ছোটবেলায় মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজন অথবা পাড়াপড়শিরা আমাকে "উপোস' শেখাতে চাইতেন৷ এদিকে খামোখা উপোসটুপোস আমার পোষায় না কোনকালেই৷ একটু বড় হওয়ার পর শুভার্থীরা আমার শ্রবণসীমার মধ্যে; 'মেয়ে হয়ে জন্মিয়েও উপোস করে না, কি অলক্ষ্মী মেয়ে বাবা! আর মা'কেও বলিহারি, মেয়েকে শেখায়ও না' জাতীয় বাক্যাংশ বেশ স্বর চড়িয়েই উচ্চারণ করতেন৷ কিন্তু উপোসটুপোস আমার দ্বারা কোনদিনই হয় নি৷ গান্ধিজীর সম্পর্কে পড়তে গিয়েও প্রথম কথাই মনে হয়েছিল 'বাপরে না খেয়ে দিনের পর দিন থাকে কি করে! আয়ত্ত্বের মধ্যে খাবার আছে কিন্তু দিনের পর দিন খাচ্ছে না, কি সাংঘাতিক সংযম'৷ বেশ বড় হয়ে জানলাম 'সাল্লেখানা'-- জৈনদের একটি রীতি, যাতে এক এক করে বিভিন্ন খাদ্য ও পানীয় ত্যাগ করে শেষপর্যন্ত অনশনে দেহত্যাগ৷ সেও বড় অবাক করেছিল৷
তো বলতে নেই, খাবারদাবারের অভাব কখনও টের পেতে হয় নি, আর শখ করে না খাবার ইচ্ছাও কখনও হয় নি৷ অফিস থেকে এসে রাত্রিবেলা বেশ মুসুরডাল, ঝিরিঝিরি আলুভাজা আর একটা মাছের তরকারি দিয়ে গরম গরম চারটি ভাত নিয়ে বসি, খেতে খেতে নেট ঘাঁটি, জিমেল, ইয়াহুমেল, আনন্দবাজার হয়ে অর্কুট খুলতে দেখি আত্রেয়ী সম্ভবত: অনলাইন৷ ভাত দলা পাকিয়ে মুখে তুলি, প্রতি গ্রাসের সাথে সাথে অন্নকণাগুলি নি:শেষ হয়ে আসে, অদ্ভুত আরাম ছড়িয়ে পড়ে দেহের কোষে কোষে৷ একটা চিরকুট রেখে আসবো বলে আত্রেয়ীর প্রোফাইলে ক্লিক করেই একটা ধাক্কা লাগে; ওর প্রোফাইল ছবিটা দেখে গলা শুকিয়ে আসে৷ ঢকঢক করে জল খাই, তাও অস্বস্তি যায় না৷
-----------------------------------------------------
২০০৬ এর নভেম্বরের এক শীতার্ত বিকেলে এক মেয়ের ক্লান্ত ধীরস্বরে টেনে টেনে বলা কথাগুলো কানে ভেসে আসে, "How shall I explain? It is not a punishment, but my bounden duty…” বড় ক্ষীণ সেই কণ্ঠস্বর উপেক্ষা করে হেঁটে চলে যেতে, অন্যত্র মনোযোগ দিতে বড় ইচ্ছে হয়, কিন্তু পারা যায় না, কিছু একটা ছিল সেই কণ্ঠে যা শুনতে বাধ্য করে৷ এ কণ্ঠ সেই আশ্চর্য মেয়ের, ২০০০ সালের নভেম্বর মাস থেকে যাঁর পেটে একদানাও খাদ্য যায় নি, ঠোঁট, জিভ, তালু পায় নি একবিন্দু জলের স্পর্শ, শুধু মহামান্য ভারতরাষ্ট্র তাঁর নাকের মধ্যে নল ঢুকিয়ে নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে ঠেসে দিয়েছে কিছু কিছু তরল, তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে৷ সে মেয়ে চুল আঁচড়ায় নি সেই ২০০০ থেকে আজ পর্যন্ত, সে মেয়ের দাঁত মাজা বলতে শুকনো কাপড় দিয়ে দাঁত মুছে নেওয়া, স্পিরিটে ভেজা তুলো দিয়ে ঠোঁট মুছে নেওয়া, যাতে একবিন্দু লালাও গলা দিয়ে না যায়, আকৈশোর অভ্যস্ত মাসিক ঋতুচক্রও বন্ধ হয়ে গেছে কবেই, সেই আশ্চর্য মেয়ে তবুও বেঁচে আছেন, সেই মেয়ে যখনই পারেন, নাক থেকে নলটা সরিয়ে দেন৷ ছোট্টখাট্ট চেহারার মধ্যে কোথায় লুকিয়ে আছে অত শক্তি!চিত্রাঙ্গদার দেশের সেই আশ্চর্য্ মেয়ে, "ইরম শর্মিলা চানু' --- মণিপুরে AFSPA (Armed Force Special Powers Act) প্রত্যাহারের দাবীতে যিনি আমরণ অনশন শুরু করেছেন ২০০২এর নভেম্বর থেকে, এই ২০০৯এ সেই অনশন দশ বছরে পড়ল৷
