আবার যেদিন দেখা হবে
আমি কিন্তু হাত বাড়াবো,
আজকে যেমন ফিরিয়ে দিলে
সেদিন আমি তোমার হবো।
পথের পাশে লজ্জা ঘেঁষে
কৃষ্ণচূড়া লালের মতো
রোদ বিছিয়ে বসবো দু'জন
হিজল তমাল গাছের ছায়ায়
পাখির প্রতি পাখির কাব্য
পরান খুলে শুনতে শুনতে
হঠাৎ দেখায় প্রেমে পড়ার
মুহূর্ত এক বুনতে বুনতে
বয়েসটাকে কমিয়ে এনে
ষোলোর পরে সতেরো করে
খুনসুটি আর বাদাম ভেঙে
একটা দুপুর গড়িয়ে দেবো।
প্রেমহীন জীবন অত্যন্ত বেদনামূলক ও বিষাদময় এতে আসলে কোনো সন্দেহ নাই। যদিও প্রেম অপার্থিব ও অবিনশ্বর বলে 'খ্যাত' কিন্তু এই নশ্বর বস্তুগত জীবনেও যে তার উপযোগীতা বিশাল তা অস্বীকার করবার উপায় নাই। বাটে পড়লে এর মূল্য দিতে হয় ঘাটে ঘাটে! যাই হোক, এই দীর্ঘ ত্যানাপ্যাচানি, দুঃখ জাগানিয়া পোস্টের মূল প্রসঙ্গে আসি।
‘ভালোবাসা ভালো নয়’-- কথাটা আমার নয়, সমাজের। সমাজ যাই বলুক অর্ধেক জীবন পার করে হিসেব কষতে বসি ভালোবাসাটা শিখলাম কবে? আমার স্মৃতি বড়ই প্রখর। একেবারে দিন তারিখে হিসাব মেলাতে না পারলেও বয়স-বছরের হিসাব সে দাখিল করতে পারে। শৈশব কেটেছে ৮০-৯০ দশকে। বাংলা রোমান্টিক সিনেমার তখন রমমনা যুগ। ঠিক উত্তম-সূচিত্রার মতো প্রেমকাহিনি না হলেও তখন বড়লোকের মেয়ে ফকিরের ছেলে টাইপের সিনেমার রস গেলানো হচ্ছে ৮০ বছরের বুড়ো থেকে ৮ বছরের শিশুদের পর্যন্ত। সেই সাথে এও গেলানো হচ্ছে, প্রেম মানে পূত-পবিত্র সম্পর্ক--আদিম যৌনতা সেখানে কড়াকড়িভাবে অবাঞ্ছিত।
বুড়োদের কাছে কেমন ছিল জানি না, আমাদের কাছে সিনেমা মানে সিনেমাই। বাস্তবতার ছিটেফোঁটা সেখানে খোঁজার চেষ্টা করিনি। খুঁজব, সেই মগজ কোথায় তখন?
প্রেম তুমি কি ?
প্রেম - এর নিজস্ব কোন রং হয় না মনে হয়।আর এ কারণেই যে কোন বর্ণ বা রঙকে সে একেবারেই সহজে আঁকড়ে ধরতে পারে। তার পরও অপরকে রাঙিয়ে দেয়ার এক অশরীরী ক্ষমতা আছে তার। সেই রং কখনও উজ্জ্বল আবার কোথাও মলিন।
FIFO রোস্টারে কাজ করছি, এইজন্য সময় পাইনা। ছুটির দিন ফুতকারে উড়ে যায়; কাজের দিন গত ও আগত ছুটির দিনের কথা ভেবে। পড়ি কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনা। অনেকদিনে পড়া মনের জং ছাড়াতে লেখা।
.......................................................................................................
[justify]
এই গল্পটা প্রেম ও অনুরাগের। ত্রিভুজ প্রেমের এই জমজমাট কাহিনিতে আমার ভূমিকা যথারীতি উঁকিবাজ টম হিসেবে, আর নায়ক-নায়িকা দম্পতি আপনাদের আধ-চেনা। আকাশে বাতাসে এখনো প্রেমের জীবাণু; পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবসের আমেজটুকু খোমাখাতায় স্পষ্ট টের পাচ্ছি। এমন সময়ে ভালোবাসার গপ্পো বলার সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না।
পথে যেতে যেতে মনে হল রাইট ব্রাদার্স রা নিশ্চয়ই প্রেমে পড়েছিল। না হলে উড়ার কায়দা আবিষ্কার করেছিল কিভাবে? আমি ও উড়ছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম কোন ক্লাসে পড়? “নাইন”। সে ত হবেই। ক্লাস নাইনের চেয়ে জীবনে মধুর কিছু হতে পারে?
আমাদের হাইস্কুলের নামটা একটু অদ্ভুত। আ,ধ,বে,মে হাইস্কুল। পুরো নাম আলহাজ্ব ধনাই বেপারী মেমোরিয়াল হাইস্কুল। সবাই ছোট করে বলত ধনাই বেপারীর ছাত্র। আমি ছোট বেলায় অনেকগুলো ব্যাপারে হীনমন্যতায় ভুগেছি তার মধ্যে এই স্কুলের নাম একটা। ধনাই বেপারীর ছাত্র হওয়াটা আমার জন্য মোটেও খুব সুখের কিছু ছিলো না কারণ স্কুলের আসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার ছিলেন আমার চাচা। আমার আব্বা ছিলেন চরম প্রথাগত মানুষ, রবীন্দ্রনাথ নজরুল ছাড়
সেই মেয়েটার চোখের তারার ঝলকে,
মন ছেলেটার কি উচাটন পলকে,
পথ হারালো তার গুচ্ছ অলকে।
স্বর্গ বুঝি আসলো নেমে ভূলোকে!
কি মনোরম রাঙালো দিনগুলোকে,
রাখলো তারে অসাধারণ পুলকে।