, কাজেই গালাগাল ঐ অ্যাকাউন্টে যাবে। ভালো লাগলে আমি রইলাম।
------------------------------------
১
যে ঘর ছেড়ে
এসেছি, সেথা আজ
চেরী ফুটেছে ।
In my old home
which I forsook, the cherries
are in bloom.
- Issa (1762-1826)
হাইকু লেখা জাপানি ভাষায় সোজা হলেও হতে পারে, বাংলায় বেদম কঠিন। নিয়মের নিগড়ে বাঁধা, যে নিয়মগুলো জাপানি ভাষার মতো ...
বব ডিলানের এই অসাধারণ কবিতা ও গান নিয়ে কিছু বলার বোধহয় প্রয়োজন নেই। এই গান বোধহয় কখনো পুরনো হবে না। ইউটিউবের সৌজন্যে ডিলানের এবং Blackmore's Night এর রিমেইড ভার্সনটার মিউজিক ভিডিও দিলাম এখানে। সাথে Ritchie Blackmore -এর গিটার তো থাকছেই; দেখুন, শুনুন Candice Night -কে ও
Come gather 'round people
Wherever you roam
And admit that the waters
Around you have grown
And accept it that soon
You'll be drenched to the bone.
If your time to you
Is worth savin'
Then you better start swimmin'
Or you'll sink like a stone
For the times they are a-changin'.
Come writers and critics
Who prophesize with your pen
And keep your eyes wide
T...
১.
ওয়াহৈপিরাংতনা শিন্থবা
কুমহৈগি নুংশাসোরতনদি
ওইহৈদে হায়বা লৈব্রা
লৈহাও য়াউদবগি মহুত্ থুপচিনখিবনা হেন্না ফত্রা
য়েংউ, নঙনা চত্খিবদগি মতমশিংসে কায়া'তা লুমথরে
থেংথবা লৈতনা সোয়দনা
মখোয়নসু শোরো শোরো চিংবিবা হৌরগনি হকচাংসিবু
মুক্না কোন্নরিবশিংনা পামজকাগি ফমুংবু চু-পাইবগুম পায়দুনা
অমন্বা নুংশিবগি শরুবু থাংদুনা
কোংঘুত্ শিংদো মেনসিনখিবনি মিৎনা নঙগা মান্ননা
মতমখুদিংগ...
নীড় সন্ধানী’র ‘জানিদুস্ত’ শিরোনামের লেখাটি পড়ছিলাম। কাকতলীয় ভাবে আমার জীবনেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছিল যা হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল আর লিখে ফেললাম সচলায়তনের জন্য।
সময়টা বোধকরি ১৯৯১, আমি তখন টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র। আমাদের শ্রেনীশিক্ষীকা এবং বাংলার শিক্ষীকা ছিলেন ‘ক’ ম্যাডাম (আমি আসল নামটা ব্যাবহার করতে চাচ্ছিনা)। ম...
কৃপাহত্যার বলিরেখা ফুটে আছে আমার বেওয়ারিশ ত্বকে, লোমকূপে সোঁদা গন্ধ দ্বিতীয় প্রেমের; মৃত্যু চাই। অঘোর মৃত্যু তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ
করার্থে নলখাগড়া-ঝোপে। আমাদের বাষ্পীয় সময় উবে যায় উবে যায় জগতের সকল উদ্বায়ী। নোনা দাগ পরে আসে সবুজ দেয়ালে। রজ্ঞনের সকল উপাদান তোমার হাতে তুলে দিলাম। কেবল
আমার
অঘোর
মৃত্যু
চাই।
সেদিনো ব্যর্থতা ছিল আমার, ছিল সেই অসহায় বিধ্বস্ত হৃদয়
হঠাৎ অস্তিত্বে আর্শীবাদ, সামনে তুমি দাঁড়িয়ে-এক অবিশ্বাস্য বিস্ময়!
আকাশের পাঁচিল বেয়ে বৃষ্টিরা নেমেছিল; দিয়েছিল স্ফটিক শুদ্ধতা
আমার চোখে মাদক বিহ্বলতা, তোমার দৃষ্টিতে নিষ্পাপ শুভ্রতা।
স্তব্ধ সম্মোহনে দেখেছি ধীরে ধীরে তুমি হলে দূর্লভ পাতা
চারপাশে অস্থিরতা শুধু তোমাকে ঘিরে এক আশ্চর্য স্থিরতা।
একে একে জল নিলে তুলে, সেই ...
অধৈর্য্য হয়ে পড়ছি আজকাল। দ্রুত ভাবছি ; ভাবতে ভাবতে অর্থহীন করে ফেলছি মিলি সেকেন্ড আর পালাবদলের হাওয়া। শীতের কুয়াশা যত ঘনো হয়ে আসে তার চেয়ে বেশী ঘনত্বে চেপে বসছে নিস্ক্রিয় আকাংখা ।
বার বার বেড়ে যাচ্ছে অনুভূতির ব্যারোমিটার ; দ্রুত লয়ে নামছে না যতটা উঠে যাচ্ছে চুড়ায়। প্রতিবার মনে হচ্ছে এবার মনে হয় শেষ বার ; আর নয়। তবুও প্রতিবার যেন এই বার। ভাবনার বিচ্যূতি ঘটছে ; ক্ষনে ক্ষনে।
এমনটা...
ফিরে যেতে ইচ্ছে করে আমার ছোট্ট গ্রামটিতে-
আমার ফেলে আসা শৈশব।
গ্রীষ্মের দাবদাহে ছায়ায় আশ্রিত আমি
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,
হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আমের পতন-
বরষার ঘণ কালো মেঘ, বৃষ্টির রিমঝিমে
অন্য ভূবনে চলে যাওয়া-
শরতের সফেদ মেঘ ও কাশফুল,
আইল ধরে সামনের সুবিস্তৃত মাঠ
হেমন্তের সোনালী ধান।
শীতের পিঠা, ঘাসের শিশির
কাঁথায় লেপ্টে থাকা আমি-
গ্রামের মাঝে টলমল পুকুরটি
যার পাশে পুরোনো মসজিদ আর...
১
গতকালের গর্ভিনী মেঘের ফেরি করতে করতে
যখন পৌছুলাম সুন্দরতার জাহাজ-ঘাটায়
নৈঃশব্দের নোংগর ফেলে কেউ একজন একঠায়।
আমার পকেট উজাড় নক্ষত্রের ধুলোবালি
নৈবেদ্যের খালি ঝাঁপি, গোটাকতক দোমড়ানো
দুঃখের দুর্বায় পিঁপড়ে বসতির হদিস,
অথবা বড়জোর গতজন্মের এঁটো ঠোট।
আর ঋদ্ধ জাহাজী জলদুস্যের সাঁড়াশী প্রবন জুলফির অগচরে
নীল কাঁকরার দাঁড়া জমা রাখে কুহক দ্বীপে