মণিপুরসহ উত্তরপূর্ব ভারতে আর্মড ফোর্স স্পেশ্যাল পাওয়ারস অ্যাক্ট চালু হয় ১৯৮০ সালে৷ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এই অ্যাক্টের বলে, ভারতীয় সৈন্যবাহিনী যে কোন লোককে তল্লাসি, গ্রেপ্তার বা গুলি করে হত্যা করতে পারে কোনওরকম ওয়ারেন্ট ছাড়া, এবং সৈন্যবাহিনীর কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অথবা আইনী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি চাই৷ এই অ্যাক্টের বলে বলীয়ান হয়ে সৈন্যবাহিনীর জওয়ানরা দাপিয়ে বেড়ায়, অবাধে লুঠতরাজ ধর্ষণ চালায়৷ ২রা নভেম্বর ২০০২ সালে একদল উগ্রপন্থী বিদ্রোহি একটি সেনাছাউনিতে বোমবাজি করে, প্রতিশোধস্পৃহায় উন্মত্ত অসম রাইফেলসের কিছু জওয়ান মালম বাসস্ট্যান্ডে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ১০ জনকে মেরে ফেলে৷ এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গোটা মণিপুর৷ এরই প্রতিবাদে এবং অ্যাক্ট প্রত্যাহারের দাবীতে ২৮ বছর বয়সী ইরম শর্মিলা শুরু করেন আমরণ অনশন৷ অনড়, অন্ধ ভারতরাষ্ট্র অ্যাক্ট প্রত্যাহার করে না ---- শর্মিলাকেও মরতে দেয় না --- বন্দী করে দিল্লী নিয়ে এসে অল ইন্ডিয়া মেডিকেল ইন্সটিট্যুটের এক খুপরি কেবিনে রেখে নাকে ঠুসে দেয় নল৷ সরকার যায়, সরকার আসে, অ্যাক্ট থেকে যায় জগদ্দল পাথরের মত৷
অবাক লাগে৷ ভীষণ অবাক লাগে, হাতেগোণা দু একটা মানবাধিকার সংগঠনের কিছু লেখাপত্র, দু একটা মিটিং মিছিল, ২০০৬ এ দেওয়া সাক্ষাত্কারের ক্লিপিং নিয়ে হইচই ছাড়া মূলস্রোতের রাজনীতিতে এই শান্ত কঠিন প্রতিবাদের কোনও প্রভাবই পড়ে নি কখনও৷ মমতা ব্যানার্জী ২৫ দিন অনশন করে জাতীয় মিডিয়ায় যে পরিমাণ প্রচার পেলেন, তার শতাংশের একাংশও দেখিনি শর্মিলাকে নিয়ে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যগঠনের ঘোষণায় দূরদর্শনের পর্দায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ১১ দিনের অনশনভঙ্গের ছবির সঙ্গে ভুলেও শর্মিলার নাম উচ্চারণ করা হয় না৷ কারও মনেও হয় না, কেউ জিজ্ঞাসাও করে না ১১ দিনের অনশন কোন মন্ত্রবলে ১০ বছরের অনশনের চেয়ে মহান হয়ে উঠল৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার মাওবাদী উগ্রপন্থীদের কাছে অস্ত্র নামিয়ে রেখে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানাচ্ছেন --- ক্যাবিনেট মন্ত্রী থেকে পাড়ার পঞ্চাদা পর্যন্ত সব্বাই বলছে উগ্রপন্থা কখনও সমর্থনযোগ্য নয়, কোনও অন্যায়ের সমাধান ওভাবে হয় না৷ কথাটা আমিও মানি৷ কিন্তু কি আশ্চর্য! কি পরমাশ্চর্য! শর্মিলা তো কোনও উগ্রপন্থার আশ্রয় নেন নি, বরং জাতির জনক প্রদর্শিত অহিংসার পথে গেছেন, তবুও কারও একবারও তাঁর সাথে কথা বলার, আলোচনায় বসার কথা মনে হয় না! এবং তারপরেও আমরা আশা করি যে ছিন্নভিন্ন মণিপুরীগণ হিংসার পথে যাবেন না!!!
