১৷
এমনিতে বৃষ্টি নিয়ে আমার তেমন কোন অতিরিক্ত ভাললাগা নেই৷ রাস্তায় বেরোতে না হলে, বৃষ্টির শোভা উপভোগ করতে পারি, কিন্তু বেরোতে হলে বৃষ্টি আমার দু'চক্ষের বিষ৷ এই বছর বর্ষার শুরুর দিকে তেমন বৃষ্টি টিষ্টি হল না, খরা হতে পারে এই সম্ভাবনায় সবাই যখন বেশ চিন্তিত তখনই হুড়মুড়িয়ে শুরু হল বৃষ্টি৷ জুলাই মাসটা বেশ জল চুপচুপে হয়ে কাটার পর গোটা আগস্ট মাসটা শুকনো গেল৷ এরই মধ্যে পুণেতে সোয়াইন ফ্লু একেবারে মহামারী হয়ে দেখা দিল৷ চারদিকে আতঙ্ক, বেশ কিছু লোকজন মারাও গেল, বাজারে জোরদার কনস্পিরেসির গুজব৷ মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উত্সব "গণপতি উত্সব' এসে চলেও গেল৷ এবারে তেমন জাঁকজমক হয় নি৷ লোকজন নাকে মুখে নাকোশ বেঁধে ঘুরে বেড়াতে লাগল, অথবা বাড়ী থেকে বেরোলই না৷ আগস্টের শেষ থেকে আবার শুরু হল বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ৷ বিভিন্ন জলাধারের জলের উচ্চতা মাপা হতে লাগল রোজ৷ বর্ষাকালে জলাধার ভর্তি না হলে আগামী গরমে লোডশেডিং আর জলকষ্ট দুইই বাড়বে চরমে৷ পুণেতে পানীয় জলের সরবরাহ দেয় খড়গপাস্লা জলাধার৷ ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত তার ৭০ শতাংশ ভর্তি হয়েছে৷ বেশ চিন্তার ব্যপার সন্দেহ নেই৷
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আবার শুরু হল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি৷ ইতিমধ্যে সোয়াইন ফ্লু'এর প্রকোপ কিছু কমেছে, স্কুল কলেজ আবার খুলেছে, লোকে আর নাকোশ পরে ঘুরছে না৷ আমার অফিস পুণের কেন্দ্র থেকে ২৭ কিমি দূরে চারদিকে পাহাড় ঘেরা একটা উপত্যকায়৷ যে কোন জানলা দিয়ে তাকালেই গাঢ় সবুজে ঢাকা পাহাড় দেখা যায়৷ শীত গ্রীস্মে এই পাহাড়াগুলো তামাটে উদোম দেহ নিয়ে পড়ে থাকে৷ বর্ষা এলে প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি সবুজে ছেয়ে যায়, ঠিক যেন সবুজ শ্যাওলা লেগেছে, তারপর আস্তে আস্তে জংলি ঘাস আর গাছের ছানাগুলো হাত পা ছুঁড়ে খেলতে খেলতে বড় হতে থাকে৷ সবুজে সবুজ হয়ে যায় সব৷ বৃষ্টি যখন আসে, পাহাড়ের মাথাগুলো আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে, বিষ্টির ফোঁটাগুলো চড়বড় করে বড় হতে হতে একটা ম-অ-স্ত সামিয়ানা হয়ে সমস্ত পাহাড়গুলো ঢেকে দেয়৷ তারপর সামিয়ানার আড়ালে বছরভোর উপোসী থাকা তৃষ্ণার্ত পাহাড় আর নির্লজ্জ বিষ্টি কি যে ইন্টুমিন্টু করে --- তা আমাদের মোট্টে দেখতে দেয় না৷ একসময় শেষ হয় ওদের গোপন খেলাধুলো, সামিয়ানাটা কে যেন আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিতে থাকে আর পাহাড়গুলো অমনি একটা একটা করে মুন্ডু বের করে৷
২৷
এবারে বহুবছর বাদে দুর্গাপুজোর সময় বাড়ী এলাম৷ আমি সাধারণত কালীপুজোর সময় আসি, ভাইফোঁটার পরে আরো দু'চারদিন থেকে তবে ফিরি৷ কিন্তু এবারে কালিপুজোর সময় ছুটি নেওয়া যাবে না, তাই আগেভাগেই নিয়ে ফেললাম৷ আজকাল ভীড় দেখলেই এমন অতিষ্ঠ লাগতে থাকে যে পুজোর সময় কলকাতার ধারকাছ দিয়ে যাই না৷ .তুর্থীর দিন গড়িয়াহাট আর পঞ্চমীর দিন নিউ মার্কেট আর কলেজ স্ট্রীট ঘুরেই আপাতত বাড়ীতে চুপটি করে বসেছি৷ গড়িয়াহাটের ভীড়টা খুব ইন্টারেস্টিং লাগে আমার৷ এখানকার ফুটপাথে অজস্র ছোট দোকান, বড়বড় কাঁচের দরজাওয়ালা দোকানের ঠিক সামনে মুখোমুখিই৷ কিছু লোক শুধুই কাঁচের দরজার আড়ালেই কেনাকাটা করে আর কিছু লোক ফুটপাথে৷ কিন্তু ক্রেতাদের বৃহদংশই দোকান ও ফুটপাথে সমান উত্সাহে কেনাকাটা করে৷
-- অ চুমকি দ্যাক দিনি এই ঘাগরাটা?
