পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেললাম, বড় ভাইয়ের উপরের ক্লাসের বাংলা বইতে একটা রচনা পড়েছিলাম- তোমার জীবনের লক্ষ্য। সেখানে লেখা ছিল লক্ষ্যহীন জীবন নাকি মাঝিবিহীন নৌকার মত, কোথাও পৌঁছাতে পারে না, কাজেই লক্ষ্য থাকতেই হবে ( এখন জেনে গেছি, - ইহা বিশাল বাজে কথা, এক হিসাবে অভীষ্ট লক্ষ্য থাকা এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য পরিশ্রম করা অবশ্যই ভাল, আবার থাকতেই হবে এমন দিব্যি কেউ দিয়ে রাখে নি
জমে থাকা ছোপ ছোপ রক্তের
কালচে দাগ মুছে
বুনিয়া জেগে উঠছে
নিকশ কালো আঁধারের বুক চিরে
দলে দলে বেরিয়ে আসছে মানুষ
কালো মানুষের দল
শরনার্থী শিবিরের তাবু ছিঁড়ে ফুঁড়ে
আশার খড়কুটো জড়ো করে ভুঁই খুঁড়ে
ঢাকের দ্রিমিকি দ্রিমিকি তালে
বেরিয়ে আসছে মানুষ
যুথচারী কালো মানুষের দল
আজ মৃন্ময় স্বপ্নের বীজ বুনা হবে
কঙ্গো অববাহিকায়
আজ অনলস জুম চাষ
সবুজ পাহাড়ের গায়
এখানে বনষ্পতির নিবিড় প্রহর ...
শেষ বিকেলের সূর্য তখন দূর পাহাড়ের কোণে হেলে পড়েছে। দুরন্ত বালকের দল ঘরে ফেরার আগে গোধুলীর কমলা রঙে নেয়ে আরো খানিকটা বেলা শেষের খেলা খেলে নিচ্ছিলো। ইব্রাহিম সাসা তার কাঠের চকোডুটা* ঠেলে ঠেলে ঘরে ফেরার পথের শেষ চড়াইটা পার হচ্ছিল। পেশল কালো দেহ ঘামে নেয়ে গেছে। বুকটা ওঠানামা করছে হাপরের মতো। ভেতরটা যেন নাইরোগংগোর** জ্বালামুখ। আর একটু উঠলেই বামে বাঁক নিয়ে পথটা নীচে নেমে শেষ হয়ে যাব ...