অসাবধানে যেই না ছুঁলো আমায় তোমার আংগুলে,
কে যে আমায় খাইয়ে দিলো চরম নেশার ভাং গুলে।
প্রেম জগতের আংগিনাতে ছিলাম বড়ো নিঃস্ব রে,
কোন পূণ্যে তোমায় দিলেন মিলিয়ে আমায় ঈশ্বরে।
হৃদয় আমার একটি কথা বলছে প্রতি নিঃশ্বাসে,
এই জীবনের, এই শরীরের, এই আত্মার হিস্যা সে।
বাতাস যখন জমায় খেলা তোমার কালো কুন্তলে,
আমার সকল হৃদয় জুড়ে প্রেম রাগিণীর ধুন তোলে।
তোমার ঠোঁটের কূল ভাংগলে আনন্দে কি উচ্ছ্বাসে
(১)
[justify]সে যখন বলল, ‘তোকে না পেলে এই যে আঠারো তলা বিল্ডিংটা, এর ছাদ থেকে পড়ে মরব’। উপরে চোখটা রাখতেই মনে হচ্ছিল উঁচু ভবনটার মাথাটা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘আমার জন্য মরতে পারবি তুই?’ উত্তরে সে বলেছিল যে এর চেয়ে বেশী করার থাকলে তাই করবে। একটা অন্ধকার পাক খেয়ে গেল মনে তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীর কথা ভেবে। ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বললাম,‘ তুই মরে গেলে কি আমি বেঁচে থাকবো? আমিও চলে যাব এক সাথে’। অজানা আশংকায় হাতটা চেপে ধরে সে আমার। তারপর অনেকক্ষন দু’জনের কোন কথা হয়নি। বৃষ্টির ফোটা গায়ে পড়তেই সম্ভিত ফিরে আসে দু’জনেরই। রিকসার হুডটা মাথার উপর তুলে দিতে বাধ্য হলাম। পলিথিনে মোরা আমরা দু’জন যেন একটা ছোট ঘরে বন্ধী। প্রবল বৃষ্টি ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের চারদিক। দিনটার কথা মনে আছে খুব। এখন থেকে তের বছর আগের এক ২৫ শে শ্রাবন দুপুরবেলা।
একটি মেয়ে ব্যালকনিতে আইছিলো,
অল্প করে আমার পানে চাইছিলো,
দেখতে বড়ো মিষ্টি তবে ‘শাই’ ছিলো,
সেই চাহনি আমার বুকে ঘাঁই ছিলো।
হয়তো মেয়ে আমায় ভালো পাইছিলো,
একটু যেনো আমার প্রতি লাই ছিলো,
মনটা আমার প্রেমের গীতি গাইছিলো
ভাবনা গুলো আকাশ পানে ধাইছিলো।
এমনি করে দিনগুলো বেশ যাইছিলো,
‘মোরাল’ আমার অনেক বেশি ‘হাই’ ছিলো
হৃদয় জুড়ে সেই মেয়েটার ঠাঁই ছিলো,
জানতোটা কে সামনে বিরাট খাই ছিলো!
টুপুর কে তোমরা চিনবে না। তোমরা অবশ্য আমাকেও চিনো না। দোষটা তোমাদের নয় । আমি এমন কোন জগৎ বিখ্যাত লোক নই যাকে না চিনলে লোকে মামলা ঠুকে দিবে।আমি হচ্ছি টুপুর এর ছেলেবন্ধু। এই কথাটা বলার সময় আমার চোখে একটা ছেলেমানুষী ধরনের বিশ্ব্জয়ের হাসি খেলে যায়।টুপুর বাড়াবাড়ি ধরনের সুন্দর একটা মেয়ে।খুব কমন কথা মনে হচ্ছে ।হতে পারে, আমি তো আর আনকমন কেউ নই।সে যাক!!
