... যাইবার কালে নিয়তি এমন এক দান দিল। কেউ ভাবেও নাই। প্রথমে প্রচুর ধুয়া দেইখা বাইর হইলাম, বিয়াপক আনন্দের সহিত। দেখলাম তারা ভাগছে। তারপর দেখলাম, নাহ, একটারে রাইখা গেছে। সিনন। সে কয়, তারে নাকি তার লোকেরাই বলি দিতে চাইছিল, যেহেতু সে লুকাইতে পারছে, জীবিত এখন। ওকে। কিন্তু ঐটা কী!
[১]
'মেলাবেন তিনি ঝোড়ো হাওয়া আর/ পোড়োবাড়িটার/ ঐ ভাঙা দরজাটা/ মেলাবেন'। প্রথম আলোর বাজেট প্রতিবেদনে অমিয় চক্রবর্তীর দেখা মিলল। অমিয় ছাড়াও সেখানে উদ্ধৃত বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন আর ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। বিশেষ প্রয়োজনে মার্কিন সরকারকে ডেকে আনা প্রথম আলোর স্বভাববিরুদ্ধ না। কিন্তু বাজেট বিশ্লষণে অস্তিত্ববাদীর মৌল সংকট-বিষয়ক কবিতার প্রাসঙ্গিকতা খুঁজতে গেলে, আগে জানতে হবে তাদের দফতর আলো করে আছেন নিদেনপক্ষে আড়াইজন কবি। তারা কারণে-অকারণে সাহিত্য ডেকে আনেন।
তাই বাজেটের পরের দিন ছাপা হওয়া 'হুমায়ূন আহমেদের দেয়াল: সাহিত্যের সীমনা ও আদালতের দায়' খটকার জন্ম দেয়। লেখক সাজ্জাদ শরিফের আপত্তি '[হুমায়ূনের 'দেয়াল'] সাহিত্যের ['মধুর'] সীমা উপচে সমাজ-রাষ্ট্রের খোলা ময়দানে প্রবেশ করেছে'। কতগুলি পূর্বানুমান লক্ষ্য করি: সাহিত্যের সীমানা মধুর, সাহিত্য বদ্ধকাঠামো (যেহেতু সমাজ-রাষ্ট্রের 'খোলাত্ব' তাকে সাহিত্যের বিপরীতে দাঁড় করায়) এবং সমাজ-রাষ্ট্রের ময়দান খোলা, অর্থাৎ বদ্ধোকাঠামোয় সমাজ-রাষ্ট্র নাই।
[justify]
প্রথম আলো কথিত আজকের সুসমাচার, হুমায়ূন আহমেদ নতুন উপন্যাস লিখছেন।
যা তা এলেবেলে নয় একেবারে ঐতিহাসিক রাজনৈতিক উপন্যাস। এর আগে ও হুমায়ূন লিখেছেন এমন, লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উপন্যাস 'জোছনা ও জননীর গল্প'। যদি ও মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত গনহত্যার অন্যতম অংশীদারদের 'কোমল' রূপে দেখানোর সচেষ্ট প্রয়াস আছে সেই উপন্যাসে তবু এটাকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ যাবত কালের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে চালিয়ে দেবার চালিয়াতি জারি আছে।
বদলে গিয়েছেন বিদ্যা বালান।
বদলে দিয়েছে কে?
