আমার ভেতরে যে বিভিন্নরকম "আমি' আছে, তাদের মধ্যে মাঝেমাঝেই বেশ ধুন্ধুমার যুদ্ধ লেগে যায় বিভিন্ন গোলমেলে বিষয়পত্তর নিয়ে৷ তার মধ্যে একটা অন্যতম ঝামেলার জায়গা হল "শব্দের ব্যবহার'৷ এমনিতে অনেকসময়ই আমি শব্দ সম্বন্ধে একটু বেশীইই সংবেদনশীল৷ হাংরি জেনারেশানের লেখাপত্তর বিশেষ টানে নি৷ ওদিকে আবার বন্ধুবান্ধবরা যখন যত্ন করে "খিস্তির উত্পত্তি ও ব্যবহার' শিখিয়েছে, সেটা বেশ মন দিয়ে শিখেছি৷ যদিও ব্যবহার করিনা কখনও৷ ফলে যেটা হয়েছে, এমনিতে আমার বেশ সুশীলা টাইপ একটা ইমেজ থাকলেও দু:শীল/ দু:শীলাদের কথাবার্তার মধ্যে অস্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি না৷ কিন্তু আবার দুম করেই কোন শব্দের ব্যবহার নিয়ে বেদম খচে গিয়ে কঠোরভাষায় ধমকে দিই৷ স্বাভাবিকভাবেই কেউ কেউ খুব আহত হয়, কেউ রেগে যায়৷ আর তারপরই আমার ভেতরের "আমি'গুলো নিজেদের মধ্যে ঝটাপটি লাগিয়ে দেয়৷
তো, এহেন আমি নব্বইয়ের দশকে নবারুণ ভট্টাচার্য্যের 'ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচাক' পড়ে পুরো ব্যোমকে গেছিলাম৷ এমন অজস্র শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যাকে আমরা তখন বলতাম "অসংসদীয়', অথচ তারপরেও বইটা কোথায়ও একটা চেতনার ঘেঁটি ধরে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে৷এরপরে খুঁজে খুঁজে আরও সব বইপত্তর পড়ে ফেলা গেল৷ তা আজ আর বই নিয়ে আলোচনায় যাব না৷ হিমুর দাবীমত নবারুণ সৃষ্ট চরিত্র কবি শ্রীপুরন্দর ভাট মশাইয়ের কিছু কাব্যনমুনা এখানে টুকে দেব৷এতক্ষণের আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন হে সুধী পাঠক, যে এবারে এখানে প্রচুর ভুলভাল কথাবার্তা লেখা হবে৷ আমি বলি কি, আপনার যদি শব্দ সম্পর্কে সংস্কার থাকে, এবার বরং একদম নীচে চলে যান গানটা দেখতে৷
প্রথমটা হল গাছের ডালে গলায় দড়ি দিয়ে পুরন্দরের সুইসাইডাল অ্যাটেমপ্টের পরে-
কেহই বোঝেনি মোরে
কেহই বাঁধেনি ডোরে
কেহই দেয়নি গলে মালা,
সকলেই লাথায়েছে
বঁড়শিতে গাঁথায়েছে
বলিয়াছে, মর্ তুই শালা।
তাই আমি বলি ধিক্!
হাসি শুধু ফিক্ ফিক্
গোপনে করিয়া যাই ট্রাই,
কবে সব শালাগণে
জড়ো করি কচুবনে
একযোগে করিব জবাই!
