কুখ্যাত রাজাকার কাদের মোল্লার একাত্তরে ৩৪৪টা খুনের ঘটনা প্রমাণিত হবার পরেও নামমাত্র যাবজ্জীবন শাস্তি ঘোষণার প্রতিবাদে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখ বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকার শাহবাগে জড়ো হন ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা। পরে সেদিন রাত থেকেই এটা কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে সর্বস্তরের মানুষের গণআন্দোলনে পরিণত হয়। সেখান থেকে তোলা কিছু ছবি-
[justify]একটু ইতিহাস জেনে নেই
শুরু করি আর্মেনিয়ার গণহত্যার ইতিহাস দিয়ে। আর্মেনিয়ার গণহত্যা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন আর তার ঠিক তার পরপর তৎকালীন 'অটোম্যান এম্পায়ার'দের ঘটানো একটি সুপরিকল্পিত গণহত্যা। নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে এই গণহত্যার সাথে চলে ধর্ষণ। এই গণহত্যার কারণে মৃতের সংখ্যা ধরা হয় এক থেকে দেড় মিলিয়নের মধ্যে।
[justify]১৫ ডিসেম্বর ২০১২
১৫ ডিসেম্বর দুপুরে লোকাল বাসে বাসায় ফিরছি। নিউ মার্কেটের সামনে জ্যামে অনেক ক্ষণ ধরে আটকে আছি, সায়েন্স ল্যাব পর্যন্ত জ্যাম। জানালা দিয়ে হঠাৎ দৃষ্টি বাইরে পড়ল। এক কিশোর দামাদামি করছে। আমি মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করিঃ কিশোরটির বয়স খুব বেশি নয়। চেহারায় সারল্য লক্ষণীয় পর্যায়ের, মায়াবী। খুব ভদ্রভাবে দামাদামি করছে যেন সে না করতে পারলে খুশি হয়। দামটা পতাকার। দামীই তো। অমূল্য রক্তের দামের পতাকাতো সহজে পাওয়া যাবে না, পরম শ্রদ্ধার দামে হৃদয়ে নিজের করে নিতে হয়। সেই ভাবটি স্পষ্ট।
৬৮ বছর বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়ে হরিকান্ত মন্ডল হাঁটেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম। দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়েন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাতখানি বাড়িয়ে দেন- কয়ডা ভিক্ষা দিবেন?
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু...
[justify]বিচার মানে কী? আমার চোখের সামনে সাক্ষাৎ যে খুনিকে খুন করতে দেখলাম, তাকে পিটিয়ে মারতে পারলেই কি বিচার? না কি পিটিয়ে ছেড়ে দিলে তখন গিয়ে বিচার? না কি কান ধরে ঘুরপাক খাওনো? বা পা কেটে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা? নাকি পুলিশকে দিয়ে পিটাতে থাকা? বা র্যাবকে দিয়ে পঙ্গু কিংবা ক্রসফায়ার করে দেয়া? না কি বিচার মানে এটাই যে আদালতের সামনে সাব্যস্ত হবে সে দোষী!
পঁচিশে মার্চ রাত ১১.৪৫ মিনিটে শুরু হল আমাদের অপারেশন। মুখর প্রত্যয়ে সারারাত জেগে থাকার প্রাণবন্ত আয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ-স্মৃতি বেদিতে সেই কালরাত স্মরণে আমরা শ’দুয়েক তরুণ-যুবা-প্রৌঢ় জড়ো হয়েছিলাম। আমাদের প্রত্যয় ও উদ্যমের সাথে একাত্ম হতে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক প্রফেসর রফিকউল্লাহ খান, প্রফ
অসম্ভব একটা প্রত্যাশা নিয়ে এবারের ১৬ই ডিসেম্বর জাতি উদযাপন করল। প্রথমবারের মতো ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের কয়েকজনকে জেলে পুরে জাতি সগর্বে এবং প্রবল আত্মবিশ্বাসে বিজয় উৎসব উদযাপন করল। আমি যুদ্ধাপরাধী শব্দ ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। বর্তমান সরকার "মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ আর আন্তর্জাতিক অপরাধ" বলে বিষয়টিকে অতি সাধারণীকরণ করেছে, সম্ভবত: কৌশলগত কারণে। সংজ্ঞাগত বিশ্লেষণের ব ...
জামায়াত যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে যেসব কৌশল নিয়েছিল তার একটি হল বুদ্ধিজীবী নামধারী কিছু জ্ঞানপাপীর সিন্ডিকেট করে পত্র-পত্রিকায় প্রচারণা। এরকম বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা সম্প্রতি মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলামের বাসা থেকে গোয়েন্দারা উদ্ধার করে । এ তালিকায় অনেকের সাথে ফরহাদ মজহার এবং আসিফ নজরুলের নাম ছিল। অবাক হইনি। মজার ব্যাপার হল, তাদের নাম তালিকাভূক্ত হয়েছিল তাদে ...
রাজনীতি সেই যাদু দোলনা যা একজন জনপ্রিয় নেতাকে মুহূর্তেই ফুলবৃষ্টি থেকে কাঁটার লু হাওয়ায় নিয়ে যেতে পারে।এই মুহূর্তে তারেক রহমান একজন খলনায়ক বাংলাদেশের পরাজিত মেঘদলের চোখে।
তারেক রহমানকে একবার দেখেছি। বঙ্গভবনে ২০০১ সালে।সফল তারেক দলকে ব্রুট মেজরিটি এনে দেবার পর একজন পরিণত কিং মেকারের ভূমিকায়। এতো অল্প বয়েসে তারেক টিভি সাংবাদিককে বলছেন,আমি তো বিএনপির কোন বড় পদে নেই, দে ...