আর কেউই নয়, বদলে যাও বদলে যাও স্লোগানদাতা প্রথম আলো।
"বিদ্যার সঙ্গে কাজ করতে চান আমির" শিরোনামের খবরটি ছাপা হয়েছে গত ২০ মার্চ প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় (পৃষ্ঠা # ২০)। সঙ্গে ছিল নিচের ছবিটি -
যেকোনো ম্যাৎকার বিরক্তিকর। কিন্তু ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার ম্যাৎকার তুলনাহীন।
ক. নেপোবাবুর প্রত্যাবর্তন
সরকারের দায়িত্বসম্পাদনায় নাগরিক অসন্তুষ্ট। সরকারকে গালি দেয়ার তার অধিকারটি মৌলিক। নাগরিক গালি দিচ্ছে। গালিতে কাজ যে খুব কাজ হচ্ছে তা না। কিন্তু তারও চেয়ে বেশি আপত্তিকর, সরকার তার কাজকর্মের কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না। এগুলো জানা সমস্যা। বিরাট এইসব সমস্যার পাশে, একটা আপাতদৃষ্টিতে ছোট মুশকিল দেখতে পাই। কিছুদিন হল, এই দুর্যোগের সুযোগে, দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশের নেপোসমাজের মুখপত্র, তার আস্তিনের নিচের ছুরিকাটি আবার বের করতে শুরু করেছে। সামরিক শাসন কায়েমের মাধ্যমে নেপোতন্ত্র বাস্তাবায়নের স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়ায় ছুরিকাটি আস্তিনের নিচে চালান করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিত অনুকূল হতে শুরু করেছে।
বৃদ্ধির হার!
স্কুলে পাটিগণিতের সুদ কষার অংকের প্রথম পাঠই ছিল সুদের হার বা বৃদ্ধির হার। যদি বলা হতো সুদের হার ২ শতাংশ বা বৃদ্ধির হার ২; তবে লিখতে হতো ১০০ টাকায় ১ বছরে সুদ ২ টাকা বাড়ে। বা এক বছরে ১০০ টাকা বেড়ে দাড়ায় ১০২ টাকায়।
[justify]প্রথম আলো বাংলাদেশের পত্রিকা পাঠকের ওপর একটা বিশাল ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। বদলে যাও, বদলে দাও শ্লোগানে মুখর এই পত্রিকা-কর্পোরেট একাত্তরের চেতনা ধূলিস্যাৎ করে দেয়ার জন্য গোচর অগোচরে ভূমিকা রাখছে। মোবাইল কর্পোরেট গোষ্ঠী ও নিওলিব্যারেল এনজিও ব্যবসায়ীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকা প্রথম আলো জনমতকে বিকশিত না করে সেটাকে রুদ্ধ করে রাখার জন্য স্তম্ভ লেখকদের ভাড়া খাটায়। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর
আমি দৈনিক প্রথম আলোর একজন নিয়মিত পাঠক। আমার বাসায় নিয়মিত এই পত্রিকাটি রাখা হয় এবং খুব আগ্রহ নিয়েই আমি পত্রিকাটি পড়ি। বিভিন্ন সময়ে নানান অসঙ্গতি চোখে পড়লেও সেগুলো স্বাভাবিক ভেবে উপেক্ষা করার চেষ্টা করি। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি, বাংলাদেশের দল নিয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে একের পর এক বিভ্রান্তিকর, মনগড়া এবং ভিত্তিহীন প্রতিবেদন ছাপা হয়ে চলেছে। নিঃসন্দেহে এসব প্রতিব
৮ই জানুয়ারি,২০১০। মিরপুর স্টেডিয়ামে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দিবারাত্রির খেলা। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে সেটা হঠকারিতা কিনা সেটা নিয়েও জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেল। অবশ্য প্রথম ভাগে সাকিবের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হলনা। বাংলাদেশ ২৯৬ রানের একটা "ফাইটিং" (ভারতের দুর্দান্ত লাইনআপের কথা মাথায় রাখলে উইনিং না বলে ফাইটিং বলাটাই সমীচীন ) স্কোরও
গত শনিবারের ঘটনা। সকাল থেকে আলস্যের কারণে বিছানা ছাড়া হচ্ছিল না। প্রথমতঃ উইকএন্ড, তার উপর প্রচণ্ড বৃষ্টি। ব্রিটিশ আইলস-এ বৃষ্টি প্রধানতঃ ঝিরঝিরে প্রকৃতির। কিন্তু গত কয়েকদিন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী শহর ডাবলিনে সেটা রীতিমত মুশলধারে হতে শুরু করেছে। ফলে বিছানায় শুয়ে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে একটা রোম্যান্টিক পরিবেশ উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ মনে হলো একটু পত্রিকা পড়ি। কী হচ্ছে এই দেশে ...