দুই নম্বরটা -"কবির আলখাল্লা"। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে, 'অ্যাকোয়া' ভন্ডুল করে -
কানা পালোয়ান সনে শিখেছিলে কুস্তির প্যাঁচ
সেই প্যাঁচে পরে দেখি অন্য যতেক কবি ঘ্যাঁচ্
জাহাজ-ক্যাপ্টেন তুমি ,বাকি সব মাঝি আর মাল্লা
সকলে জাঙ্গিয়া পরা,তুমি শুধু পরে আলখাল্লা৷
সকলে কুড়োয় বেল,তুমি একা বাগাও নোবেল
ইস্কুলে না পরিয়া ফার্স্ট তুমি, বাকি সব ডাহা ফেল
তোমার ওজনে ভারি একদিকে হেলে দাঁড়ি-পাল্লা
সকলে জাঙ্গিয়া পরা, একা তুমি পরে আলখাল্লা৷
তিন নম্বরটা মদন ও ডি . এস . এর সাথে প্রথম পরিচয়ে-
ঘুমোলে হবে না ক্লান্তি দূর
ঐ দেখা যায় বরোবুদুর
আনাচে কানাচে নাচে ইঁদুর
............. কুম্ভীপাক
ঠিকে লেখা লিখে চালাই পেট
বহুত্ দাদাকে দিয়েছি ভেট
জেনে শুনে সব শালা গবেট
............... চুলোয় যাক
মস্তির নামে খাই চোলাই
ব্যাডলাক হলে রামধোলাই
স্বপ্নে ঠকেছি ,কতো ভোলাই
............... চিচিং ফাঁক
হামাগুঁড়ি রেসে হয়েছি লাস্ট
কবিকুলে আমি আউট্কাস্ট
ভবহাটে দেখি হাঁড়ির বার্স্ট
................. জবরজাঁক
এবার সহজে নিজের কথা-
নমো, নমো নমো
এ প্রশ্ন মম
কভু কি পুরন্দর হবে রবিসম?
অথবা , ধরুন ,খুবই করুণ সুরের,
...................
হেভি শীত
গরিব ব্রাহ্মণ যায়
কিছুই নাই তো গায়
শুধু উপবীত!
এবার একেবারে হালের কবিতায় আসার আগে-
সবাই বাগায়
সবাই লাগায়
সকলেরই হবে অন্ত
আজ ঐ শিশু
করিতেছে হিসু
কালই ক্যালাবে দন্ত।
এরপর হালের ফার্স্ট কবিতা-
বড়লোকের ছেঁয়া
করছে টেঁয়া টেঁয়া
বড়লোকের ছেঁয়ি
করছে টেঁয়ি টেঁয়ি
ভোট উপলক্ষে-
আয় মোরা সব গরিব যত
বাঁধব জবর জোট
একসুরে আয় বলব তেড়ে
ভোটমারানি ফোট্
দেশপ্রেমের কবিতাও আছে-
কারগিলে হাড়গিলে
ঠোকরাতে আসে
বাজপেয়ী বাজপাখি
ছেড়ে দিয়ে হাসে।
মাল্টিন্যাশনালের বিরুদ্ধে-
ঢেপসিরা পেপসিতে
লাগায় চুমুক
ইয়া বড় পাছা আর
তত বড় বুক
আবার একই ঢঙে-
বোকাছেলে পুচু পুচু
কোকাকোলা খায়
বোকাচোদা বাপ তার
পয়সা যোগায়।
একটি বিদ্রোহমূলক এবং গরীবদরদী-
বড় লোকের গাড়ির টায়ার
ফুটো করে লাগাও ফায়ার
নজরটুকু রাখবে যেন
আঁচটুকু না লাগে আয়া-র।
বুঝতেই পারছেন "আয়া' এখানে প্রলেতারিয়েতদের প্রতিনিধিমাত্র৷
ডি এসের সাথে সাপলুডো খেলার সময় পুরন্দর লেখে
সাপ বেশী মই কম
দহরম মহরম৷
দিল্লীতে সাধু সেজে কিছু বৈদেশিক মুদ্রা রোজগারের পর পুরন্দর লেখেন
ছিলাম চোদু হলাম সাধু
হতেই দেখি আজব বাঁড়া!
হিপ পকেটে বুক পকেটে
ফাকিং ফরেন নোটের তাড়া!