-- ন্যা এইটে ক্যামন হালকাপারা, অ দাদা ঐ গোলাপী জরি দ্যাওয়াটা নামান না
-- হ্যাঁ দিদি আসুন একদম বেস্ট কোয়ালিটির জিনিস৷ আমার কাছে ঠকবেন না দিদি
-------------------
-- ও মা একটু দাঁড়াও, ঐ বেল্টটা দেখো, কি সুন্দর
-- তিনটে বেল্ট তো কিনেছিস, তোর বাবা তো এগিয়ে গেল৷
-- ?যাগ্গে আমি ফোন করে নিচ্চি, দেখো না এইটা একটু৷
-----------------
-- হ্যাঁগো টুপাইয়ের আরেকটা জামা নিই?
-- থাক্ না, ৩ টে তো হয়েছে, বরং তোমার আরেকটা শাড়ী দেখি চল, ঐ যে ঐ সবুজ টাঙ্গাইলটা৷
-- না না আমার আর লাগবে না, মা'ও তো দেবে একটা৷ তুমি একটা শার্ট নাও৷
----------------
-- দ্যাখ ঐ সেটটা মনে হয় ঠকে গেলাম রে৷ ৩৫০ টাকা বড্ড বেশী না?
-- যা: কি যে বলিস! ওর চেয়ে সস্তা আর কোথায় পাবি শুনি? হাতিবাগানে গেলে দেখবি কোয়ালিটি খারাপ৷
-- না, আসলে বাবার তো এবারে বোনাস হয় নি, এইটা নেওয়াটা ঠিক হয় নি৷
পছন্দের জিনিসটা কিনতে পারার আনন্দে ভরা মুখগুলির পাশে পাশেই হাঁটতে থাকে দ্বিধাগ্রস্ত ও চিন্তান্বিত মুখগুলি৷ এগরোল আর চাউমিনের গন্ধে ম ম করে রাস্তা৷ পুজো এসে গেছে, সবারই চেষ্টা তাই "আনন্দময়ী'র আঁচল থেকে দুমুঠো আনন্দ সংগ্রহ করার৷
৩৷
অনেকগুলো ইন্টারেস্টিং বই পড়ে ফেললাম৷ একটা শান্তিনিকেতনে মেয়েদের হস্টেল নিয়ে অহনা বিশ্বাসের স্মৃতিচারণ৷ অহনা বিশ্বাসের কিছু কবিতা পড়েছি আগে৷ গদ্য এই প্রথম পড়লাম৷ চমত্কার লাগল পড়তে৷ শান্তিনিকেতনের ছাত্র বা ছাত্রী শুনলেই আমাদের মনে একটা আতুপুতু নেকুপুষু ধরণের ইমেজ ভেসে উঠত আগে৷ এখন আর ততটা হয় না, তবু এই বই শুরু করার সময় যে সেই মনোভাব একেবারে ছিল না --- তা বললে মিথ্যে বলা হবে৷ বইটার আকর্ষণীয় দিক হল ভদ্রমহিলা খুব একটা কারো পক্ষ নেবার চেষ্টা করেন নি, যেমন যেমন দেখেছেন লিখে গেছেন৷
অন্য আরেকটা বই হল ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত এক দারোগার স্মৃতিচারণ৷ বইটি ইংরাজীতে প্রকাশিত হয়, দারোগার আসল নাম প্রকাশ না করেই৷ ঘটনাকাল তারও কুড়ি বছর আগের৷ বইটা পড়লে বঙ্কিমচন্দ্রের "আইন একটি তামাশামাত্র৷ একমাত্র ধনী ব্যক্তিরাই পয়সা খরচ করিয়া উহা দেখিতে পারে' উক্তির যথার্থতা অনুভব করা যায়৷ এ সেই সময়ের কথা যখন নীলকর আর জমিদারের লাঠিয়ালদের ভয়ে সাধারণ মানুষ কাঁটা হয়ে থাকত৷ "ন্যায়বিচার' শব্দটাই ছিল একটা ভয়ঙ্কর ঠাট্টার বিষয়৷ আর জেলে নিয়ে অত্যাচারের বর্ণনা! উফ্ কোথায় লাগে নকশাল আমলের অত্যাচার? অথবা বলতে পারি রুনু গুহনিয়োগীরা আসলে মিয়াজান দারোগাদের উত্তরাধিকারই বহন করে গেছে, এখনও নন্দীগ্রামে, লালগড়ে তাইই বহন করে যাচ্ছে৷ এই মিয়াজান দারোগার অবশ্য তার জন্য কোন অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই৷ মিয়াজানের সাফাই পড়তে পড়তে মিলগ্রাম এক্সপেরিমেন্টের কথাই মনে হচ্ছিল বারেবারে৷
