[justify]
ছোট্ট করে জগতজ্যোতি দাসের কথা বলা যাক।
জগতজ্যোতি কোন মেজর, কর্ণেল, এয়ারমার্শাল কিংবা সৈনিক ও ছিলেন না। ছিলেন মাত্র একুশ বছরের এক সামান্য কলেজ ছাত্র। এই সামান্য ছেলেটা কী করেছিল- একটু মনে করা যাক। ভাটিবাংলার বিশাল হাওরবেস্টিত এলাকা- সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ,হবিগঞ্জের প্রায় প্রতিটি থানা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন হয়েছিলো তার নেতৃত্বে। ৩৬ জনের দল নিয়ে তার বাহিনী ‘দাসপার্টি’ । সাব সেক্টর হেডকোয়ার্টার ছিলো তাহিরপুরের বড়ছড়া (টেকেরঘাট)। সেই তাহিরপুর থেকে জামালগঞ্জ, দিরাই, খালিয়াজুড়ি,মদন, মার্কুলি, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল হয়ে আশুগঞ্জ পর্যন্ত সে ছোটে বেড়াতো দেশী নৌকা নিয়ে। মার্কুলির কাছে পাক আর্মির জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার কৃতিত্ব তার। জগতজ্যোতির ও তার দাস পার্টির ভয়ে ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষনা করতে বাধ্য হয় পাক আর্মি এবং এয়ারফোর্স সাপোর্ট সহ বিশেষ কমান্ডো টিম পাঠানো হয় শুধুমাত্র জগতজ্যোতিকে টার্গেট করে।
১৬ নভেম্বর ১৯৭১ শেষ যুদ্ধে শহীদ হবার পর তার লাশ প্রথমে আজমীরিগঞ্জ বাজারে পেরেক বিদ্ধ করে রাখা হয়েছিলো প্রদর্শনীর জন্য, তারপর নৌকায় করে ঘাটে ঘাটে দেখানো শেষে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছিলো ভেড়ামোহনা নদীতে।
গত বছর অগাস্টে পোস্ট করেছিলাম। আশা করি এখনো পুরনো হয়ে যায়নি। হাসান মোরশেদের পোস্ট দেখে অনুপ্রাণিত।
১৯৭৫-এ শেখ মুজিবকে সপরিবারে খুন করার পর সেন...