দিল্লী থেকে ফেরার টাকা যোগাড় করার ধান্ধায় কাঁদতে কাঁদতে
বাঙালির তরে যদি
......... বাঙালি না কাঁদে
চুতিয়া বলিয়া তারে
......... ডাকো ভীমনাদে।
আবার দেখুন মলত্যাগের পদ্ধতিতেও কেমন গরীব-বড়লোক বিভাজন-
চেয়ার পায়খানাতে হাগে বড়লোক
বড়লোক কাগজেতে হেগো পোঁদ মোছে
গরিবেরা মাঠে হাগে, তেড়ে আসে জোঁক
গরিব নালার জলে রোগা পোঁদ ছোঁচে৷
পার্কে বসতে গিয়ে পিঁপড়ে কামড়ানোর সম্ভাবনায় পুরন্দর যে মাস্টারপিসটি লেখে
দু-দুখানি নিতম্ব দুরু দুরু কাঁপে
পিঁপিড়া কামড় দিয়ে যায় কোন ফাঁকে
লাল আছে, ডেঁয়ো আছে, আরো আছে হায়
ঠাকুরের নামে পোঁদ লক কিয়া যায়৷
গতবছর বইমেলায় প্রকাশিত হল "ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক'৷ তার থেকে একটি নমুনা৷ কবিতায় প্যাথোজটা খেয়াল করবেন-
একটি ক্লান্ত সিকি
রয়েছে ধনের কাছে
পকেটের কোণে
দু-তিনটে বিড়ি হবে
লাথ মেরে এই ভবে
সেঁটে যাব মানকচু বনে৷
তবে এই বইটা পড়তে গিয়ে দেখলাম যেরকম প্রতিবাদ বা বক্তব্য রাখতে এগুলি ব্যবহার হচ্ছে, তাতে আর সেরকম জোরালো লাগছে না এগুলো৷ "ফ্যাতাড়ুর কুম্ভীপাক' পড়ার আগেই ঘটে গেছে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে পুড়ে আংরা হয়ে গেছে তাপসী মালিক৷ "আমরা-ওরা'র বিভাজন ঢুকে পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে৷ চতুর্দিক অদ্ভুত ঝাপসা ও ঘোলাটে৷ তারমধ্যে এইসব শব্দের ব্যবহার আর প্রতিবাদের তীব্রতা যোগাচ্ছে না, বরং একঘেয়ে ও কখনও কখনও একটু বিরক্তিকর লাগছে৷ যাই হোক, সে তো নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ৷ থাক সেসব কথা, বরং একটা গান শোনেন, সাম্প্রতিক বাংলা ছবি থেকে৷ এটাই এবারে পুজায় হিট গান ছিল৷
মন্তব্য
এটা কোনো ভালো লেখার মানদন্ডে পরে কিনা বুঝলাম না।
খুঁজিতে যেওনা মানের দণ্ড
বৃথাই চেষ্টা হইবে পণ্ড
আমারটা না পড়ে না৷
নবারুণেরটা হ্যাঁ পড়ে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ঘরের বাহিরে শত্রু খাড়া
ঘরের ভিতরে গরিব বাঁড়া
করিয়া হেলা মারিছে খেলা
সহসা ঘাড়েতে নামিবে খাঁড়া
মেঘের আড়ালে উড়িছে বোমারু
যুদ্ধজাহাজ - নাম পোঙামারু
তবুও ডাকিয়া মেলে না সাড়া
ঘরের বাহিরে শত্রু খাড়া
আচ্ছা তাহলে "কাঙাল মালসাট' থেকে আরেক পিস:
উড়িতেছে ডাঁস, উড়িছে বোলতা, উড়িতেছে ভীমরুল,
নিতম্বদেশ আঢাকা দেখিলে ফুটাইবে তারা হুল৷
মহাকাশ হতে গু-খেকো শকুন হাগিতেছে তব গায়,
বাঙালি শুধুই খচ্চর নয়, তদুপরি অসহায়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এটা একেবারে দেয়ালে চিকা মারার মতো মহান!
আমার জীবনে নাই কেন কোনো ড্রামা
তাই দিব আমি কার্পাস ক্ষেতে হামা
আমার জীবনে নাই কেন কোনো ড্রিম
টিকটিকি আমি, পোকা খাই, পাড়ি ডিম
আমার মরণে হয় না তো হেডলাইন
প্রাসাদ গাত্রে মুতিয়া ভাঙিব আইন
আমার মরণে কাঁদিবে না কোনো মেনি
লেডি ক্যানিং-এর নাম থেকে লেডিকেনি
এক পা স্বর্গে, এক পা নরকে, ঝোলা
একটি কামান, দুটি কামানের গোলা।
কবি শ্রীপুরন্দর ভাট.....স্যালুট
শেযার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ.......
