আবার যেদিন দেখা হবে
আমি কিন্তু হাত বাড়াবো,
আজকে যেমন ফিরিয়ে দিলে
সেদিন আমি তোমার হবো।
পথের পাশে লজ্জা ঘেঁষে
কৃষ্ণচূড়া লালের মতো
রোদ বিছিয়ে বসবো দু'জন
হিজল তমাল গাছের ছায়ায়
পাখির প্রতি পাখির কাব্য
পরান খুলে শুনতে শুনতে
হঠাৎ দেখায় প্রেমে পড়ার
মুহূর্ত এক বুনতে বুনতে
বয়েসটাকে কমিয়ে এনে
ষোলোর পরে সতেরো করে
খুনসুটি আর বাদাম ভেঙে
একটা দুপুর গড়িয়ে দেবো।
পেয়েই বুঝেছি-
প্রাপ্তি আড়াল করে চরাচর রক্তে ভেসে যায়
ক্ষমার আড়ালে যেই লজ্জ্বার পরিণত ভয়
তার কোনো আচ্ছাদন নেই!
রাত্রির নৈঃশব্দে যে রকম
গর্ভিনী গাভীর নত চলন-
তাদের ঈষৎ চিনি
ঈষৎ জ্বলনে আমি ঘুমাতে পারিনা!
আমার তন্দ্রায় আমি শিমূল গাছের গুঢ কাঁটা
ছাড়াতে পারিনা।
গুল্মে র-লতার আর বাকলের রহস্য বুঝিনা!
পেয়েছি বলেই আমি বুঝে গেছি
সোনামোড়া কাঁথার কথিত রহস্য
জেনেছি আমার নয়
জেনে গেছি-
ছায়া-প্রিয় গাছটার নাম ভুলে গেছি
সেই বেনামী গাছটা ছায়া-সর্বস্বই বটে
না-আছে পাতার ছিরি
না-ভালো গায়ের ডাল-পালা, শাখা-কাণ্ড;
ওই এক ছায়া -
ওটুকুই আছে তার -
ডালে-আবডালে।
গাছটা এখন বিশ;
কাহারোল গ্রামে ছায়া-খোঁজা মানুষের হাত ধরে হাঁটে
মাঠ-মাঠান্তরে,,,