--------------------------------------------------------
শুরুতে আত্রেয়ীর কথা বলছিলাম না --- আত্রেয়ী ওর প্রোফাইলে ইরম শর্মিলা চানুর একটা ছবি লাগিয়েছে৷ ভারতবাসী হিসাবে গর্বে আমার মাথা হিমালয় ছাড়িয়ে যায় , শর্মিলার দেশের মেয়ে আমি --- ভারতবাসী হিসাবে লজ্জায় আমি মাটিতে মিশে যাই, শর্মিলার দেশের মেয়ে আমি, ঐ অকথ্য অত্যাচারের দায়ভাগও যে আমার --- আমাদের৷
মন্তব্য
এটা কী লিখলেন, দময়ন্তী!!! শর্মিলার মতো কেউ কেউ এত শক্তি কোথা থেকে পান?!
জানি না৷ হয়ত অত্যাচারের যে সীমান্তে পৌঁছালে রুখে না দাঁড়িয়ে উপায় থাকে না, কোন অপশান হাতে থাকে না, আমি সেটায় কখনও,কক্ষণো যাই নি বলেই বুঝে উঠতে পারি না৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শর্মিলার দেশের মেয়ে আমি, ঐ অকথ্য অত্যাচারের দায়ভাগও যে আমার --- আমাদের৷
আমরাও কিছু দায় নিয়ে আপনাকে হালকা করতে চাই।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
অনেক ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শর্মিলাকে স্যালুট!
হ্যাঁ স্যালুট৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
হুঁ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এঁর কথা শিক্ষিত ভারতীয়রাও জানে না। আমি দশ জনকে জিজ্ঞেস করে যদি একটা হ্যাঁও পাই তো অবাক হবো।
বছরের পর বছর ধরে অবহেলা করা হয় উত্তরপূর্বের একএকটা রাজ্যকে, তারপর সংঘর্ষ বাধলেই বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ আসে। এর সমাধান কোথায়?
সেটাই আরও বেশী মুশকিল৷ সরকার এতদিন ধরে এটা চালিয়ে যেতে সাহসই পেত না, যদি আমাদের মধ্যে থেকে তীব্র প্রতিরোধ থাকত৷ এটা আরও বেশী করে খারাপ লাগে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
তাকে শ্রদ্ধা।
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
হুঁ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
.....
......... ........... ...........
..............
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা!