আপনাকেও ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হায় হায় এরকম একখান কবিতা তো আমরাও লিখেছিলাম (ছাত্র বয়সে)
এই কবিতাগুলো আসলে আমার মত পাজির পাঝাড়া টাইপের লোকের জন্য মজার৷ আপনি একজন খুবই ভালোমানুষ৷তাই আপনি যে পড়েছেন পুরোটা, এবং সর্বোপরি পড়ার পরে রেগে যান নি, তাতেই আমি খুব খুশী৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনি আসলেই পাজির পাঝাড়া
দমুদি লেখা দিলেন! প্রিয় লেখক ছুটদাকে মিস করছি খুব। আশেপাশেই তার আত্মা ঘুরছে নিশ্চয়ই
হায় হায় আপনি কন কি ভাইটি?! "আত্মা' হবেন কেন, আমি তো জলজ্যান্ত তাঁরেই দেখলাম সচলে একটু আগে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
নিজস্ব সংবাদদাতার বরাত দিয়া কই, সচলের রবার্ট ব্রুস সংক্ষেপে ববিদা নাকি "পাড়ার পোলা মফিজ" নামে একখানি গল্প বেনামে ফায়ার করেছিলেন। ফ্যাসিবাদী মডুদের একজন সেটাকে যূপকাষ্ঠে চড়িয়েছে বেরসিকের মতো। তবে এই গল্পে নাকি চুম্বন বা প্রেমিকার লালা বেমালুম মিসিং। ববিদার ফর্ম পড়ে যাচ্ছে ।
- এই গল্প সেশন জটে ফেলাইয়া দেয়ার লাইগা মডুগণরে দিক্কার। লালা না হয় কমেন্টের ঘরেই ফেলানো যাইতো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রথম মন্তব্যে অতিথি লেখকের কথা খানিকটা সত্যি হতে পারে যেহেতু এটা ঠিক মৌলিক লেখা নয়। কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়, অন্ততঃ আমার ব্যক্তিগত মতামতে যা দাঁড়ায়। এখানে অনেক পাঠকই পুরন্দর তথা নবারুণ পড়েন নি যেহেতু পবঙ্গীয় সাহিত্যবাজারের মূল প্রকাশনার ছাতাতলে এঁর বাড়বৃদ্ধি নয়। এই পাঠককূলের মধ্যে আমিও আছি, এবং ফ্যাতাড়ুগাথা নাটক হবার আগে জানতাম না। বিশদ আজ জানলাম, কাল ভাবছিলাম কে এই পুরন্দর যখন দময়ন্তী ও হিমু তাঁর কবিতা পোস্ট করছিলেন অন্য একটি লেখায়। কাজেই লেখার সাহিত্যগুণ যেমনই হোক, আমার জন্য এর বিশাল অবদান হলো এই যে অসুশীল বাংলা সাহিত্য নিয়ে আমার অজ্ঞানতা দূরীকরণ। এবং আমি নিজে যদিও মোটামুটি সুশীল গোত্রের লেখা লিখি ও পড়ি, সেই হিসেবে এটা আমার কাছে প্রায় বিপ্লব, এবং সেই বাবদ জাঝা (কী করে যে এটা উচ্চারণ করে, আমার তো প্রতিবার জিভ জড়িয়ে যায়!)।
যাক বাজে ভাট অনেক হলো, এবার একটা আরো ভালো ভালোতর গান আপনাদের শুনিয়ে যাই দময়ন্তী সো গতো পন্থা করে। এর চেয়ে ভালো প্রিন্ট পেলাম না, এই দুঃখ কোথায় রাখি! এমন জিনিস ব্লু-রের দাবিদার।
বাপরে! এ তো পুউরো GUN
কিন্তু মূলোভায়া আপনি "হারবার্ট' দেখেন নি? না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখে নেবেন৷ আমার অবশ্য "কাঙাল মালসাট', "এ মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়', যুদ্ধপরিস্থিতি' ও অসম্ভব ভালো লেগেছিল৷ তবে নবারুণের রাজনীতিতে একটুও সাবস্ক্রাইব না করলে ওঁর লেখা জেনেরালি ভাল লাগা মুশকিল বলে আমার মনে হয়৷ নবারুণের লেখাপত্র নিয়ে সুমেরু(কারুবাসনা) আমার চেয়ে ঢের বেশী ভাল বলতে পারবে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হারবার্ট সুযোগ থাকলেও দেখি নি। কারণটা আপনি বলে দিয়েছেন, করণ জোহরের ফ্যামিলি ভ্যালু-তে বিশ্বাস না থাকলেও তাঁর ছবি দেখা যায়, কিন্তু এই ধরণের সিনেমায় সেই চালাকি চলে না, হয় এস্পার নয় ওস্পার। তো আমি ওস্পারের লোক বলেই যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে এই সব সৃষ্টি করেছেন তাঁদের ছবি দেখি নি, অন্তত এখনো পর্যন্ত। ঐ পাড়ায় আমি শুধু ঘটকবাবুরই ভক্ত।
শ্রীমান পুরুন্দর তার কাব্যপ্রতিভা দ্বারা আমার হৃদয় হরন করিলেন
আর দুটোগানই
কেউ কারে নাহি ছাড়ে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
অহো!