অরুন্ধতী রায়ের নতুন বই "লিসনিং ট্যু গ্রাসহপার্স'এর প্রবন্ধগুলো অধিকাংশই আউটলুক বা অন্য কোথায়ও পড়া৷ তবে দুই মলাটের মধ্যে পেয়ে খুব খুশী হলাম৷
তো, সবমিলিয়ে দিনগুলো কাটছে ভালই৷
মন্তব্য
এবারে সেপ্টেম্বরে যেমন আবহাওয়া তাতে ফল-এর রঙ বুঝি অদেখা রয়ে যাবে। মনেপ্রাণে কামনা করছি একটু রোদ যেন ওঠে, একটু হাওয়া যেন বয়, ঝরাপাতাগুলো যেন একটু গড়ায়..
শুনেছি ওদিকে খুব বৃষ্টি হচ্ছে৷ আমাদের ক্লায়েন্ট ইস্ট কোস্টের৷ তাদেরই ফল কালার নিয়ে খুব হাহুতাশ শুনি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হুমম, একেবারে নিরঙ এবারের ফল।
...............................
নিসর্গ
লেখা ভালো লাগলো খুব, কি ভীষণ টানা আর নির্মেদ!!! কিন্তু, আপনি সবমিলিয়ে দিনগুলো ভালোই কাটাচ্ছেন জেনে ভালু পাইলাম না - আমার আবার একটা রোগ আছে, অন্য মানুষজন ফুর্তিতে আছে জানলে কেমন যেন ক্ষিপ্তমতো হয়ে যাই
আহারে চ্চু: চ্চু: আচ্ছা আমি ভাল কাটানোর বিবরণ দিয়ে আরো একটা পোস্ট দেবনে৷ তাতে কটা খানাখাজানার ছবিওয ওগ করে দেব৷
দিনলিপির আবার ভালমন্দ! তাও ভাল শুনলে তো আরো একটু ভালই লাগে৷ ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
'বর্ষা এলে প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি সবুজে ছেয়ে যায়, ঠিক যেন সবুজ শ্যাওলা লেগেছে, তারপর আস্তে আস্তে জংলি ঘাস আর গাছের ছানাগুলো হাত পা ছুঁড়ে খেলতে খেলতে বড় হতে থাকে৷ সবুজে সবুজ হয়ে যায় সব৷ বৃষ্টি যখন আসে, পাহাড়ের মাথাগুলো আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে, বিষ্টির ফোঁটাগুলো চড়বড় করে বড় হতে হতে একটা ম-অ-স্ত সামিয়ানা হয়ে সমস্ত পাহাড়গুলো ঢেকে দেয়৷ তারপর সামিয়ানার আড়ালে বছরভোর উপোসী থাকা তৃষ্ণার্ত পাহাড় আর নির্লজ্জ বিষ্টি কি যে ইন্টুমিন্টু করে --- তা আমাদের মোট্টে দেখতে দেয় না৷ একসময় শেষ হয় ওদের গোপন খেলাধুলো, সামিয়ানাটা কে যেন আস্তে আস্তে গুটিয়ে নিতে থাকে আর পাহাড়গুলো অমনি একটা একটা করে মুন্ডু বের করে৷ '--------------অসাধারণ বর্ণ্না। আপনার লেখা প্রথম পড়লাম, সচলে নতুন তো। বাকি গুলো পড়ছি এক্তু পড়েই!!
