চাঁদপুরে আমাদের বর্ষা ছিল
শত কুয়াশার মধ্যে কী করে যে
ঠাঁই খুঁজে নিলো নিরন্তর
বড়ই অদ্ভুত!
নদীর পেছন ফিরে অবিরত শুশুকের
মুখ গুণতি কাটিয়ে সময়
ফিরে দেখি বসন্ত উধাও।
অন্য কুয়াশা এসে ঘিরে ধরেছিল
সেই নদীর বসতি।
অবিনশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়ে গেলো
কথায় কথায় ক্রমে রাত বেড়ে গেলে
বর্ষার পেছন ফিরে তারপর
ঘাড় কাৎ করে চলে যাওয়া-
এভাবে তো না গেলেও চলে!
[center]দিন-রাত সারাবেলা;
টক-ঝাল প্রেম খেলা;
তুমি আর তুমি মিলে কি যে চাও বুঝিনা।
হাসি-গানে বাগড়া;
খুনসুঁটি, ঝগড়া;
আজব খেলার সেই মানে আর খুঁজি না।
তাকে নিয়ে কাঁদো, হাসো;
প্রাণ দিয়ে ভালোবাসো;
চাওয়া পাওয়া মিলছে না; তাই এতো কষ্ট?
সে তোমার ছিলো, আছে;
হয়তো দূরে বা কাছে;
কেটে ছিঁড়ে মনটাকে কেন কর নষ্ট?
“অপেক্ষা! তুমি নাই”;
“এটা কেন? ওটা চাই”;
এভাবেই মন ভেঙ্গে হবে চুরমার!
ত্যাগের চর্চা ধর;
স্বার্থক...
ছড়ার ছক্কা / রেজুয়ান মারুফ
বাংলাদেশ
নানান রকম ভেজাল রে ভাই
ভেজালের কী শেষ আছে?
তাও তো শান্তি বলতে পারি
আমার একটা দেশ আছে!
দেশটা গরীব ভাঙ্গা-চোরা
ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে -
তবু বাংলাদেশই সেরা
সকল দেশকে ছাড়িয়ে!
ধর্ম না তক্ত
মাইয়া লোকের নেতৃত্ব
এক্কেবারে হারাম!
এই ফতোয়া দিয়া যারা
পাইছিলো খুব আরাম,
তারাই এখন নাচে দেখি
মাইয়া লোকের আঁচল ধইরা
না যায়েজ কর্মটারে
ইচ্ছা মতোন যায়েজ কইর...
অনেক উড়েছে ঢেউ, ছন্দোবদ্ধ পার্থিব লেনদেন
পার্থিব সমুদ্রে ডুব, পার্থিব সে বৈঠা টানাটানি
কম্পিত সন্ধ্যায় আজ সরল নৈপাট্যে কাছে এসো
বাড়াও চিবুক তোমার মধ্যমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখি
সবুজ অরণ্য খোল লহরী বেষ্টনে ডুব দেই।
পুরোহিত প্রিয় ক্ষীণ সমিতের তুলি টানো পিঠে
আশ্চর্য সে রংধনুর সম্যক প্রেষ্টনে প্রেম লিখি
শ্যাওলা চৌম্বক উরু তুলে ধর খুঁজব জরুল
কুয়াশা নাভীতে দেখ, খুঁজে পাবে মাতৃত্বে...
বহুদিন নিস্তব্ধতায় কেটেছে তার নিয়নের রাতগুলি, মেঘের সকাল সমূহ। নিটোল পুকুরের কালো কৈ মাছের ডাঙ্গায় ভ্রমণের ছটফটানিতে তার সারা গোধূলী অস্থির হয়েছে অসংখ্যবার। এই সব অস্থিরতার আড়ালে বেঁচে থাকার আকুলতা কখনো কখনো ফিরে এসেছে, কখনো জীবন্মৃত্যুর জটিলতার ড্রয়ারে তালাবদ্ধ রাখতে হয়েছে সূর্যালোকের প্রেমপ্রার্থী অবান্তর ইচ্ছেগুলোকে। অন্ধকারে একটি উজ্জ্বল ঘরের জন্ম হয়েছে গোপনে গোপ...