সাঁচ্চা সাধুর মুখ থেকে অহরহ শালাই বের হয়।
ক্যাব্বাত, ক্যাব্বাত! মারহাবা!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দময়ন্তী আপু এই লেখা পড়ে তো খাইষ্টা কবি শ্রীপুরন্দর ভাটের পাখা হয়ে গেলাম।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।
আপনিও তো খাইস্টা জিনিস ভালবাসেন চশমাওয়ালি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
পুরন্দরের আরেকখানা পিসঃ
হব না ননদ, হব না জায়া
হব সরকারি হোমের আয়া
সুপারের সনে
যাব কচুবনে
রচিতে নধর মিলনমায়া
না রবে পিত্তি, না রবে হায়া
হয় এসপার
নয় ওসপার
দেখিবে জগৎ যুগলছায়া
হব না ননদ, হব না জায়া
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
আহা আহা
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
পুরুন্দর মহাশয়তো পুরাই বস লোক!
সে আর বলতে!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হাংরি জেনারেশনের মলয় রায়চৌধুরী কি এখনও বর্তমান, নাকি গত হয়েছেন?
উরে বাবারে! সেই "প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার' এর উনি? হ্যাঁ বেঁচেই তো আছেন মনে হয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
তাহলে মনে হয় ওঁর কাছ থেকেই আসা কিছু সেইরম প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক চিঠি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিলো। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ মলয়বাবু সেজে পোংটামো করছে। পরে একটু খটকা লাগলো।
যাকগে। আরেকটা প্রশ্ন। সতীনাথ ভাদুড়ির ছোটগল্পসমগ্র কি বাজারে কিনতে মেলে বলে জানেন? আমি ওঁর গল্পগুলির রিভিউ পড়েছি, মূল গল্পগুলি পড়ার আগ্রহ খুব, কিন্তু ঢাকায় ভাদুড়িমশায়ের উপন্যাস দু'টি সুলভ হলেও গল্পগ্রন্থ একেবারেই নয়। শুনেছিলাম গল্পগ্রন্থটি নাকি বহু বছর যাবৎ ছাপাখানার সংসর্গবঞ্চিত।
হিমু ঢাকার বই বিক্রেতাদের কাছে "মলয় রায়চৌধুরী"র নাম ধরে বই খুঁজে দেখতে পারেন। ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমার হয়েছে।
সতীনাথ ভাদুরীর "সতীনাথ গ্রন্থাবলী"র চার খণ্ডের প্রথম দুই খণ্ড পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯২ সালে। বাজার ঢুঁড়লে সেই প্রথম দুই খণ্ড পাওয়া যায় (আমার কাছে আছে, তবে আমার বই ধার দেবার অভ্যাস নেই)। পরের দুই খণ্ড চোখে দেখিনি। প্রথম দুই খণ্ডে "জাগরী", "ঢোঁড়াই চরিতমানস", "চিত্রগুপ্তের খাতা" এই তিনটা উপন্যাস ছাড়া বিশটির বেশি ছোট গল্প আছে। এছাড়া বাজারে উপন্যাস "অচিন রাগিনী" পাওয়া যায়।
সতিনাথ ভাদুরীর নাম ধরে জিজ্ঞেস করলে কিছু সংখ্যক বই বিক্রেতা বিরক্ত হয়ে বলেন, "নাই, এই নাম শুনি নাই"; আর কিছু বিক্রেতা বলেন, "এইটা আবার কে"? আমরা যে যেই কর্মের সাথে জড়িত সে সেই কর্মের খুঁটিনাটি-ইতিহাস-বর্তমান অবস্থা সব জানার ও মনে রাখার চেষ্টা করি। নয়তো ইঁদুর দৌড়ে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হয়। আচ্ছা, বই বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে কি অমন কিছু নেই?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