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আরে ধন্যবাদ বর্ষা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আরে ধন্যবাদ বর্ষা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
বড়োই দারুণ লাগল লেখাটা। বিশেষ করে অফিসের জানালা দিয়ে দেখা বাইরের দৃশ্যের যে বর্ণনা দিলেন, শুনেই লোভ হচ্ছে জায়গাটা নিজের চোখে দেখার।
এমন দিনলিপি আরো লিখুন।
অফিসের জানলা দিয়ে দেখাতে পারব না, তবে আমার বাড়ীর ব্যালকনি থেকেও দুদিকে পাহাড় দেখা যায়, আসুন বেড়িয়ে যান৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দিলে তো মনটা খারাপ করে, তবে আমি যাচ্ছি তোমার যখন ফেরার সময় হবে, ঠিক কালীপূজোর আগে। আমি ভাইফোঁটা নিয়েই তবে আসবো, উমমম
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আমার আর এবারে ভাইফোঁটায় থাকা হল না৷ কি আর করা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
কর্মজীবিদের জন্য ছুটি খুব-ই স্বস্তির! ফেস্টিভ্যালের সময়গুলোতে নির্ভার থেকে সারা বছরের স্ট্রেস সামলানোর ফুয়েল যোগাড় হয়ে যায়
ছুটিতে আর কী করলেন এমনভাবেই জানাবেল আশা রাখি।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
না না আর তেমন খুব কিছু করব না৷ স্রেফ খাওয়া ঘুম, বই পড়া আর ল্যাদ খাওয়া৷
ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শিরোনাম দেখে ভাবছিলাম চন্দ্রবিন্দু'র গান নিয়ে কথা হবে। অতি আগ্রহ নিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে পোস্টে ঢুকে পড়েছিলাম। যাউক গা, নিজেই এখন গুনগুনিয়ে গাই- এই এবড়ো থেবড়ো রঙ, থাক বরং...এই এবড়ো থেবড়ো রঙ, থাক বরং... দেখো ঝুল খাওয়া কানা দোকান, পাশ ফিরে পড়ে যাওয়া জলযান.....
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
যা: কি হবে?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনার বর্ণনা খুব সুন্দর। অহনা বিশ্বাসের বইটা পড়তে ইচ্ছে করছে। দেখি খোঁজ করব, এখানে পাওয়া যায় কিনা।
সবসময় ভাল থাকবেন।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
ধন্যবাদ চশমাওয়ালি৷
বইটার ডিটেলস দিলাম, খুঁজতে সুবিধে হবে৷
নাম: মেয়েদের হস্টেল জীবন : অন্দরমহলের কাহিনী
লেখক : অহনা বিশ্বাস
প্রকাশক: গাংচিল
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অনেকদিন পর একটা চমৎকার সাবলীল লেখা পড়লাম। লেখায় আবেগ আর দৃশ্যকল্পগুলো যথাযথভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন। অসাধারণ! ৫+
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিপ্লব৷ কিন্তু আপনি এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এবার ঈদে কলকাতা যাবো ভাবছিলাম। যাওয়া হলো না। কোরবানী ঈদে যাবোই যাবো
লেখা পড়ে ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এবাবা! আমি তো ঈদের সময় ছিলাম৷ কিন্তু কোরবানী ঈদে তো থাকব না৷
বরং সম্ভব হলে কলকাতা বইমেলার সময় আসুন না, তাহলে দেখা হবেই৷
আর হ্যাঁ ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
কলকাতা বইমেলা কবে?
