[justify]
মামাকে আমি খুব বেশি দিন পাইনি আমার অন্য বোনেদের মত। আমি যখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি, উনি তখন সরকারী চাকুরী নিয়ে বরিশালের গৌরনদী চলে যান। মাসে একবার কি দুবার ঢাকায় আসতেন, সাথে থাকতো ওখানকার বিখ্যাত মহিষের দুধের দই। মামার আগমনের এই একটাই ভালো দিক ছিল। চাকুরীতে যোগদানের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের ব্যাপক জ্বালিয়েছেন মামাজান। বোনের ছেলেমেয়েদের সার্বিক দায়িত্বে থাকা উনি ছিলেন প্রচন্ড রকমের রুটিন-প্রিয় মানুষ।
আমার পাঁচ মামা| বড় মামার ট্যালেন্ট অসাধারণ ছিলো বলে শুনেছি| নানার মতো তিনিও জেলার ছিলেন একসময়| মেজো মামা আর ননী (সেজোর পরেরজন) মামা ডাক্তার| মেজ মামা লম্বা একটা সময় ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এ কাজ করেছেন| আর ননী মামা জীবনের একটা বড় অংশ সৌদি আরবে ডাক্তারি করেছেন | ছোট মামা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, এখন কানাডা প্রবাসী | আমার সবগুলা মামা অসাধারণ ধরনের ভালো মানুষ| বাবা-মারা যেরকম ছেলেপে...
এই পর্ব লিখিতে বসিয়া আমি যেন দীর্ঘকালের আটকাইয়া রাখা দীর্ঘশ্বাস ছাড়িলাম, আর আশা করিতেছি, আমার প্রিয় সচলের পাঠকগন ও ছাড়িলেন, কারন তাও খুবই স্বাভাবিক, ৫নং মানে আপাতত এই সিরিজের ইতি, যদি না আবার কোন মামার নেক নজরে পড়িয়া যাই, তাহার পর আবার আসিয়া সচলে ইনাইয়া বিনাইয়া সেই গল্প ফাঁদিয়া বসি। যদিও মনস্থির করিয়াছি, যথেষ্ট সংযত হইয়া গাড়ী চালাইব যাতে করিয়া এরূপ না ঘটে, তবে কিছ...
আপনারা যারা এই পর্বটি পড়িবেন, তাহাদের দুর্দশা চিন্তা করিয়া আমার খারাপই লাগিতেছে, লেখার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখিবার জন্যে এই পর্বটি লিখিলাম, কিছুটা স্বার্থপরতাও আছে এর পিছনে। হয়তো এতক্ষনে ভাবা শুরু করিয়া দিয়াছেন আপনারা, এই বেটা কতদিন এইভাবে চাপা মারিতে থাকিবে, কেউ কী এতবার বেলের বাড়ী খাইয়াও অসাবধান হইতে পারে? কিন্তু যেমনটি তাতাপু বলিয়াছেন, গাড়ী চালাইলে টিকেট খাইতে হইবে,...
মামার সাথে মামদোবাজী - ১
মামার সাথে মামদোবাজী - ২
নেড়া কয়বার বেল তলায় যায়, এ প্রশ্ন আমি নিজেকে করিয়াছি বহুবার, আর জানি না কেন যে বেল বার বার আমার মাথাতেই পতিত হয়। কয়েকবার বেল পতনের পর বেল আর নিউটন উভয়কে দোষ দিতে দিতে এক সময় কাহিল হইয়া তাহাও বাদ দিয়াছি। আপনারা বলিতে পারেন, তা বাবা, বেল যখন তোমার মাথাকেই এত ভালো পায়, তখন তুমি মাথা বাচাইয়া বেল ...
চটাশ্ !
চমকে ঘুরে তাকালাম। হতভম্ব লোকটা ডান হাত দিয়ে সম্ভবত বাঁ গালটাকে চেপে রেখেছে। অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছে যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না এরকম কিছু ঘটতে পারে ! তাঁর বাঁ হাতটা টেনে ধরে মেয়েটি এক ঝটকায় পাশের খালি রিক্সাটায় উঠে বসলো এবং লোকটাকে টানতে লাগলো। শাহবাগের এই জনাকীর্ণ মোড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এমন অভূতপূর্ব ঘটনায় আমার মতো কৌতুহলী দর্শকের অভাব থাকার কথা নয়...
আবার সকাল সকাল দরজায় কড়া নাড়ানাড়ি। ক'দিনের জন্য অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি। কোন কারণ ছাড়াই। তাড়া নেই। তার মধ্যে ধাক্কাধাক্কি আর নাড়ানাড়ি দেখে প্রমাদ গুণলাম। কেইস কি? কলেজ পড়ুয়া ভাগ্নেকে নিয়ে একটু চিন্তায় থাকি। নিজের ছেলে মেয়ে গোল্...