[justify]
সকাল সাতটার দিকে আমরা কাকেলছেও গ্রামের নদীর ঘাটে। ইলিয়াস পড়েছেন গাঢ় সবুজ রংয়ের একটা ইউনিফর্ম পায়ে বুট মাথায় ক্যাপ। জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন দেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পোষাক এটি। ইলিয়াস তার সবথেকে বেদনাবিধুর যুদ্ধক্ষেত্রে আজ ফিরে যাবেন প্রায় ৪৪ বছর পর যোদ্ধার সাজে।
আমাদের আজকের পরিকল্পনায় জগতজ্যোতি দাসের গ্রাম জলসুখা। না তার পরিবারের কেউ সেখানে নেই এখন আর, ভিটে বিক্রী হয়ে গেছে। আমরা যাবো তার ছোটবেলা বন্ধু ও যুদ্ধদিনের সহযোদ্ধা আব্দুর রশিদের সাথে দেখা করতে, যে জায়গা দিয়ে তার লাশ রাজাকারেরা নিয়ে এসেছিলো প্রদর্শনের জন্য সেই জায়গাটা দেখা। তারপর জগতজ্যোতি দাসের শেষযুদ্ধের স্থান খৈয়াগোপির বিল, সম্ভব হলে পাহাড়পুর এবং অবশ্যই মাকালকান্দি।
এবার আমাদের নৌকা চলছে উজানে, কাকেলছেও থেকে আজমিরীগঞ্জের দিকে। এখনো রোদ উঠেনি তেমনভাবে, ছায়া ছায়া ভেজা ভেজা ভাব, আকাশে মেঘ আছে, নদী ও বিশাল। গতকাল সারাদিন যে জায়গাগুলো ঘুরেছি সেগুলো ক্রমশঃ পেছনে সরে যাচ্ছে।
আজ ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম আমার অনেক বন্ধুদের মধ্যে একটি খবর শেয়ার করা আর কমেন্ট করা নিয়ে রীতিমত ঝড় চলছে। খবরটা হল ব্রিটিশ ধর্ম ও সমাজ বিষয়ক মন্ত্রি (Minister of Faith and Communities) এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি (Senior Minister of State at the Foreign & Commonwealth Office) বারনেস সায়িদা ওয়ার্সি ক্যাবিনেট থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার কারন ব্রিটিশ সরকারের গাজায় ইজরাইলি হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় ভুম
অত্যাচারিত মানুষের দূর্দশার রুপ সব সময়েই প্রায় একরকম। গাজায় যে মৃত্যুযঞ্জ চলছে বহুশ্রুত এ গানটি যেন সেসব মানুষের কথায় বলছে। যদিও যে গানটি এখানে উল্লেখ করলাম তা ৭১- এর প্রেক্ষাপটে রচিত। কেবল “একাত্তর”, “পূর্ব বাংলা” এবং “কোলকাতা”, “যশোর রোড” কথাগুলো ইগেনার করে দেখুন এযেন গাজার দৃশ্যেরই এক প্রানস্পর্শী বর্ননা।
যশোর রোড
শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল,
যুদ্ধাপরাধী রাজাকার জামাতীদের বিচার হয়নি বলে তারা যে বিচারের উর্ধ্বে নয় তা প্রমাণের এতোটা উপযুক্ত সময় আগে কখনও আসেনি। গতকাল রাজাকার মুজাহিদ যে বক্তব্য রেখেছেন তার পেছনে যে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ...