(১)
[justify]সে যখন বলল, ‘তোকে না পেলে এই যে আঠারো তলা বিল্ডিংটা, এর ছাদ থেকে পড়ে মরব’। উপরে চোখটা রাখতেই মনে হচ্ছিল উঁচু ভবনটার মাথাটা যেন আকাশ ছুঁয়েছে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে প্রশ্ন করলাম, ‘আমার জন্য মরতে পারবি তুই?’ উত্তরে সে বলেছিল যে এর চেয়ে বেশী করার থাকলে তাই করবে। একটা অন্ধকার পাক খেয়ে গেল মনে তাকে ছাড়া আমার পৃথিবীর কথা ভেবে। ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে বললাম,‘ তুই মরে গেলে কি আমি বেঁচে থাকবো? আমিও চলে যাব এক সাথে’। অজানা আশংকায় হাতটা চেপে ধরে সে আমার। তারপর অনেকক্ষন দু’জনের কোন কথা হয়নি। বৃষ্টির ফোটা গায়ে পড়তেই সম্ভিত ফিরে আসে দু’জনেরই। রিকসার হুডটা মাথার উপর তুলে দিতে বাধ্য হলাম। পলিথিনে মোরা আমরা দু’জন যেন একটা ছোট ঘরে বন্ধী। প্রবল বৃষ্টি ভাসিয়ে নিচ্ছে আমাদের চারদিক। দিনটার কথা মনে আছে খুব। এখন থেকে তের বছর আগের এক ২৫ শে শ্রাবন দুপুরবেলা।
স্যুটকেসটা বেশ বড় ছিল। যতদিন বিছানার নিচের জায়গাটা জুড়ে ছিল বোঝা যায়নি। এখন শূন্যতার মাপে বোঝা যাচ্ছে, শূন্যতাটি বিরাট। বিষন্ন লাগছে হঠাৎ।
অথচ এমন তো লাগার কথা ছিল না! বহুদিন ধরেই একই বাড়িতে থেকেও সম্পূর্ণ আলাদা ছিলাম আমরা। হাসি থেমে গিয়েছিলো অনেক আগেই, ইদানিং বন্ধ হয়েছিলো কথাও। এর কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট কারন নেই, কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার কথা বলতে পারি না যেখান থেকে এ দূরত্বের সৃ...
মধ্যরাত্রে ২
মধ্যরাত্রে
ইচ্ছে করে
ঘুমেতে তোমাকে দেখি-
কেবল একটা চুল
গাল হয়ে বেঁকে এসে
পড়েছে নিরাভরণ ওষ্ঠে;
নিশ্বাস কি করে নেও
স্বপ্ন কিভাবে দেখ
দেখতে ইচ্ছে করে
হয়তো হবে না দেখা
ইচ্ছে করে
এমনই মধ্যরাত্রে
দূরের ট্রেনের বা...