[justify]জীবনের প্রথম চিঠিটা পেয়েছিলাম যখন ক্লাস ফোরে পড়ি। ঠিক পেয়েছিলাম বলা উচিত না। চিঠিটা আমার শ্রদ্ধেয় ছোট মামাজানের হাতে পড়েছিলো, তিনি সেই সময় বিশেষ ক্ষমতাবলে আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তো যাই হোক, পাড়ার একটা ছেলের কোন কারণে আমার মত ডানপিটে বান্দর মেয়েটাকে খুব মনে ধরেছিলো কেন যেনো। বলার সাহস না পেয়ে, একদিন মেলা সাহস করে একখান একপাতার চিঠি লিখে বসে। তারপর দুরুদুরু বুকে ছুড়ে দিয়েছিলো আমাদের
এই যে রূপবতী,
দুর্গা সরস্বতী,
করবে দয়া অতি,
প্রেম পূজারীর প্রতি?
আমার প্রানের জ্যোতি,
দিলেম অবগতি,
তোমায় ঘিরে ব্রতী,
তোমাতে সংহতি।
একটা মেয়ে যেই জীবনে আইলো,
সেই তরুণের প্রেমের রোগে পাইলো,
প্রেম ছাড়া তার অন্য কিছু নাই লো।
প্রেম বরষায় নাইলো,
প্রেমের স্তুতি গাইলো,
প্রেম আঁকড়ে জীবন-তরী বাইয়া যেতে চাইলো।
কিন্তু মেয়ের ইচ্ছা ছিল ‘হাই’ লো,
প্রতিষ্ঠিত কারো গলায় ঝুইলা যেতে চাইলো।
দুবাইবাসী আইলো,
মাইয়া ভালা পাইলো,
আর ছুড়িও বইসা বিয়া বিদেশ পানে ধাইলো।
প্রেমিক-তরুণ ধাক্কাটা খুব খাইলো,
বুকের মাঝে লাগলো এমন ঘাই লো,
এই সময়; এই মুহূর্ত ছেড়ে আমি কোথাও যেতে চাই না—
এই ঘাসের চাঁদরে অথবা জানালার পাশে এই বিছানা
তোমাকে আমাকে আবার নতুন করে ভালবাসতে শেখায়;
এখানে; এই মুহুর্তে দু'জনে আমরা বৈশাখের ঝড়,
অথবা প্রিয় কোন চলচিত্রের রোমাঞ্চকর দৃশ্য।
এই সময়; এই মুহুর্তে তুমি গ্রীক পৌরাণিকীর দেবী অ্যাফরোডাইটি—
সাগরের ঢেউয়ে ভেসে আঁছড়ে পড় আমার সৈকতে;
সৈন্দর্য, প্রেম, আকর্ষণ, কামনা সবই তোমায় ঘিরে।
এ ...
১.
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর বাসের পর ছেড়েছি অস্ট্রেলিয়া। অভ্যেস যায় না চলে, তাই প্রতিদিনকার মতো নিউজ.কম সাইটটা খুলে অস্ট্রেলিয়ার খবর পড়ি। এ পত্রিকা পড়েই এক সময় কস্কি মমিন লিখেছিলাম। শিক্ষকতায় ফিরব আবার, এ পরিকল্পনা ছিল না তখন। মমিন আর পড়া হয় না, তবে রাজনীতির খবর পড়ি।
প্রথম যখন অস্ট্রেলিয়া যাই নির্বাচনে আসে লিবারেল পার্টি (ডানপন্থী), নেতৃত্বে ছিলেন জন হাওয ...
প্রিয় পাঠক, আপনারা জ্ঞানী মানুষ, কত আপনাদের জানাশোনা, একটা চর্বিত ছন্দ না হয় শুনলেন।
"নীম লাগে তিতা বন্ধু
মরিচ লাগে ঝাল
তোমার আমার ভালবাসা
থাকবে চিরকাল।"
আমি তাসলিমা কে চিঠি দিলাম আমার বইয়ের মলাটের ভেতর করে আর তাসলিমা র বইটা আমি নিয়ে নিলাম। তাসলিমা হাস্না কে চিঠি পৌছে দেবে একই উপায়ে, নো রিস্ক। চিঠি দেয়ার দিনটা স্কুলের রেজাল্ট দেয়ার মত উত্তেজনায় কাটল।পর দিন তাসলিমা ক্লাসে এমন ...