--------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হুঁ
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শর্মিলাকে সালাম।
.....................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
সালাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সাক্ষাত্কারটা আমি তখন দূরদর্শনে দেখেছিলাম৷ ইউটিউবের ক্লিপিংটার কথা জানা ছিল না৷ অনেক ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সচল জাহিদের টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে লেখা সিরিজের এক পর্বে বাঁধের রাজনৈতিক গুরুত্বের প্রসঙ্গে শর্মিলা ইরম চানুর কথা, তাঁর অনশনের কথা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে "আর্মড ফোর্স স্পেশ্যাল পাওয়ারস অ্যাক্ট" নামে অঘোষিত সামরিক শাসনের কথা আর এসংশ্লিষ্ট লিঙ্কগুলো দিয়েছিলাম।
মনিপুরে অসম রাইফেলস দিয়ে মনিপুরীদের শায়েস্তা করার চেষ্টা ব্রিটিশদের "ডিভাইড এন্ড রুল" নামের কুখ্যাত পলিসির কথা মনে করিয়ে দেয়। এই অঘোষিত সামরিক শাসনের ব্যাপারে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের প্রায় সব ধরণের রাজনৈতিক দলই সমান নিশ্চুপ।
রাজনৈতিক সমস্যার সামরিক সমাধান করতে চাওয়ার এই অপচেষ্টার শেষ নেই ভারতের বহু জায়গাতেই। অসম রাইফেলসের সদস্য কর্তৃক মনিপুরী নারী ধর্ষনের বিরুদ্ধে যখন মনিপুরের একদল নারী নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করেন ভারতের মিডিয়া তখনও সমান নিরব ছিল।
বহু জাতি-ভাষা-সংস্কৃতির দেশকে এক গ্রন্থিতে বাঁধার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির বদলে লাঠির জোরে হিন্দীভাষীদের ভাষা-সংস্কৃতি চাপিয়ে দেবার হীন চেষ্টা না বদলালে ভারতকে এর মাশুল গুনতে হবে দিনের পর দিন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উত্তরপূর্বের সাথে বাকী ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রায় নেইই৷ ওখানকার বিষয় থেকে অন্যত্র ফায়দা ওঠান সম্ভব নয় বলেই অন্য দলগুলোও চুপ৷ সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং হল সর্বত্র ফোঁপরদালালি করে বেড়ান সিপিএম, যারা নিজেদের একেবারে মরালিটির ধারক ও বাহক বলে বিজ্ঞাপন দেয়, নিকারাগুয়ায় চাল পাঠাবে বলে কলকাতার রাস্তায় মিছিল করে সব আটকে দেয়, --- তারা এইব্যপারে একেবারে স্পীকটি নট৷
ভারতে সেক্টরিয়ান পলিটিকসের ক্রমবিবর্তন নিয়ে রীতিমত গাদাগাদা লেখা যায়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
"ইরম শর্মিলা চানু" যদি তার পায়ের ধুলো নিতে পারতাম। এতো মনোবল কোথায় পান উনি?
বরাহ শিকারের জন্য এখন আমাদেরও এই রকম মনোবল দরকার।
ইরম শর্মিলা চানু কে স্যালুট। আর লেখিকাকে ধন্যবাদ বিষযটি তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সরকারগুলো কবে যে মানুষ হবে!!!
শ্রদ্ধা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরকারগুলো কোনওদিনই মানুষ হবে না নজরুল৷ সরকারে দুই চারটা মানুষ যদি যেত, তাহলেই অনেক হত৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শর্মিলাকে লাল সেলাম।
তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দমুদি, বিষয়টা তুলে ধরার জন্যে।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হুঁ লাল সেলাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
........
_________________________________________
সেরিওজা
...........
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
স্যালুট শর্মিলাকে
০২
মণিপুরের সাথে ভারতের সংঘাত বৃটিশ যুগ থেকেই
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ ভারতের সৈন্যদের দ্বারা মণিপুরকে ছারখার করা
মণিপুরি মেয়েদের যৌন নির্যাতন
স্বাধীনতার পরপরই মণিপুরকে সৈন্য দিয়ে দমিয়ে রাখা
আর বর্তমান সাইলেন্ট টর্চার...
হুঁ স্যালুট৷
মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ----- অত্যাচারই একমাত্র সত্য৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আর্নেস্ট হেমিংওয়ে লিখেছিলেন 'দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ এ ফাইন প্লেস- অ্যান্ড ওয়ার্থ ফাইটিং ফর'। আমি এই বাক্যের শুধু দ্বিতীয় অংশটুকু বিশ্বাস করি।
প্রনাম শর্মিলাকে
______________________________________
আসলে কি ফেরা যায়?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি অবশ্য প্রথম অংশটাও বিশ্বাস করি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
স্যালুট
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হুঁ স্যালুট
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
খারাপ হয়ে গেল মনটা।
আমার খালি অসহায় ভোঁতা একটা রাগ হয়৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
'ভারত সরকার মণিপুরের ওপর কী কী জুলুম চালিয়েছে এবং কিসের ভয়ে?' - শীর্ষক লেখা চাই।
কমরেড শর্মিলাকে লাল সেলাম।
হুঁ লাল সেলাম৷
সে এক মস্ত বিষয়৷ অত লেখা আমার দ্বারা হবে না৷ সম্প্রতি একটা ভাল বই প্রকাশিত হয়েছে৷ সময় করে সেটা একটু লিখে দেব৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকার, অরুন্ধুতি রায়-রা থাকতে এত বড় একটা অন্যায় এত দীর্ঘদিন ধরে হয়ে যাচ্ছে আর ইরম শর্মিলা চানুর কথা ভারতের মানুষজন জানছে না--একটু অবাকই লাগল।
এক একজন মানুষ এত শক্তি যে কোথায় পান?
আমি www.kabirsuman.com এ যেয়ে আপনার এই লেখার লিংকটা রেখে আসলাম registration করার সময় (আর কোনো জায়গা খুঁজে পেলাম না)--জানি না সুমনের চোখে পড়বে কিনা এটা।এমনিতেই তো মমতা ব্যানার্জির সাথে ঝামেলা চলছে তাঁর।
রাজিব মোস্তাফিজ
অরুন্ধুতি না অরুন্ধতি রায়৷ কেমন?
হ্যাঁ অরুন্ধতি লেখেন৷
মেনস্ট্রীমে না হলেও অল্টারনেট মিডিয়ায় হয় লেখালেখি৷
খাইসে! কবীর সুমন লোকটাকে আমার মোটেই সুবিধের লাগে না৷ তবে মমদিদির সাথে তেনার ঝগড়াঝাঁটি মিটে গেছে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
শর্মিলার মতো আমরা কেউ হতে পারবোনা কোনদিন
তবু তার মতো হতে ইচ্ছে করে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমি যে পারব না সেটা ভালই জানি৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
একই চিত্র মনে হয় ভারতের আরো অনেক জায়গায়। তাই মণিপুর বা শর্মিলার আলাদা কোন গুরুত্ব নেই। মণিপুরে এই এক্ট প্রত্যাহার হলে বাকী রাজ্যগুলোই বা বসে থাকবে কেন? কাশ্মীরেও মনে হয় সেনাবাহিনীর জন্য একই সুবিধা আছে। এখানে এক কাশ্মীরির কাছে শুনেছি ভারতীয় সেনারা নাকি কাশ্মীরিদের কুকুরের মতো গুলি করে মারে। রাজনীতিবিদরা তাই বুঝেশুনেই শর্মিলার কথা ভুলে নিকারাগুয়ার চাল নিয়ে মিছিল করে।
AFSPA র মত একটা অকথ্য অসভ্য নিয়ম সব জায়গা থেকেই প্রত্যাহৃত হওয়া উচিত্৷ কাশ্মীরে আবার হয় ভারতীয় সৈন্যবাহিনী মারে, নয়ত পাকিস্তানের পাবলিক এসে মেরে যায়৷ পুরো শাঁখের করাত৷ পুণেতে কিছু কাশ্মিরী ছেলেমেয়ে পড়তে আসে৷ তাদের কাছে যা শুনেছি তাতে ভয়াবহ বললে কিছুই বলা হয় না৷
আর রাজনৈতিক দলগুলো যারাই এরকম কোন না কোন রাজ্যে ক্ষমতায় আসে, তারাই এই অ্যাক্ট কাজে লাগায়৷ সিপিএম নিকারাগুয়া নিয়ে আন্দোলন করে, কিন্তু ত্রিপুরায় তো এই অ্যাক্টের সুবিধেভোগী৷ কংগেস, বিজেপির কথা তো বাদই দিলাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
কি বলবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।
পৃথিবীটা এমন কেন?
অলস সময়
শ্রদ্ধা।
নতুন মন্তব্য করুন