শকুন্তলা
স্মৃতির ভেতরে ডুব দিয়ে দেখেছি, দূরছায়া
স্থির আনত করে সন্ধ্যার বেগবান সিঁথি আঁকা পথ।
ক্রমশঃ ভাড়ারে সব সঞ্চয় নিঃশেষে,
পালায় অযথা রেখে উপবাসী ক্ষুধার্ত আত্মা।
স্মৃতি কিছু দেয়নি স্বভাবতঃই।
ডুবেছি রৌদ্রের তীব্র রশ্মির আলোকে
নীল সূর্যে শুধু শুধু বিদ্ধ দীর্ঘশ্বাস!
ঝড়ের প্রকোষ্ঠে গিয়ে ফিরেছি বৈরাগ্য নিয়ে
পিছে ফেলে ভাঙ্গাচোরা রক্ত-মাংশ-হাড়।
ডুবেছি গৃহস্থের জালে, গো...
নিড়ালায়
মণিকা রশিদ
আমরা এসেছি, অভিমানী শানবাঁধা পুকুরের পার,
আমরা দুজন, আমাদের চেনো?
আমাদের চেনো শূন্য কাঠের বেঞ্চি, পাতাহীন ম্যপলের গাছ?
আমরা এসেছি-বড় দেরী হয়ে গেল
বড় বেলা বেড়ে গেল!
আমরা এলাম
গুনে গুনে দ্বিপ্রহরে
দেখব বলে নিড়ালায় ওড়াওড়ি গাংচিল, দুজন শালিখ
দু-একটি শঙ্খসাদা বাড়ী।
নিড়ালায় এলাম
গুনে গুনে দ্বিপ্রহরে
গুনে গুনে ফেলে এসে তিন তিনটে গলি!
দেখব বলে ঘাটে নৌকা, নোংগর কৌ...
হাতে তোমার কয় মুহূর্ত আছে
এখন সকাল দশটা বুঝি বাজে?
এম্বুলেন্সের হর্ণ শুনেছি কালকে
হৃদয় দিয়ে হৃদয় উম্মাতাল কে?
ডাকাতিয়ায় তখন ছিল ভোর
নৌকা থেকে নামছিলো না রাত
গলুই টানে তীরের জল প্রপাত
আটকানো দম ফেরত পাবে না যে
এখন সকাল দশটা বুঝি বাজে?
ডুব মেরেছো পরস্পরের ছায়ায়
মাছ ধরতে ইচ্ছেমাফিক টোপ
মাপামাপির হিসেবটা চঞ্চল
ছুঁইয়েছিলে দুনোপাশের জল?
তখন দুজন বেহুশ ছিলাম নাতো?
ভোরের পরে নামলো ...
প্রজাপতির নদী পারাপার
তবু ও কমলার অনেক কথা বলার ছিলো। যে বয়সে কথা কমে গিয়ে ভাবুক হবার পায়তারা খোঁজে মেয়েরা সেই বয়েস তার, অথচ কথা কিনতু সে বেশীই বলতো। খুব আবোল তাবোল না, বরং খানিকটা গুছিয়ে, কিনতু একটু দ্রুত, শব্দের শেষ দিকের উচ্চারন কেমন মিইয়ে মিইয়ে যেতো ওর মুখের ভেতর। সবাই এক রকম উপভোগ করে সেগুলো, কিছু কিছু শব্দ নকল করে হাসাহাসিও হতো খুব। কমলা ও একচোট হেসে টেসে ওর চাঁদের মতো, অন্তত ...
গাধী কয় 'ঘোড়া রে
ওরে মুখপোড়ারে
দেখে তোরে পড়ে গেনু
হয়ে গেনু খোড়া রে'
ঘোড়া কয় 'গাধীরে
জাত-পাতে নাদিরে
আয় সোনা কাছে আয়
খুরোডোরে বাঁধিরে'
অবশেষে হাছাহাছি
এলো তারা কাছাকাছি
দিলো ফি বচ্ছর
গ্যাদা গ্যাদা খচ্চর।