"বই কিনতে গিয়ে" শিরোনামে একটা সেইরকম পোস্ট কিন্তু খেলাপ করে বসে আছেন পাণ্ডবদা।
এইটা কি করুণা প্রকাশনী'র বইটার কথা বলছেন? করুণা প্রকাশনী থেকে ২ খন্ডে সমগ্র বেরিয়েছিল এবং কলকাতায় কলেজ স্ট্রীটে সেটা ভরপুর পাওয়া যায়৷ তাতে ওঁর সমস্ত লেখা আছে বলেই তো মনে হচ্ছে৷ তবু আমি ভাল করে খোঁজ নিয়ে জানাব৷
কলেজ স্ট্রীটেও এত বেশী মানেবই বিক্রীর আখড়া হয়েছে যে দেখলে কষ্ট হয়৷ তবে বইয়ের পুরানো ঠেক এখনও বেশ কিছু আছে৷ জানা থাকলে অসুবিধে হয় না৷ কলকাতা থেকে কখনও কিছু বই খুঁজে নিতে হলে আমাকে নির্দ্বিধায় জানাবেন, যোগাযোগ করিয়ে দেব৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এই লেখা পড়ে আবার লগাতে বাধ্য হইলাম...
-------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খিস্তি খেউড় নিজে করতে জানিনা। তবে কেউ যদি সঠিক দিকে চোখ রেখে যথাযথভাবে করে, তাহলে খাবাপ লাগে না।
পুরন্দর ভাট সেটাই করেছেন যথাযথভাবে আর সেজন্যেই ভালো লাগলো খুব।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
হ্যাঁ যে কোন ক্ষেত্রেই মাত্রাজ্ঞানটা খুব দরকার৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দমুদিদি! সেরাম! পুরন্দর পড়েছি আগেই, আর 'ফ্যাতাড়ুর বোম্বাচাক' পড়ে আমিও পুরোই ব্যোমকে গেছিলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তারমানে বালিকা আসলেই "দুষ্ট'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এইসন কবিতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু আছে বলে মনে হয় না।
মহসীন রেজা
বলছেন?
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
জটিলস্য জটিল, ওইদিন আপনাদের কথা পড়ে গুগলিফাই করলাম পুরন্দর ভাট, কয়েকটা পেলাম।
দারুণ দারুণ, আরো কিছু শেয়ার করেন।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আপনিও তেমন ভাল লোক নন দেখি৷
আমার টাইপাতে বড় আলসি লাগে৷
ঐ যে একদম নীচে একটা লিঙ্ক দিয়েছি, ওখানে লোকজন মাঝেমাঝেই নতুন কিছু তোলে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খাইছে রে!!!!!!!!!! আজি হতে শ্রী পুরন্দর ভাটকেই প্রিয় কবির তালিকার এক নম্বরে তুলিলাম। ☻
আপনার যে ভাল লাগবে সে আমি জানতাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দময়ন্তী - আপনি তো দেখি যক্ষী! এদ্দিন এই গুপ্তধন নিয়ে বসেছিলেন!
(অন্য প্রসঙ্গঃ মনে আছে, পড়ছি )
আরে আপনি এতদিন জানতেন না? আহা আগে জানলে কব্বে দিয়ে দিতাম৷
(অন্য প্রসঙ্গ: আজ আবার পরেরটাও পাঠিয়েছি )
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এ শালাকেতো আগে চিন্তুমনা। চ্রম লেগেছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নতুন মন্তব্য করুন