আসলে কোরবানী ঈদে ঢাকাটা নরক হয়ে যায়। পালাতে হয় কোথাও না কোথাও... তাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জানুয়ারীর শেষ থেকে ফেব্রুয়ারী প্রথম ১০-১২ তারিখ পর্যন্ত্৷
আর নাহলে কোরবানী ঈদের সময় পুণেতে আসেন৷ এখানেও অনেক বেড়াবার জায়গা আছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এটাই হলো সমস্যা। ঐ সময়টা আমাদের এখানেও বইমেলা হয়। সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আমার কলকাতা বইমেলায় যাওয়ার খুব শখ। কিন্তু হয়ে ওঠেনা কখনো।
আর কলকাতায় যেতে হবেই। সেখানে আমাদের এক বন্ধু আছেন, চিনবেন কি না জানি না, বিজ্ঞাপন বানায়... অমিত সেন। তার বাড়িতে থাকতেই হবে আমাকে সপরিবারে। আমি বিয়ে করেছি তার ঢাকার বাড়িতে, যখন তিনি ছিলেন না। কিন্তু বিয়ের পর থেকে এখনো পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা নাই। বউ বাচ্চা কাউকে দেখে নাই। এই দুঃখে তার মরি মরি অবস্থা।
কলকাতার পরে আমার খুব ইচ্ছা শান্তিনিকেতন যাওয়ার। দেখি, আমার ইচ্ছা আছে লম্বা সময় নিয়ে যাওয়ার। সুযোগ করতে পারলে পুনেতে এক ঝলক চলেও আসতে পারি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
জানুয়ারীর শেষ থেকে ফেব্রুয়ারী প্রথম ১০-১২ তারিখ পর্যন্ত্৷
আর নাহলে কোরবানী ঈদের সময় পুণেতে আসেন৷ এখানেও অনেক বেড়াবার জায়গা আছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
চমত্কার!
১। বৃষ্টি পছন্দ করার ব্যাপারে আমারও ঠিক ওই ক্রাইটেরিয়াটাই আছে সেই স্কুলবেলা থেকেই, এখনকার অফিসকাল পর্যন্তও - বের হতে হয় কি হয় না - বেশ মিলে গ্যালো।
'নাকোশ' শব্দটা একদম ঢিষ্টিং ঢিষ্টিং হৈছে!
আপনার অফিসে চাকরি করবার লোভ হচ্ছে বেশ। যে বর্ণনা দিলেন, তাতে তো মাথা আউলে গ্যালো আমার।
বিশেষ ক'রে পাহাড়-বৃষ্টির 'ইন্টুমিন্টু'র বর্ণনায় আমি আপনাকে তিরিশ কোটি তারা দিতে চাই।
২। অচেনা শহর, নামে কিছু কিছু জায়গা চিনি শুধু, চোখের চেনা তো একটাতেও নেই আমার। তবু, দৃশ্যগুলো দেখতে পাচ্ছিলাম যেন!
৩। আমার যে কতোদিন ওইভাবে একটু বই পড়া হয় না! দিনদিন আরো অন্ধমূর্খ হয়ে যাচ্ছি!
পুনশ্চ:। দিন ভালো যাচ্ছে-টা বেশ ভালো ব্যাপার, যেকোনো সময়ের জন্যই। আমারও এমনিতেই বেশ ইচ্ছা ওদিকটায় যাওয়ার। এর মধ্যে আজ যেভাবে দিকে দিকে নেমন্তন্ন করলেন, রীতিমতোই লোভ হচ্ছে। তবে, আমি কার্যত বেশ ঘরকুনোব্যাঙ। হবে হয়তো এক সময়, বেঁচে থাকলে। গেলে, জানিয়ে যাবার এবং দেখা পাবার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকেন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আরে ধন্যবাদ৷
খাইসে! এত তারা দিলে আমার ঘরটা তো ঝিকমিকে ডিস্কো থেক হয়ে যাবে৷ সে মোটেও ভাল হবে না৷
নিশ্চয়ই৷ যখনই আসবেন জানাবেন৷ তবে আমি প্রতি ২-৩ বছরে জায়গা বদলাই৷ এখানে ২ বছর হয়েই গেছে৷ কাজেই আর কতদিন আছি জানি না৷
আপনিও হইহই করে ভালো থাকুন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ও
হুঁ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন