“তোমার সাথে দাবা খেলে হারতে হারতে আমি শেষ হয়ে গেলাম, তুমি মাঝে মধ্যে একটু খারাপ খেলে আমাকে জিততে দিতে পারো না? তোমার কি কোন ভদ্রতা জ্ঞান নাই?”, চিংকু ওর বিরক্তি প্রকাশ করল।
“নিজের ইচ্ছায় জোর করে আমি হারতে পারি না, কিভাবে জেনে বুঝে হারতে হয় সেটাও আমি জানি না, কাজেই তোমাকে আমার চেয়ে ভালো খেলেই জিততে হবে”, এলিসের সোজাসাপ্টা জবাব।
১.
সারাবছর যে বন্ধুর সাথে কাটাই তাকে বিশেষ কোন দিবসে আলাদা করে শুভেচ্ছা দিতে কেমন বিব্রত লাগে। সৌজন্য বস্তুটা বন্ধুতার সাথে সম্পূর্ণ বেমানান। বন্ধুর কোন কাজ করে দিলে যদি ধন্যবাদ পেতে হয়, সেই কাজটা ছোট হয়ে যায়। ঠাট্টা বাদে সিরিয়াস শুভেচ্ছা বা ধন্যবাদ কখনো দেইনি বন্ধুকে। যেমন দেইনি বিশেষ দিবসের কোন রঙিন কার্ড। তার চেয়ে ক্যামেরায় একটা ক্লিক করে ছবিটা বন্ধুর কাছে পাঠাই। নইলে সাদা খাতায় আঙুল বুলিয়ে কিছু আঁকিবুকি। আমার তেমনি ভালো লাগে। খুব সাদামাটা কিছু। অথবা ছোট্ট কোন রেস্তোঁরায় বসে ধোঁয়া ওঠা চায়ের সাথে মুচমুচে পিয়াজু সালাদ। সাথে খানিকটা বৃষ্টি হলেও হতে পারে, না হলে কিছু মেঘের দল ভাসতে ভাসতে দক্ষিণ সমুদ্র থেকে উত্তর হিমালয়ের পথে চলে যেতে পারে।
Your friend is your needs answered.
He is your field which you sow with love and reap with thanksgiving.
And he is your board and your fireside.
For you come to him with your hunger, and you seek him for peace.
-- Kahlil Gibran, The Prophet
সংবিধিবদ্ধ সর্তকীকরণঃ বিশা-আ-আ-আল পোষ্ট। নষ্ট করার মত প্রচুর সময় থাকলে, নিজ দায়িত্বে অগ্রসর হউন।
<><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><><>
দু'সপ্তাহের বেশি হতে চলল এই নতুন বছরের।
(১০ বছর আগে চেষ্টা করেছিলাম এই কবিতাটা লিখতে, লিখেছিলামও। তবে এটা কবিতা হয়েছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ঠ সংশয়। একময় গান লিখতাম, এখনও বন্ধুদের পিড়াপিড়িতে লিখতে হয়। তবে কবিতার ব্যাপারে আমি সবসময় ভীতু। ফেসবুকে কবিতাটা পোষ্ট করেছিলাম অনেকদিন আগে। আজ এখানে দেওয়ার লোভটাও সামলাতে পারলাম না। এটা সচলে আমার দ্বিতীয় কবিতা। সমালোচনা কাম্য।)
যতোই মাখো-না শরীর পললে মেঘলা রঙের শাড়ি
জীবনে কোন না কোন সময় সব মানুষই নাকি একবার হলেও কবি হয়। আমিও হয়েছিলাম। কাঁচাহাতে লেখা কৈশরের দুর্বল কবিতা, কিন্তু তাতেই আমার জীবন ঝালাপালা। নব্বুই-একানব্বুইয়ের দিককার ঘটনা। আমি সবে মাত্র মাধ্যমিকের পাট চুকিয়েছি। মফস্বল শহরে বন্ধুত্বের বৃত্তে চলছে জীবন। বন্ধুদের কেউ নব্য বিপ্লবী --- বামপন্থায় দীক্ষা নিচ্ছে। কেউ বা নব্য কবি --- কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। এদের মাঝে বেমানান আমি ক্রীড়াম ...
হাতের মুঠোয় আঁকড়ে ধরে আছি
একরাশ রঙিন কাগজ। ফেস্টুন।
কাগজ? শুধু কাগজ নয় ওগুলো;
অন্তত আমার কাছে তো নয়ই।
তাহলে কি ওগুলো? আমি বলি,
‘ওগুলো স্মৃতি’। হাসলে? হাসির কথা নয় মোটেও!
মনে আছে? সেই যে সেদিন?
মনমরা হয়ে বসে ছিলাম আমি।
কিচ্ছু ভাল্লাগছিল না। এই যে, এখানে,
এই কাগজটিতেই তুমি এঁকেছিলে! দেখ, দেখ!
মনে পড়ে না বুঝি? অমন কৌতুকময় কার্টুন
শুধু তুমিই আঁকতে আমাদের ক্লাসে।
এই ময়লা আধ-ছেঁড়া কাগজটু...
কিছু মানুষ কখনো কারো বন্ধু হবে না
কিছু কিছু মানুষ কখনো বন্ধু খুঁজে পাবে না ---মানুষের মাঝে
কারো কারো প্রিয়তম বন্ধু হবে কাশফুল,নদী
কেউ শুধু মেঘকে ভালবেসেই জীবন কাটাবে শেষাবধি।
কিছু মানুষ কখনো প্রেমিকা পাবে না
কিছু কিছু লোক শহরের বুকে একা হাঁটবে সারা রাত
কারো হয়ত সঙ্গী হবে বাউল বাতাস
আর কেউ চোখের মাঝে ডুবিয়ে দেবে সারাটা আকাশ।
আমাদের মাঝে কেউ কেউ কখনোই সুখী হবে না
কেউ হয়ত অভ্যস...
[justify]
জন্মাবার সময়েই আমরা মোটামুটি কাজ চালাবার মতো সব সম্পর্ক বাই ডিফল্ট নিজের সাথে এম্বেড করে আনি। বাবা-মা-ভাই-বোন-খালা-খালু-ফুপা-ফুপু-চাচা-চাচী-মামা-মামী-নানা-নানী-দাদা-দাদী সম্পর্কের কত রকমফের! আস্তে ধীরে বয়েস বাড়ে আর বাবার কলিগ, মায়ের বান্ধবী এরকম দুয়েকটা ফাউ সম্পর্কের মালিক হই। কথা বলতে-চলতে-ফিরতে পারা বড় হবার পরেই শুরু হয় আমাদের নিজেদের, প্রথমবারের মতো একান্তই নিজের জন্য সম...
জীবন কি গড়িয়েই চলে ! গড়িয়ে গড়িয়ে কোথায় যে যায় ! এর কূলকিনারা আমরা যে পাই না, তা কি চিরায়ত জীবনটার আবহমান দূরত্ব পাড়ি দেয়ার বিপরীতে আমাদের নিজেদের জীবন-দৈর্ঘ্যের অকল্পনীয় হ্রস্বতা ?
অনন্ত জীবনের কাছে প্রতিটা মানুষের এতো কৌতুকময় উপস্থিতি একদিন ঠিকই অনুপস্থিতির শূন্যতায় ঢেকে যায়, আমরা থেমে যাই। কিন্তু জীবন গড়িয়েই চলে, বিরামহীন।
যতক্ষণ আমরা আমাদের বহমান অস্তিত্ব আঁকড়ে থাকি, জীবন...